দীর্ঘ এক যুগ আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা পেলেন না ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওহাব আলী নামে এক আসামি। রায় ঘোষণার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা আসামি ওহাব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রংপুরের মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, ২০০১ সালে মিঠাপুকুরের একটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ওহাব আলী। দীর্ঘ ৭ বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০০৭ সালে আদালত ওই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে ওহাব আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া থেকে আত্মগোপনে থাকা ধর্ষক ওহাব আলীকে গ্রেফতার করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।
আসামি ওহাব আলী মিঠাপুকুরের কাফ্রিখাল এলাকার বাসিন্দা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু আবারও ঢাকা সফরে আসছেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি মার্কিন সহকারী মন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে গত জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর লুর এই সফরকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে কূটনৈতিক অঙ্গনে।
ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
জাতীয়
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নে বৃটিশ আমলের প্রাচীন শিশু বাজারটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। নামে শিশু বাজার হলেও এটি মূলত দুধের বাজার। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের এই দুধের হাটটি অত্র অঞ্চলে দুধের চাহিদা মিটাচ্ছে।
প্রতিদিন ভোরে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্রেতাদের হয় মিলন মেলা গরুর দুধের হাট। এখানে খামারিরা প্রতিদিন বিক্রি করেন প্রায় ৬-৭ হাজার লিটার দুধ। দুধ বিক্রি করে নগদ টাকা পান, তা নিয়ে খুশি খামারিরা।
স্থানীয় প্রবীন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃটিশ আমলে আচমিতা এলাকায় বৃটিশদের আনাগোনা ছিলো৷ হোসেনপুর ও কটিয়াদীর জালালপুরে ছিলো নীল কুঠির৷ এরমধ্যে জালালপুর ছিলো এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ চুল্লী। যা আজো টিকে আছে। ভৌগোলিক সুবিধা বিবেচনায় বর্তমান আচমিতা নামক এলাকায় তখন বৃটিশরা কয়েকটি প্রাসাদ স্থাপন করে বসবাস শুরু করেন। তাদের ছোট শিশুদের খাবারের জন্য দুধের প্রয়োজনীয়তায় দুধের জন্য শিশু হাট বসান বলে জনশ্রুতি আছে ৷ কালক্রমে আসে জমিদারি যুগ৷ তখন তারাও ভোরে দুধ নিতেন এই হাট থেকে৷ কাক ডাকা ভোর থেকেই এই হাট শুরু হতো৷ যা যুগের পর যুগ ধরে এখনো চলমান৷ আজো আচমিতার মানুষের কাছে শিশু হাট হিসেবে এটি পরিচিত৷
হাটে আগত খামারিরা জানায়, ইউনিয়নের প্রায় হাজারের মতো খামারি দুধেল গরু পালন করেন। তারা উৎপাদন করেন প্রায় ৭-৮ হাজার লিটার দুধ। মাঝারি ও ক্ষুদ্র খামারিরা আচমিতা বাজারে এনে খুচরা ও পাইকারদের কাছে দুধ বিক্রি করেন। এখানে ৮-১০ জন পাইকার দুধ সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাইকেল, রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে খামারিরা তরতাজা দুধ নিয়ে আসছেন। কারো হাতে বোতল, কলশি,জগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন৷ কেউ দুই লিটার, কেউ ১০ লিটার,কেউবা আরো বেশি দুধ এনেছেন। ৭০-৮০ টাকা লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে। আবার পাইকাররা দুধ কিনে ড্রামে ঢেলে রাখছেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে দুধের মিষ্টি ঘ্রাণ। খামারিরা দাম পেয়েছেন প্রতি লিটার ৬০-৭০ টাকা দরে। হাটের অধিকাংশ ক্রেতা মিষ্টির দোকানী। দুধ সংগ্রহ করে মিষ্টি তৈরির কাজে ব্যাবহার করেন৷
দুধ বিক্রেতা আচমিতা গ্রামের জমির উদ্দিন (৭৫) বলেন, 'আমাদের বাপ দাদারা এখানে দুধ বিক্রি করতেন৷ ছোট থেকেই দেখে আসছি৷ এই হাটের বয়স কতো আমিও জানিনা৷ তিন লিটার দুধ নিয়ে আসছি। বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে ভালো লাগছে।'
বাজিতপুর থেকে আসা ক্রেতা মদন গোপাল বলেন, '৩০ বছর ধরে এই হাট থেকে ভোরে দুধ সংগ্রহ করি৷ পূর্বপুরুষরাও এখান থেকে নিতেন। ৭০ লিটার দুধ নিলাম মিষ্টির দোকানের জন্য৷'
কটিয়াদী-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই আচমিতা বাজারে ভোর থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯ টা পর্যন্ত চলে এই হাট৷
পাওনা টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
জাতীয়
সাভারে পাওনা তিন হাজার টাকার জন্য কুকুরের সাথে শিকলে বেঁধে রিকশা চালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীয়ের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিকলের তালা খুলে রিকশা চালককে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী এলাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মামুনের দোকান থেকে ভুক্তভোগীকে শিকলমুক্ত করে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, সকালে ভুক্তভোগী রবিউলকে দোকানের খুঁটিতে কুকুরের সাথে শিকলে বেঁধে রাখে অভিযুক্ত মামুন।
ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম নিলফামারী জেলার বাসিন্দা। একসময় মামুনের সাথে ব্যবসা করলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে ভাঙ্গারি মালামাল বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে মামুনের কাছে বিক্রি করতাম। আমার কাছে ৩ হাজার টাকা পেতো মামুন। সেই টাকার জন্য আমাকে মঙ্গলবার মারধর করে পায়ে শিকল পরিয়ে বেধে রাখে মামুন।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ যাবার আগেই অভিযুক্ত মামুন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়: প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয়
গত ৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
লিখিত প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।
তিনি আরও জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।
এছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।