রিকশার জন্য পৃথক লেনের সুপারিশ



আবু হায়াত মাহমুদ ,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ করেন রিকশা চালকরা | ছবি: সুমন শেখ

রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ করেন রিকশা চালকরা | ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ব্যস্ততম কয়েকটি সড়কে রিকশা বন্ধের কারণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও রিকশা চালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে নগরবাসীরও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নগরবাসীর মধ্যে অভিজাতরা রিকশা বন্ধের পক্ষে থাকলেও মধ্যবিত্তরা রিকশা ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তবে এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে বিকল্প কয়েকটি সুপারিশের কথা বলেছেন সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান ও এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই নগরবিদ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা বন্ধের পক্ষে মত ব্যক্ত করলেও তুলে ধরেছেন কয়েকটি বিকল্প উপায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562672416260.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যানজট কমাতে রিকশা বন্ধে দুই সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত সঠিক। ঢাকার মত একটি মেগা সিটিতে সব সড়কে রিকশার মত ধীরগতির যানবাহন চলাচল করলে যানজট নিরসন সম্ভব নয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলতে না দেওয়ার অভিমত ব্যক্ত করে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ক্ষেত্রে রিকশা ও বাইসাইকেলের জন্য আলাদা লেন করে দেওয়া যেতে পারে। যেমনটি রয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এবং নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাবরেটরি পর্যন্ত সড়কে।

তিরি আরো বলেন, সরকারি ছুটির দিনে বা বিশেষ দিবসগুলোতে সড়কে যানবাহন কম থাকে। তাই নগরবাসীর ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বিশেষ দিবস ও ছুটির দিনগুলোতে এসব সড়কে রিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঢাকার মত একটি মেগা সিটির জন্য যথাযথ পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে আরো মনোযোগী হতে হবে।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। হঠাৎ করে মনে হলেই একটি সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন নগরবিদ নজরুল ইসলাম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562672449091.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক এ অধ্যাপক অভিযোগ করে বলেন, নগর উন্নয়নে রাজউকের পরিকল্পনা কোনটিই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় না। তাই নগরবাসীকে পড়তে হচ্ছে নানা দুর্ভোগের মধ্যে। রাজউকে মাস্টার প্ল্যান বা ঢাকা স্ট্রাকচারাল প্ল্যান বলে যা আছে সেখানে স্পষ্ট করে রিকশাসহ অন্যান্য ধীর গতির যানবাহনের ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে সিটি কর্পোরেশন হরহামেশা রিকশার লাইসেন্স দিচ্ছে।

বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোররেশনের (ডিএসসিসি) হিসেব মতে দুই সিটিতে রিকশার সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো। এর মধ্যে মাত্র ৮০ হাজারের অনুমোদন আছে, বাকি সব রিকশা অনুমোদনহীন, যোগ করেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রাজধানীর সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজউক ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রিকশা বন্ধের পরিকল্পনা করে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। রিকশা চালকদের দোষ দেওয়া যাবে না। ঢাকা শহরে এসব অনুমোদনহীন রিকশা কারা রাস্তায় ছাড়ছে তাদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া নিতে হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নজরুল ইসলাম বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা রাজউকের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটি এখন রাজউকের ওপর খবরদারি করে। শুধু যে রিকশা, তা নয়। অনুমোদনহীন আরো অনেক ফিটনেসবিহীন যানবাহন ব্যস্ততম সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যানযট বাড়িয়ে দিচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562672496431.jpg
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম

তিনি বলেন, রিকশা নিয়ন্ত্রণে প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে দুই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের। নগরীর ব্যস্ততম সড়কে রিকশা বন্ধের ঘোষণা নতুন নয়, গাবতলী থেকে সায়েন্সল্যাবরেটরি পর্যন্ত অনেক আগেই রিকশা বন্ধ ছিল।

গত ১৯ জুন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে মহানগরীর অবৈধ ধীরগতির যানবাহন বন্ধ, ফুটপাথ দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গত ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে ডিএনসিসি’র প্রগতি সরণি ও মিরপুর রোডে রিকশা নিষিদ্ধ করা হয়। ডিএসসিসি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে।

ঘোষণা অনুযায়ী মিরপুর রোডের গাবতলী থেকে আজিমপুর, সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়। এর পর থেকেই এসব সড়কে রিকশা চালুর দাবিতে রাস্তা অবোরোধ করে আন্দোলন করছেন রিকশা চালকরা। আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে কয়েকটি বামপন্থি দলও।

   

বকশীগঞ্জে এমপির ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জামালপুর-১ আসনের এমপি নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার (ঘোড়া প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার অহনা জিন্নাত ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল উপজেলার ৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টায় থেকে শুরু হয়ে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে।

জানা গেছে, ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম সাত্তার উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

;

যশোরে তিন উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ, বিরতিহীন ভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট গ্রহণ শেষে এদিন রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মোঃ শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় আজ দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুম্মিতা সাহা রাত সাড়ে নয়টায় এই বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতিকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাংবাদিক সৈয়দ ইমরানুর রশীদ ৪১ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতিকের মো. কামরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন সুলতানা ২৪ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতিকের আমেনা খাতুন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৮২ ভোট। সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো: সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: আব্দুর রহিম সরদার তালা প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের শফিকুল ইসলাম মন্টু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকের মোছা: শামীমা খাতুন ৪২ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: আলেয়া ফেরদৌস হাসঁ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭২৯ ভোট। মঙ্গলবার রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

;

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, ৭ জনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন মোবাইল কোর্ট। নির্বাচন কাজে।

মঙ্গলবার (২১ মে) নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রিপনকে (৩১) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

এরপর বিকেল চারটায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের খাজমত আলীর ছেলে কায়েম আলীকে (৬২) নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১ (চ) ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই সময় একই উপজেলা ও গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আতিউল্লাহকে (৬২) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই গ্রামের ঈশার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আজিবর রহমানকে (৫৫) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও হারেজ উদ্দীনের ছেলে মুনতাজ আলীকে (৫৫) ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এদিকে, জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বগাদী ভোট কেন্দ্রে ভোগাইল বগাদী গ্রামের আনাবুল ইসলামের ছেলে সুজনকে (২৬) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে কেন্দ্রের পাশে শোডাউন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা মমতাজ নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত রবজেল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে (৪৯) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১(চ) ধারায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুলিশের সহায়তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

নোয়াখালীর তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিজয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে জয়ী ব্যক্তিদের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহ্বাজ মোরশেদ আলমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল আলম দিপু আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো.আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির দোয়াত কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।

অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।

উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান ।পরে দুপুর দেড়টার দিকে আজাদ খানের বাড়ির সামনের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করে। ওই সময় ইসি ও প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরকে ব্যঙ্গ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা। ওই সময় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে। সোনাইমুড়ীতে জাল ভোটে সহযোগিতার দায়ে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জাল ভোট দেওয়ার দায়ে ২জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।

;