টাঙ্গুয়ার হাওরে শিক্ষার্থীদের ভরসা নৌকা



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ফিরে
নৌকায় ওঠার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নৌকায় ওঠার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ জলাভূমি। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওরে মাত্র ৪০টি পরিবার বসবাস করে।

টাঙ্গুয়ার হাওরে বসবাসরত ছেলেমেয়েদের শিক্ষা অনেকটাই নৌকার ওপর নির্ভরশীল। বর্ষাকালে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেতে হয় নৌকায় চেপে।

a
বর্ষায় নৌকাই হয়ে ওঠে হাওরবাসীর চলাচলের একমাত্র বাহন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

মিঠা পানির এই হাওরের রাস্তাঘাট ছয় থেকে আট মাস পানির নিচে থাকে, ফলে ওই সময় স্কুলে যাওয়ার একমাত্র বাহন নৌকা। এজন্য এ অঞ্চলের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার কম। কয়েক দিন পর পর স্কুলে যায় তারা।

স্থানীয় মুরাদ শেখ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নৌকায় স্কুলে যাওয়াটা শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অনেক সময় আমরা ওদের স্কুলে যেতে দিই না।’

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এবং তাহিরপুর উপজেলার জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এ হাওর ঘুরে দেখা যায়, হাওরের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয় ঠিকই, কিন্তু নৌকা এলেই কেবল তাদের স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয়। না এলে স্কুলে যাওয়া হয় না।

মমিনুল ইসলাম নামে এক স্কুলছাত্র বলে, ‘এখন বর্ষাকাল হাওয়ায় হাওরে পানি বেশি। তাই নৌকা ছাড়া স্কুলে যাওয়া যায় না। আমাদের বাড়ি থেকে স্কুল অনেক দূরে হওয়ায় নিয়মিত স্কুলে যাই না।’

a
হাওর এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাজু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলে, 'বলতে গেলে বর্ষা মৌসুমে টাঙ্গুয়ার হাওরের কেউই তেমন স্কুলে যায় না। বেশিরভাগ সময় ঝড়-বৃষ্টি লেগেই থাকে। আমাদের জন্য এ হাওরে আলাদা স্কুল থাকলে ভালো হতো।’

হাওর সংলগ্ন তাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাদিউজ্জামান বলেন, 'হাওরের শিক্ষার্থীরা স্কুলে খুব কমই আসে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।’

1
বছরের অন্তত ছয় মাস পানির নিচে থাকে হাওর এলাকা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম 

 

তাহেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইমতিয়াজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তাহিরপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১৩৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪টি, দু’টি স্কুল রয়েছে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত। আর কলেজ রয়েছে চারটি। হাওর বেষ্টিত গ্রামগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে হওয়ায় বর্ষাকালে ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাহিরপুর ছাড়াও জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভপুর, ধরমশালা, দিরাই, শাল্লাসহ বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীদের বর্ষাকালে নৌকায় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।

সাংবাদিক ও হাওর উন্নয়ন কর্মী আতিক রহমান পূর্ণিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'হাওরে ভাসমান স্কুল বা বোট স্কুল দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। স্কুল নিতে হবে শিশুদের কাছে। হাওরের শিশুরা স্কুলে যেতে চায়। বাস্তবতা হলো পাড়ায় পাড়ায় ওভার নাইট স্কুল বানানো সম্ভব না। তাই লাগবে ভাসমান স্কুল। ভাসমান স্কুল প্রকল্প বেসরকারি পর্যায়ে সফল হয়েছে।’

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, হাওরবাসীর সঙ্গে সব সময় বৈষম্য করা হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই এ বৈষম্য করা হয়। হাওরের উন্নয়নে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতর পদক্ষেপ নিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। হাওরে শিক্ষার হার ৩৮ শতাংশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭১ শতাংশ শিশু ভর্তি হলেও বছর শেষে তা দাঁড়ায় ৪৪ শতাংশে। তাই হাওরের শিক্ষার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে নজর আরো বাড়াতে হবে।’

   

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;

মানিকগঞ্জে সেলফি তুলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেওয়ার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে শাড়িতে আগুন লেগে দগ্ধ হয় মলি রানী (৪৬) নামের এক নারী। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মলি রানী। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গঙ্গাধর পট্টি এলাকার অশোক্নসাহার স্ত্রী মলি রানী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসন্তী পূজার দশমীর দিন গত ১৮ এপ্রিল শহরের কালীবাড়ী মন্দিরে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেয়ার সময় দেবীর সাথে সেলফি তুলছিলেন মলি। এ সময় পাশে থাকা প্রদীপের আগুন শাড়িতে লেগে দেহের ৩০ ভাগেরও বেশি পুড়ে যায়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসন্তি পূজার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলো মলি। এরপর সেখানেই চিকিৎসাদীন তার মৃত্যু হয়।

;

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার (১৭) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদরাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদরাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায় মাহিয়া। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;