চলতি বছর রাজাকারের তালিকা প্রকাশিত হবে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
ঢাকা অফিসার্স ক্লাব থেকেঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, 'চলতি বছরেই রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা শুধু রাজাকার-আলবদরদের তালিকা প্রণয়ন করব না, প্রকাশ করব।’
শনিবার (২৯ জুন) ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ'৭১ এর ৫ম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, 'সংবিধানে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আক্ষায়িত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে করা হবে, নতুন প্রজন্ম যেন দেখেই বুঝতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। বাংলাদেশের সকল বধ্যভূমি ও সম্মুখ যুদ্ধের জায়গাগুলো একইভাবে সংরক্ষণ করছি।'
তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন করেছেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে মন্ত্রিসভার সদস্য করেছেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছেন, অসাম্প্রদায়িকতার নীতি বিসর্জন দিয়েছেন।'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার স্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সংরক্ষিত করে মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগারে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে ফোরামের সহ-সভাপতি ম হামিদ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়।
সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ'৭১ এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট মোঃ শফিকুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সি আর দত্ত বীর উত্তম, লে. কর্নেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী, মহাসচিব হারুন হাবিব, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যন ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম প্রমুখ।