মুখে কা‌লো কাপড় বেঁধে দুদ‌কের সামনে সাংবাদিকরা



স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দুদকের সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান ,ছবি: বার্তা২৪.কম

দুদকের সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান ,ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিক দীপু সারোয়ার ও ইমরান হো‌সেন সুমনের বিরুদ্ধে হুমকির প্রতিবাদে তৃতীয় দি‌নের মতো বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ করছেন বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।

রোববার (৩০জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে মুখে কা‌লো কাপড় বেঁধে বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ ক‌রে তারা। 

সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউ‌জে) এর সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, 'গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের এক‌টি প্রকৃত স্তম্ভ। আপনারা আমা‌দের ধৈর্য পরীক্ষা নে‌বেন না। আমরা অনেক কিছু জানি। আমরা কথা বল‌তে শুরু করলে অনেকের মু‌খোশ খুলে যাবে।' 

আরও পড়ুন,  দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

তিনি দুদক‌কে উদ্দেশ্য ক‌রে বলেন, 'আপনারা রাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন করবেন। রাষ্ট্রের জনগণের সুশাসন নিশ্চিত করবেন। সুশাসন আর গণমাধ্যম একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। গণমাধ্যম‌কে বাদ দি‌য়ে সুশাসন নিশ্চিত কর‌া যায় না।'

 দুদকের সামনে অবস্থান
 তৃতীয় দি‌নের মতো বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ করছেন সাংবাদিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

ক্রাইম  রি‌পোর্টার্স অ্যা‌সো‌সি‌য়েশন অব বাংলা‌দেশ (ক্র্যাব) এর সভাপতি আবুল খা‌য়ের বলেন, 'যে সাক্ষী দেবে তার নিরাপত্তার গ্যারান্টি দি‌তে হবে। যে তথ্য দেবে তা‌কে শাস্তি দে‌বেন এটা হয় না। একজন দুদক কর্মকর্তার জন্য পুরা দেবেন দুর্নাম হ‌তে দেওয়া যায় না। এই  প্রতিষ্ঠানে একটা সরকার বিরোধী গ্রুপ আছে। তারা জামায়াত, বিএন‌পিও হতে পারে। অনতিবিলম্বে এই চিঠি প্রত্যাহার কর‌তে হবে অন্যথায় বাধ্য কর‌া হবে।'

ঢাকা রি‌পোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসা‌লিন নোমানী বলেন, 'আইন বহির্ভূতভাবে একজন সাংবাদিককে এভাবে চিঠি দি‌য়ে অন্যায় করেছে দুদক। আজ সাংবাদিকতার উপর ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আমা‌দের পেশার উপর আক্রমণ হচ্ছে। সারা দেশের সাংবাদিকদের একসঙ্গে প্রতিবাদ কর‌তে হবে।'

 সাংবাদিকদের অবস্থান
মুখে কা‌লো কাপড় বেঁধে তারা অবস্থান করেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

এসময় ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক দিপন দেওয়ান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, ডিআরইউ সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহ‌মেদ, ক্র্যাব এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, ল'রি‌পোর্টার্স ফোরাম সাধারণ সম্পাদক হাসান জা‌বেদ, ল'রি‌পোর্টার্স ফোরাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মতলু ম‌ল্লিক প্রমুখ।

সূত্র জানায়, বরখাস্ত হওয়া পুলিশের ডিআইজি মিজান ও বরখাস্ত হওয়া দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সাথে ফোনালাপের ঘটনা তদন্তে সাক্ষ্য গ্রহণে দুই সাংবাদিককে সাক্ষী ও দু'ধরনের ‌নো‌টিশ দেওয়ার জন্য চিঠি পা‌ঠি‌য়ে‌ছে দুদক। এর মধ্যে সাংবাদিক দীপু সা‌রোয়া‌রের চিঠিতে সাক্ষ্য না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় দুদক। এরই প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দি‌নের মত কর্মসূচী পালন করেন সাংবাদিকরা।

 

  

 

 

   

৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১ হাজার ৮ শত ২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের এই ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

আগামী শনিবার (১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।ক

বুধবার (২৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে "জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪" উপলক্ষ্যে আয়োজিত কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্তকর্তা ডাঃ ফজলে শামসুল কবিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে শামসুল কবির বলেন, "ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় এক হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে তি হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী পালন করা হবে।"

এবার জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন 'এ' (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' (২,০০,০০০ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ডাঃ শামসুল কবির সভায় জানান।ক

এছাড়াও তিনি, সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রে শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যেতে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।

সভায় জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এর লাইন ডাইরেক্টরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, গালর্স গাইড-রোভার স্কাউট- রোটারী ক্লাব, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প (ইউপিএইচসিএসডিপি), আবু মিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, মা ও শিশু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও হেলথ্ সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এনএইচএসডিপি) এবং ইউনিসেফ এর প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

;

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৭০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৭০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৭০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দুটি প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ডলার ডলার অনুমোদন করেছে তারা, যা স্থানীয় মুদ্রায় আট হাজার ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৬৫ টাকা ধরে)। 

বুধবার (২৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘আমরা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের উদারতাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করি। আমরা স্থানীয় আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক চাপের বিষয়টিও উপলব্ধি করি। এ সংকট এরই মধ্যে ৭ বছরে পা দিয়েছে এবং তাদের স্বল্পমেয়াদি ও জরুরি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। আমরা জটিল এ সংকট কাটাতে এবং রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।'

এ সংকট পদার্পণের সপ্তম বছরে ৩৫০ মিলিয়ন বা ৩৫ কোটি ডলারের ‘ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন (আইএসও)’ প্রকল্প এবং ৩৫ কোটি ডলারের ‘হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)’ প্রকল্প দুটি বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের ‘আইডিএ-২০ উইন্ডো ফর হোস্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড রিফিউজিস’-এর আওতায় এ অর্থায়ন করা হবে। জানা গেছে, ৭০ কোটি ডলারের পুরোটাই অনুদান।

‘ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন’ প্রকল্পটি রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অন্তত ৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জীবিকা ও অপরিহার্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা এবং জেন্ডার সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রতিরোধ সেবার জন্য বিনিয়োগ করবে। এটি ১২ বছরের কম বয়সী ৩ লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে শিক্ষাসহ মানব পুঁজি উন্নয়নে সহায়তা করবে।

আইএসও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার এস আমের আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাস্তুচ্যুতির যে সংকট মোকাবিলা করছে, সেটি আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী হোক, আর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীই হোক, শেষ পর্যন্ত মানুষকে সহায়তার চ্যালেঞ্জ। আইএসও প্রকল্প অস্থায়ী কাজ, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রতিরোধ সেবা দেয়ায় বিনিয়োগ করতে, সুরক্ষা দিতে এবং মানব পুঁজি ব্যবহার করতে উভয় জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে থাকা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু এবং তাদের অর্ধেকের বয়স ১৫ বছরের নিচে। দুটি প্রকল্পই নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর ওপর সংকটের ভিন্ন ধরনের প্রভাবকে বিবেচনায় রেখেছে। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার-স্পর্শকাতর ও জলবায়ু সহিষ্ণু স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা, নিরাপত্তার জন্য সৌরবিদ্যুতের সড়ক বাতি এবং কমিউনিটিভিত্তিক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর নারীদের জন্য প্রশিক্ষণসহ নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে প্রকল্প দুটিতে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম রয়েছে।

এ সংকট শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের ৫৯ কোটি ডলার অনুদান সহায়তা ও সেসব প্রকল্প থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকট থেকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রকল্প দুটি কাজে লাগিয়েছে।

বিশ্বব্যাংক এরইমধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি, মৌলিক অবকাঠামো, সামাজিক সুরক্ষা, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জন্য আয়বর্ধক সুবিধার জন্য সহায়তা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে সহিংসতার কবলে পড়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকটগুলোর মধ্যে একটি।

;

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এ আবেদন করেন।

আইনজীবী জানিয়েছেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা আইন অনুযায়ী অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে এ আবেদন করা হয়। দুদক ব্যবস্থা না নিলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু আজিজ আহমেদ নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

গত ২০ মে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

;

এয়ারবাসের প্লেনই কিনছে বিমান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে। এয়ারবাসের দেওয়া প্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু চূড়ান্ত করছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স। বিমানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বুধবার (২৯ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে তিনি বলেন, এয়ারবাস চারটি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব পাঠায়। যদিও এর আগে তারা দুটি কার্গো উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে আপাতত আমাদের কার্গো উড়োজাহাজের দরকার নেই। এরপর আমাদের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। যে চারটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব পাঠানো হয় তার আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। ওই প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি থেকে বিমানের পরিচালনা পর্ষদে যায় (সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম)। পর্ষদ এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে তা নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, এয়ারবাসের প্রস্তুাবগুলোকে আমরা এখন গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমাদের বহরে সব বড় উড়োজাহাজগুলো বোয়িংয়ের। এজন্য কিছু বৈচিত্র্য এবং নতুন উড়োজাহাজ থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে। তাছাড়া কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির উড়োজাহাজ খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন ঝুুঁকিতে না পড়ি সে কারণে এই বৈচিত্র্যের কথা ভাবছি।

বোয়িংয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, বোয়িংয়ের প্রস্তাব আমরা মূল্যায়ন করবো। বোয়িংয়ের সঙ্গে বিমানের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিমান যে উড়োজাহাজই কিনুক না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে আমরা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছি।

গত ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিমকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আর গত ২৬ মে আরেক প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে বিমানের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেয়।

;