বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম



রাকিবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাজারে মাছের আমদানি নেই, বেড়েছে দাম ছবি: বার্তা২৪.কম

বাজারে মাছের আমদানি নেই, বেড়েছে দাম ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ-মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, মাছের আমদানি স্বল্পতার কারণে দাম বেড়েছে। অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা দায়ী করছেন বাজার সিন্ডিকেটকে।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 মাছের দাম চড়া
সাগরের মাছ আসা বন্ধ থাকায় মাছের দাম বেড়েছে,  ছবি: বার্তা২৪.কম

 

সরেজমিনে দেখা যায়, নদী ও সাগরের কোরাল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, মাঝারি একটি ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় কেজি ৭০০ টাকা, ছোট টেংরা ও মলা মাছের কেজি ৬০০ টাকা, চাষের কই আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ও মাঝারি গলদা ও বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, পাবদা কেজি ৬০০ টাকা। বড় কাতলের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শোল প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা। মাঝারি সাইজের মৃগেল কেজি ৫০০ টাকা, রুই কেজি ৬০০ টাকা, বোয়াল কেজি ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 মাছের দাম বেড়েছে
বাজারে নদীর মাছের সরবরাহ একেবারেই নেই, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

মাছ-মাংসের এই ঊর্ধ্বমুখী বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে উঠে আসে সুষ্ঠু তদারকির অভাব। ক্রেতাও বিক্রেতারা অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন ভিন্ন দিকে। 

আলী আজগর নামের এক মাছ বিক্রেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, যত দিন যাচ্ছে মাছের সরবরাহ কমছে। বাজারে মাছের আমদানি না বাড়লে দাম কমবে না। উল্টো প্রতিদিন দাম বাড়তে থাকবে।

 মাছের দাম বেড়েছে
 বাজারে ছোট টেংরা ও মলা মাছের কেজি ৬০০ টাকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

মাছের আড়তদার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন সমুদ্রের মাছ আসা বন্ধ আছে। নদী নালাও শুকিয়ে গেছে। বাজারে মাছের আমদানি কম এজন্য দাম বেশি। পাইকারি বাজারে মাছ প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

 মাংসের দাম ও বেড়েছে
  বাজার সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমবে না মাংসের, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

এদিকে, প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি আর ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা। গরুর মাংস বরাবরের মতো ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা। দাম কমানোর তেমন সুযোগ নেই বলে দাবি বিক্রেতাদের।

আরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাছ মাংস সব কিছুর দাম বেশি। মাংসের দাম সব সময় বাড়ে না। মাছের দাম রোজার মাসের তুলনায় অনেক বেশি। যে যেমন খুশি দাম রাখে।

 মাংসের দাম চড়া
 রোজার পর কমেনি মাংসের দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

মাংস বিক্রেতা রফিক মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে একটি গরুর চামড়া বিক্রি করতাম ১৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এখন চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বেচে দিতে হয়। সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিটি গরুর মাংসে ১৬০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে দাম কমানোর কোন সুযোগ থাকবে না।

 

   

পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের ঘর বাতিলের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে তিনি বলেছেন, পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করো; নয়ত আশ্রয়ণের ঘর বাতিল করে দেব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ মে) উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর আশ্রয়ণে গিয়ে বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেন ভূমি কর্মকর্তা সাহাবউদ্দি। এ সময় তিনি ওই আশ্রয়ণের সর্দার মো. শাহাদাতকে মঙ্গলবারের (১৪ মে) মধ্যে বাসিন্দাদের নিয়ে পরশুরাম সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশনা দেন। পেনশন স্কিম চালু না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করবেন বলেও জানান তিনি। একইসময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদও আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে বলেন। 

রাজষপুর আশ্রয়ণের বাসিন্দা পারভীন আক্তার বলেন, ঘরবাড়ি না থাকায় আমরা আশ্রয়ণে থাকি। সেখানের সবারই আর্থিক অবস্থা খারাপ। তারমধ্যে যদি এমন কিছু করে আমাদের আর যাওয়ার জায়গা থাকবে না। গরিব মানুষ কাউকে কিছু বলতেও পারিনা। খুব কষ্টে দিন পার করেছি।

আরেকজন বাসিন্দা বিজলি আক্তার বলেন, আশ্রয়ণের সর্দার শাহাদাত ও ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদ একটি লিফলেট দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের কথা মতো ছবি, এনআইডি আর লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে গিয়েছি। কিন্তু সঙ্গে ৫০০ টাকা না নেওয়ায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে বেঁচে আছি। এসব পেনশন স্কিমের বিষয়ে কিছু জানিনা। ভূমি অফিসের একজন স্যার পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আমাদের ঘর বাতিল করে দেবেন বলেছে। এখন কিভাবে কি করব জানিনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, আমি ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে সেখানে গিয়েছি। তাদের পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেছি। কাউকে জোর করা বা ঘর বাতিলের কথা বলিনি৷  

পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়। 

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভালো কাজের জন্য মানুষকে বলতে হয়। কিন্তু খারাপ কাজের জন্য বলতে হয় না। পেনশন স্কিম চালু করলে তাদের ভবিষ্যতের জন্যই উপকার হবে। তবে নিবন্ধন না করলে তাদের ঘর বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। 

;

লিচুর ফলনে ধস, হাজার টাকা শ’



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লিচুর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এবার ফলন বিপর্যয় ও অধিক দামের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষ। তাপপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার কারণে বেশিরভাগ লিচু বাগানের লিচুর গুটি রোদে পুড়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে; ধারণ করেছে কালো রঙ।

গত কয়েক দিনের অতি তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে লিচু বাগানের অধিকাংশ গাছের লিচু ঝরে পড়েছে; যার ফলে এখন লিচুশূন্য হয়ে পড়েছে বাগানগুলো অথচ কিছুদিন আগেও এলাকার লিচু বাগানগুলো লিচুর গুটিতে ভরপুর ছিল।

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার লিচু উৎপাদনকারী গ্রামের নাম মঙ্গলবাড়িয়া। দেশ এবং বিদেশে এই মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচুর বেশ খ্যাতি রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প কিছু গাছে সামান্য পরিমাণ লিচু টিকে আছে। গাছের নিচে অনেকেই লিচু বিক্রি করছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে মানুষ। ১০০ লিচু এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউ অল্প হলেও নিচ্ছেন আবার কেউ দাম শুনে কিনার আগ্রহ হারিয়েছেন। 

লিচুর গুটি রোদে পুড়ে, শুকিয়ে কালো রং ধারণ করেছে

মনোহরদী থেকে আসা শাহ বকুল বলেন,' আগ্রহ নিয়ে এসেছিলাম দেখতে কিন্তু হতাশ হলাম। এবার লিচু কম। যাও আছে চড়া দাম। এর চেয়ে এলাকা থেকে লিচু কিনব ভাবছি।'

কাপাসিয়া থেকে আসা রাজিব মাহমুদ বলেন, দাম বেশি তাই ৫০ টি লিচু পাঁচশো টাকা নিয়ে নিলাম। শুধু খেয়ে দেখার জন্য৷ নেওয়ার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু সিদ্ধান্ত বদল করতে হলো দামের কারণে৷ 

জানা যায় প্রায় দুইশত বছর পূর্বে সুদূর চীন দেশ থেকে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা সর্বপ্রথম এ জাতের লিচুর চারা নিয়ে এসেছিলেন এই গ্রামের । পরবর্তীতে এ লিচুর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার পর কলম পদ্ধতিতে সংগৃহীত চারা উক্ত গ্রামের ছড়িয়ে পড়ে এবং শুরু হয় লিচুর আবাদ।

মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের এক লিচু চাষী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব দুইশত লিচু গাছ আছে। এছাড়াও আমি শতাধিক লিচু গাছ কিনে রেখেছিলাম। লিচু গাছগুলোতে মৌসুমের শুরুতে মকুলে ভরপুর ছিল। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও গত কয়েকদিনের অতি গরমের কারণে লিচু বাগানের অধিকাংশ গাছের লিচু ঝরে পড়েছে। এর ফলে এখন লিচু বাগানের গাছগুলো লিচু শূন্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে এখন আমাদের মাথায় হাত পড়েছে।’

তিনি বলেন, প্রতিবছর এই গ্রাম থেকে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হলেও এবার লিচু চাষীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

লিচু আকারেও বেশ ছোট

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর ই আলম জানান, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লিচু গাছ রয়েছে। এই গ্রাম থেকে ৮ থেকে ১০ দশ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হতো তবে এবার প্রাকৃতিক প্রচণ্ড গরমের কারণে অন্যান্য ফসলাদীর ন্যায় লিচু চাষিরা অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এলাকায় লিচু চাষীদের নিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে লিচু চাষের করণীয় বিষয় নিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করেছি। এছাড়াও ৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে লিচু বাগানের খোঁজখবর নেওয়া এবং লিচু চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার লিচু চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামার বাড়ি) উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ এবং উপযুক্ত সেচ সুবিধার অভাবে এবার মঙ্গল বাড়িয়া জাতের লিচুর ফলনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সেচ সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে চাষীদের কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে।

;

রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীতে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার গুদামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার  গোডাউনে আগুন জ্বলে উঠে। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় একটি পাকা গোডাউন ঘর ছিল, সেখানে আগুন লাগলে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

;

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;