সংবাদ সম্মেলনে মিল্কভিটার এমডি

‘মিল্কভিটার পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ, ক্ষতিকর উপাদান নেই’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পাস্তুরিত তরল দুধ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা)/ছবি: বার্তা২৪.কম

পাস্তুরিত তরল দুধ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা)/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিল্কভিটার পাস্তুরিত তরল দুধে ক্ষতিকর উপাদান নেই। নমুনা পরীক্ষায় একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ মান অর্জন করেছে বিধায় এটি সকলের জন্য নিরাপদ। বাজেটকে কেন্দ্র করে একটি চক্র ক্ষতিকর গুঁড়া দুধ আমদানির পথ সুগম করতে পাস্তুরিত তরল দুধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকালে তেজগাঁওয়ের দুগ্ধ ভবনে এক সংবাদ সম্মলেনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক  (এমডি) মো. দেলোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রান্তিক সমবায়ীরা নিজস্ব গাভী থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কাঁচা তরল দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে গুণগতমান যাচাই বাছাই করে পাস্তুরিত তরল দুধ উৎপাদন করা হয়। যথাযথ তাপ-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করে। মিল্কভিটার নিজস্ব গবেষণাগারে ফ্যাট, এসএনএফ ও ব্যাকটেরিয়াল কাউন্ট ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই বাজারে তরল দুধ বিপণন করা হয়। ফলে তরল দুধে ক্ষতিকর সীসা বা অনুজীব থাকার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রতিবেদনে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।  আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসজিএস-বিডি এবং আইসিডিডিআরবি’র প্রতিবেদনেও মিল্কভিটার তরল দুধ সর্বোচ্চ মান অর্জন করেছে।

মিল্কভিটার এমডি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোক্তারা আস্থার সঙ্গে নিরাপদ পাস্তুরিত তরল দুধ খেতে পারেন। লাখ লাখ প্রান্তিক খামারির নিজস্ব গাভীর দুধ সংগ্রহের পর পাস্তুরিত করে মিল্কভিটা বাজারজাত করা হয়। যা গত চার দশকে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর বাজেটকে কেন্দ্র করে একটি অসাধুচক্র তরলদুধ নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে। আসলে তারা মানহীন ও ক্ষতিকর প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানি করতে চায়। তাদের লক্ষ্য দেশীয় দুগ্ধশিল্পকে ধ্বংস করা।

গত ২৫ জুন প্রকাশিত ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের একজন গবেষকের প্রকাশিত প্রতিবেদনের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন মিথ্যা। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রতিবেদন নয়। তারপরও জনস্বার্থ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিধায় আমরা ফার্মেসি বিভাগকে যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবিলার কথা ভাবছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে শিগগির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে আলোচনার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মিল্কভিটার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তরল দুধ নিয়ে যত মাথা ব্যথা। অপপ্রচারে তরল দুধের বিক্রি কমে গেছে। এতে সর্বশান্ত হওয়ার পথে দেশীয় খামারিরা। অথচ গুঁড়া দুধের ক্ষতির দিক নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বিদেশ থেকে আমদানি করা গুঁড়া দুধের মান যাচাই করা, বাল্ক গুঁড়া দুধ আমদানিতে করের পরিমান ১০ ভাগ থেকে ২৫ ভাগে উন্নীত করা, উন্নত জাতের গাভী ও ষাড়ের বীজের আমদানি শুল্ক মওকুফ, গো-খাদ্যের কাচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক মওকুফ, গো-খাদ্য বিপণন কর রেয়াত, ডেইরি খাতকে ‘থ্রাস্ট সেক্টর’ ঘোষণা এবং দেশে উৎপাদিত দুগ্ধজাত পণ্যের ১৫ ভাগ কর মওকুফের দাবি জানানো হয়।

এ সময় অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) খন্দকার আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) তোফায়েল আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক (বিপণন, ক্রয় ও কারিগরি) আবু মো. শরিফুল ইসলাম  ও উপমহাব্যবস্থাপক (মান নিয়ন্ত্রণ) রেহানা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন, 

প্রাণ, মিল্কভিটা ও আড়ং-এর দুধ মানহীন

   

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

;

ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে পানিতে ডুবে জেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে নদ খননের গর্তের পানিতে ডুবে আলমগীর মিয়া (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আলমগীর মিয়া সদর উপজেলার  চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার আসাদুল্লাহ'র ছেলে।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে নগরীর চরকালীবাড়ি পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে এই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, নদে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিল জেলে। এসময় শুকনো নদের একটি অংশে নদ খননের গভীর গর্তের পানিতে তলিয়ে যায় ওই জেলে। পরে ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ  (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
;

পায়রা বন্দরে ভিড়ল বিদেশি জাহাজ 'এমভি জেইন'



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পায়রা বন্দরে ভিড়ল বিদেশি জাহাজ 'এমভি জেইন'

পায়রা বন্দরে ভিড়ল বিদেশি জাহাজ 'এমভি জেইন'

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে 'এমভি জেইন' নামে বিদেশি জাহাজ।

বুধবার (১৫ মে) বিকাল ৪টায় বন্দরে নবনির্মিত জেটিতে পানামার পতাকাবাহী এই বিদেশি জাহাজ নোঙর করেছে।

বন্দর কতৃপক্ষের তথ্যমতে, জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী এবং দুবাই এর ফুজাইরা বন্দর হতে ৫০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাথর এবং ১২ মিটার ড্রাফ্ট নিয়ে গত শুক্রবার (১০ মে) পায়রা বন্দরের আউটার এঙ্কোরেজে এসে পৌঁছায়। পরে জাহাজটি ২৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে আজকে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল জেটিতে নিরাপদে বার্থিং করে। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে জাহাজটির কার্গো ডিজচার্জিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

২০০ মিটার দীর্ঘ এ জাহাজটি পায়রা বন্দরের জেটিতে নোঙর করায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেটিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

পায়রা বন্দর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বার্তা২৪.কে বলেন, আজকের দিনটি পায়রা বন্দরের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালে পরীক্ষামূলক মাদার ভেসেল বন্দরের জেটিতে অবস্থান নিয়েছে। জাহাজ 'এমভি জেইন' পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল জেটিতে নোঙ্গর করার মাধ্যমে পায়রা বন্দরের জন্য আরও একটি সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। বন্দরের রাজস্ব আহরনে উন্মোচিত হল সম্ভাবনার নতুন দ্বার। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর সফরে আসবেন এবং বন্দরের জেটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রামনাবাদ চ্যানেলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সালের আগস্টে বন্দরের বহিঃনোঙরে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়। সেই থেকে বন্দরে আগত জাহাজের লাইটারেজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করা হয়।

;

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে আড়াইশ' গ্রাম হেরোইনসহ আটকের পর ডবলমুরিং থানায় করা মাদক মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। তবে এই মামলায় মো. মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- আবদুল মালেক ও আবুল হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নগরের ডবলমুরিং থানার কদমতলী বাস স্টেশনে একটি দোকানের সামনে থেকে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল রাতে ৪ জন আসামিকে ২৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭। এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তানভীর আহমেদ ৪ জন আসামির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এর মধ্যে মো. নয়ন নামের এক আসামি মারা যান। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল ৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, পাঁচজনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি আবদুল মালেক ও আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. মনির হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের সময় আসামি আবুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল মালেক পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

;