লাইনচ্যুত তিন বগি উদ্ধার, ১০ ট্রেনের যাত্রা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
ছবি. বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি. বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর চারঘাটে লাইনচ্যুত হওয়া তেলবাহী ট্রেনের উদ্ধার কাজে তেমন অগ্রগতি নেই। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রিলিফ ট্রেন উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি বগি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বাকি রয়েছে আরো ৬টি বগি যেগুলো খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তাই উদ্ধার কাজ করতে হচ্ছে অতি সাবধনতার সঙ্গে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, সারাদিন যদি বৃষ্টি না হয়, তবে সন্ধ্যা নাগাদ কাজ শেষ হবে। আর বৃষ্টি হলে উদ্ধারকাজে আরো বিলম্ব হতে পারে। উদ্ধারকাজ শেষে করা হবে লাইন মেরামতের কাজ। সেক্ষেত্রে আজ বৃহস্পতিবার রাতেও রাজশাহী-ঢাকা রুটের সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হতে পারে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল করিম বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, বগিগুলো তেলবাহী হওয়ায় উদ্ধারকাজে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। বুধবার রাতে উদ্ধারকাজ শুরু করা হলেও টানা বৃষ্টির কারণে তেমন অগ্রগতি হয়নি। ভোররাতেও ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকায় উদ্ধার কাজে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

রাজশাহীতে ট্রেন লাইনচ্যুত: সহকারী প্রকৌশলী বরখাস্ত

তিনি আরো জানান, যেভাবে এখন উদ্ধারকাজ চলছে, তাতে সন্ধ্যা নাগাদ উদ্ধারকাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফের যদি বৃষ্টি শুরু হয়, সেক্ষেত্রে আরো বিলম্ব হবে। বগিগুলো উদ্ধারকাজ শেষে রেললাইন মেরামতের কাজ করা হবে। অনেক স্থানে স্লিপার ভেঙে গেছে। সেগুলো মেরামত করতে আরো সময় লাগবে। এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562827162608.jpg

এদিকে, বুধবার রাতে ঢাকা-রাজশাহী রুটের সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়। রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু ও বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস, খুলনাগামী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী, রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জগামী লোকাল ট্রেনগুলোও রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, বিকেল সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও বিকেল ৪টায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেসের যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে। এসব ট্রেনের আগাম টিকিট নেওয়া যাত্রীরা স্টেশনে এসে টিকিটের টাকা ফেরত নিতে পারবেন।

তবে রাতের ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস নাটোরের আব্দুলপুর স্টেশনে এবং বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহীর বাঘার আড়ানী স্টেশনে যাত্রী নিয়ে আটকা পড়েছে।

ট্রেন লাইনচ্যুত: ঢাকা-রাজশাহী রুটের সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের যে কোনো দুর্ঘটনায় ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন পাঠিয়ে থাকি আমরা। তারা দ্রুত গতিতে কাজ করেন। তাদের উদ্ধারকাজের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকার প্রশ্ন নেই। সমস্যা দুটি—প্রথমত এটি তেলবাহী ট্রেনের বগি। আর দ্বিতীয়ত, ভারী বর্ষণ। বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে। তবে আমাদের টিম দ্রুত কাজ শেষ করে লাইন ক্লিয়ার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562827182390.jpg

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় রাজশাহী থেকে যেসব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলোতে টিকিট কেনা যাত্রীরা স্টেশনে এসে টিকিট দেখিয়ে অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। এজন্য আমরা সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, খুলনা থেকে বুধবার সকালে তেলবাহী একটি ট্রেন ছেড়ে আসে। বিকেলে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে রাজশাহী অভিমুখে যাত্রা করে ট্রেনটি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চারঘাটের হলিদাগাছী স্টেশনের কাছে দীঘলকান্দি এলাকায় ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়ে সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে একটি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে যায়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় উদ্ধারকারজ। ওই সময় দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনটি সামনের বগিগুলো নিয়ে রাজশাহীর হরিয়ান স্টেশনে চলে যায়।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর ঘটনা তদন্তে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিবেদন পাওয়ার আগে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তাই দুর্ঘটনার কারণ জানাতে রাজি হননি।

   

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী ব্রিকফিল্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের বারঠাকুরী গ্রামের মৃত আব্দুল শুক্কুরের ছেলে কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৩৬), ছাদ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী রেদোয়ান হোসেন (২৬) ও সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী মো. মঞ্জুর হোসেন (২৪)।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন।

জানা যায়, শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে সোনাসার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী গ্রামে ইট ভাটার পাশে আসা মাত্র ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় রাবেয়া খাতুন চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালে নিলে রেদোয়ান ও মঞ্জুরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর মোটরসাইকেল আরোহী দেলোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নেওয়ার পথে মারা যান।

;

আম-রেশমের দেশে জারুলের মায়াবী ছোঁয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর আমের মিষ্টতা ও রেশমের মৃদু ছোঁয়া ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। সেখানে জারুল ফুল নতুন এক মায়াজাল রচনা করেছে। মুক্তাধারা খ্যাত এই শহরের বুকে এখন জারুলের নীলাভ আভা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে। পথে পথে, অলি-গলি জুড়ে, জারুলের ফুলের বিচিত্র নীল থেকে গাঢ় নীল রঙের খেলা রাজশাহীকে এক অন্যরকম সৌন্দর্যের আঁচলে মুড়ে দিয়েছে।

এই সৌন্দর্য কেবল চোখ ধাঁধানো নয়, মনের গভীরে এক স্নিগ্ধ আনন্দের স্পর্শ রেখে যায়। যেখানে আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত সেই রাজশাহী, এখন জারুলের নীলিমায় আচ্ছাদিত, এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জারুল ফুল সৌন্দর্য ও সুগন্ধে মুগ্ধ করে রাখে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বসন্তের শুরু থেকে গ্রীষ্মের প্রান্তে এই ফুল তার পূর্ণ যৌবনে পৌঁছায়।

রাজশাহীর বিভিন্ন পার্ক, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাস্তার ধারে এবং বাড়ির আঙিনায় জারুলের ছোঁয়া এখন এক স্বাভাবিক দৃশ্য। শহরের মানুষেরা জানায়, জারুলের এই স্নিগ্ধ উপস্থিতি তাদের মনে এক শান্তির অনুভূতি জাগায়, যা দৈনন্দিন হাসপাশের কোলাহল থেকে এক মুক্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে।

পরিবেশবিদ ও উদ্যানতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, জারুলের এই ব্যাপক বিস্তার শহরের জলবায়ু ও বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি বায়োডাইভার্সিটি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে জারুল ফুল

শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জারুলের অপরূপ দৃশ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। ফটোগ্রাফার ও পর্যটকদের কাছে এখন এটি এক আকর্ষণের কেন্দ্র। তারা জানায়, জারুলের এই অপূর্ব সৌন্দর্য তাদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে এ ফুল। জারুলের মোহময় ছোঁয়া এখানকার পথে পথে বেড়ে উঠা সৌন্দর্যকে আরো বিশেষ করে তুলেছে, যা রাজশাহীর মুখ চেনায় নতুন এক পরিচয়ে। এই সমৃদ্ধ ভূমি এবার নতুন এক আকর্ষণে মোড়ানো— জারুলের ফুলের মায়াবী ছোঁয়া।

জারুলের নীল আভায় মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবীব তার "স্বদেশ" কবিতায় জারুলের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, মনের কোনায় খুশির আলো জ্বলে ওঠে, তখন এক অনন্য চিত্র আঁকি— এক পাশে বিশাল জারুল গাছ, তার ডালে দুটি হলুদ পাখি।

শুধু আহসান হাবীব নন, 'রূপসী বাংলার কবি' জীবনানন্দ দাশও তার কবিতায় জারুলের শিল্পময় রূপকে জীবন্ত করে তুলেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর-চিল একা নদীটির পাশে, জারুল গাছের ডালে বসে বসে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে।’ এই কবিতার বন্দনার মতোই জারুল ফুলের মায়াবী সৌন্দর্য রাজশাহীর পথে পথে, প্রান্তরে প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, শহরটিকে এক নতুন রূপ দান করে।

নগরীর রেলগেট থেকে ঐতিহ্য চত্বর পর্যন্ত এবং বাইপাস সড়কের দ্বীপাংশে জারুল ফুলের শোভা চোখ ধাঁধানো। এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা এই মনোরম দৃশ্যের মোহে বিমোহিত, যা তাদের চোখে মুখে প্রকাশ পায়।

অফিস শেষে এই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছেলেন আলফাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে আমি এক অনন্য সুখ অনুভব করি। অফিসের পরিশ্রম যেন এই পথের মায়াজালে মিলিয়ে যায়। জারুলের ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই অনুপম। মনে হয়, এগুলো বাড়ি নিয়ে যাই।

এদিকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের সর্বত্র জারুল ফুলের আধিক্য দেখা যায়, যা শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের চোখ জুড়ায়।

রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ঐশি ইসলাম বলেন, রাজশাহী কলেজের ফুলের বাগানে জারুলের বিশেষ সমাহার অন্য এক প্রশান্তি এনে দেয়। বিশেষ করে নতুন লাগানো চারা গাছগুলোতে ফুটে ওঠা ফুল আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে।

রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জারুল ফুলের এই সৌন্দর্য শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, এর মাধ্যমে রাজশাহী শহরের পরিবেশগত মান ও বৈচিত্র্যময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জারুল ফুল পরিবেশ বান্ধব একটি উদ্ভিদ এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নগরীর আবহাওয়া ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, জারুল ফুল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে, যা পরিবেশগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও রাস্তাঘাটে জারুল ফুলের ব্যবহার শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দ্বিগুণ ভূমিকা রাখছে। এটি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করছে।

ড. মো. রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, গ্রীষ্মের আগমনে জারুল ফুল তার বেগুনি রঙের প্রকোপ দেখায়, গ্রীষ্ম থেকে শরৎ পর্যন্ত তার সৌন্দর্য বিরাজ করে। এই মাঝারি উচ্চতার গাছের প্রতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিচয় শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ করে দেয়। জারুলের বীজ, ছাল, এবং পাতা ডায়াবেটিস, জ্বর, অনিদ্রা, কাশি, ও অজীর্ণতায় কার্যকরী, যা একে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এক অমূল্য ঔষধি গাছে পরিণত করে।

 

;

মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

;

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

;