২১ আগস্ট-মামলা-যুক্তিতর্ক : দোষ স্বীকার করে ১৩ জবানবন্দি



সেন্ট্রাল ডেস্ক ১

  • Font increase
  • Font Decrease
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় দোষ স্বাকীর করে ১৩টি জবানবন্দি পেশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান গতকাল সপ্তম দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুনানি করেন। তিনি বলেন, ওই নৃশংস হামলায় জড়িত থাকার দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ১২ জন আসামী ১৩টি জবানবন্দি পেশ করেছেন। আসামীদের মধ্যে জঙ্গি মুফতি আব্দুল হান্নান মুন্সি দুটি জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার সাক্ষিদের মধ্যে ১১জন ওই ভয়াবহ ঘটনা বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, ২১ আগষ্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামী ৫২ জন। মামলার আসামী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে আছেন। এ মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদাবক্স চৌধুরী, লে.কমান্ডার (অব:) সাইফুল ইসলাম ডিউক এবং মামলার সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা- সিআইডি’র সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সিআইডি’র সাবেক এএসপি আতিকুর রহমান ও আবদুর রশিদসহ মোট ৮ জন জামিনে রয়েছে। তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে.কর্নেল (অব:) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক। এছাড়া ৩ জন আসামী জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুফতি হান্নান ও শরীফ সাইদুল আলম বিপুলের অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পলাতক আসামীদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রয়েছেন। সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৫১১ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিযোগপত্রে ৪০৮ জন, সম্পূরক অভিযোগপত্রে ৮৩ জন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আরো ২০ জনকে সাক্ষি করা হয়। তিনি বলেন, ২১ আগষ্টে হতাহতের ঘটনায় আনা মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১১ সালের ২৫ আগষ্ট এবং বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে আনা মামলা মহানগর ষ্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ আমলে নেয় ২০১১ সালের ১৪ জুলাই। রাষ্টপক্ষের যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১ টা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়। রাজধানী ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। প্রধান কোঁসুলিকে যুক্তিতর্ক পেশে আরো সহায়তা করছেন আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল, খন্দকার আবদুল মান্নান, আকরাম উদ্দিন শ্যামল,ফারহানা রেজা, আমিনুর রহমান, আবুল হাসনাত ও আশরায় হোসেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী নজরুল ইসলাম, আব্দুল সোবহান তরফদারসহ অন্যান্যরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নৃশংস, চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। স্পর্শকাতর ও আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির জ্যেষ্ঠ বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দসহ ২২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এরপর আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ ও আসামীপক্ষের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার এ ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও নেতকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী আইভি রহমান। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচন্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পুলিশের তদন্তের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরে মামলাটি যায় সিআইডিতে। ২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। বাসস
   

তালগাছে বজ্রপাত, জ্বলে উঠলো আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
তালগাছে বজ্রপাত, জ্বলে উঠলো আগুন

তালগাছে বজ্রপাত, জ্বলে উঠলো আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় বজ্রপাতে তাল গাছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাল গাছে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার (৪ মে) রাত ৯ টার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের সিড়িরচালা গ্রামের একটি তালগাছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোন্তাজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে চৌকিদার শামসুলের আখ ক্ষেতের মাঝখানে একটি তালগাছে বজ্রপাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাল গাছের আগুন দেখতে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। এ ঘটনা দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়।

এ সময় বজ্রপাতের গর্জনে স্থানীয় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আখ ক্ষেতে আগুন লাগতে পারে ভেবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই আগুন নিভে যায়। তবে, এতে আখ ক্ষেতের কোন ক্ষতি হয়নি।

ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, তালগাছে বজ্রপাতের আগুনের খবর আসলে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, এতে কোন ক্ষতি হয়নি।

;

‘সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে পেনশন স্কিম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা থেকেই সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি দেশের ৯৮ ভাগ মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়। যাতে জীবনের শেষ বয়সে কারো কাছে নির্ভরশীল হতে না হয়।

রোববার (৫ মে) দিনব্যাপী রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় পেনশন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, রংপুর বিভাগে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পেনশনের আওতায় চলে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভাগীয় পেনশন মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছে এবং রেজিস্ট্রেশন করছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেলা জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও করা হবে।

বর্তমানে দেশে জাতীয় পেনশন স্কিম নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৬৬ জন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করছেন। প্রধানমন্ত্রী ৪১ লাখ মানুষকে জমি এবং ঘর দিয়েছেন।

এসময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং জোরদারকরণের লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করে জাতীয় পেনশন স্কিমের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে সবাইকে পেনশন স্কিমের আওতায় আসার জন্য অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।

এর আগে, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পেনশন স্কিমের নির্বাহী চেয়ারমান কবিরুল ইজদানী খান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ প্রমুখ।

;

আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

রোববার (০৫ মে) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় (আইএমও) -তে 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে, মংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে, আরও জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের (এনএমআই) প্রশিক্ষণের গুণগতমান, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এ গুণগতমান অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর পর মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্ব নৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নত হচ্ছে। সে সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজি অফিসার ও নাবিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে যাতে করে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল থাকে। তোমরা দেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না। কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এবারের স্পেশাল ব্যাচে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ডেক- ৮৮, ইঞ্জিন- ৭৯ এবং স্টুয়ার্ড- ১০। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এস.এস.সি পাশ। আবার কেউ বহি:নোঙ্গরে মার্চেন্ট জাহাজে ক্যাজুয়াল বেসিসে কাজ করছেন। কেউ শোর রিপেয়ার টিমের সাথে, কেউ শিপ রিপেয়ার ওয়ার্কশপ/শিপইয়ার্ড/ড্রাইডকে ক্যাজুয়াল অথবা স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। কেউ পানামা সিডিসিধারী, কেউ দেশে/বিদেশে নন কনভেনশনাল জাহাজে টাগ বোট/সাপ্লাই বোট/বার্জ ইত্যাদিতে চাকরি করছেন। কারো কারো অভ্যন্তরীণ জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চপাস্ট পরিদর্শন করেন এবং শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

;

ভর্তুকি মূল্যে সাড়ে ২১ লাখ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ সংসদে জানিয়েছেন, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সাড়ে ২১ লাখ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করা হয়েছে।

বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) ভর্তুকি মূল্যে এ সার সরবরাহ করেছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভোলা-২ আসনের আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ এ তথ্য জানান।

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সংসদ অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকেরা জৈবসার ভার্মি কম্পোষ্ট, হিপ কম্পোষ্ট, কুইক কম্পোষ্ট সার প্রস্তুত করে মাটিতে ব্যবহার করে আসছেন। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিএডিসি ৪ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন টিএসপি, ৭ দশমিক ৪২ লাখ মেট্রিক টন এমওপি এবং ৯ দশমিক ৭৬ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করেছে।

কৃষিমন্ত্রী এ সময় আরো জানান, এসআরডিআই-এর ২৪টি স্থায়ী গবেষণাগারের মাধ্যমে জমির মাটি, সার, পানি ও গাছের নমুনার রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও সুপারিশ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসআরডিআই কর্তৃক ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১শ ১২টি উপজেলায় মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সুষম সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে অবস্থান করে কৃষকদের মাটির নমুনা পরীক্ষা করে ফসলের জন্য সার সুপারিশ করা হয়।

তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই ফসল উৎপাদন ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ‘Climate Smart Agriculture’ (ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার) প্রযুক্তি ব্যবহার নামে একটি কর্মসূচি চলমান। এ কর্মসূচিটি অম্লীয় মাটির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়া লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র, বটিয়াঘাটা, খুলনা কেন্দ্রে উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা, লবণাক্ততা প্রশমণ এবং ফসলের উপযোগিতা বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান আছে।

মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজিকা কেন্দ্র, বান্দরবানের মাধ্যমে পাহাড়ে ভূমি ক্ষয় ব্যবস্থাপনা ও পানি বিভাজিকা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দিয়ে পাহাড়ে ভূমি ক্ষয় রোধ করে ফসল উৎপাদন এবং মাটির উর্বরতা সংরক্ষিত হচ্ছে।

 

;