মানুষকে বিষ খাওয়াতে দেব না: র্যাব ডিজি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, 'খাদ্যের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দেশের মানুষকে বিষ খাওয়াবে, তা হতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষকে বিষ খাওয়াতে দেব না।'
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ানে বাংলাদেশ রিটেইল ফোরাম আয়োজিত 'সুপারস্টোরে পণ্যের মান রক্ষণাবেক্ষণ' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, 'কোথায় ভেজাল নাই? খাবারে ভেজাল, রেস্টুরেন্ট, রাস্তার দোকানেও ভেজাল। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল। দুধের মধ্যে পানি তাও কিন্তু ভেজাল। ব্যবসায়ীরা গরুর খাদ্য আমদানির নামে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য আমদানি করছেন। অথচ নতুন মেয়াদের তারিখ বসিয়ে বিক্রি করছেন। আমরা এই ভেজাল ব্যবসায়ীদের ফাঁসি চাই। এরা নীরব ঘাতক। এরা নীরবে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করছে।'
তিনি বলেন, 'একটি সভ্য দেশের মতো সব গুণাবলী আমাদের দেশে উপস্থিত। আমরা শিশুর বিষাক্ত খাদ্য চাই না। আমাদের কোনো ব্যবসায়ী কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে ভেজাল খাদ্য তৈরি করবেন, তা আমরা চাই না। দ্রুত বড়লোক হওয়ার নেশায় ভেজালে জড়াবেন না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব করতে পারে না। আমাদের দেশের মানুষকে বিষ খাওয়াতে দেব না।'
র্যাব ডিজি বলেন, 'যারা সুপারস্টোরেজ পরিচালনা করছেন, আজ তাদের নিয়ে বসলাম। আমরা এখান থেকে কিছু ম্যাসেজ দিতে পেরেছি। এই খাদ্যের প্রতিটি স্তরে ভেজাল হচ্ছে, জালিয়াতি হচ্ছে, বিষাক্ত খাবার বিক্রি ও খাওয়ানো হচ্ছে। আমি বিনীত অনুরোধ জানাবো, আমাদের দেশের মানুষকে বিষাক্ত খাবার খাওয়াবেন না। বিদেশ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিষাক্ত খাবার আমদানি করবেন না।'
তিনি বলেন, 'যখন কমিশনার ছিলাম তখন রাজধানীতে মাত্র সিসা বার গড়ে উঠছে। এক রাতে ৪৫টি সিসা বার বন্ধ করেছিলাম। সরকারের প্রতি রুল জারি করা হলো। চাওয়া হলো, জবাব না দেয়া পর্যন্ত ব্যবসা করার অনুমতি। কোর্ট অনুমতি দিল। চলছে সেই সিসা বারের ব্যবসা।'
বেনজীর আহমেদ বলেন, 'হজ্ব করবে মানুষ। সেখানেও ভেজাল। ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে এই টাকা হাতিয়ে নিতে একটি চক্র জোটবদ্ধ হয়েছিল। সেখানে র্যাব গেছে। জরিমানা করেছে, বন্ধ করেছে। প্রান্তিক জনগণের নিরীহ মানুষের পকেট কেটে কিছু মানুষ টাকা নিয়ে যাবে আমরা তামাশা দেখব তা হবে না। ইনশাল্লাহ র্যাব এবার আরও কার্যকরী উদ্যোগ নেবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আসলে জেল দিয়ে জরিমানা করে পরিবর্তন করা সম্ভব নয় সচেতনতা দরকার, পরিবর্তনের মানসিকতা দরকার। আমাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে তা পূরণের চেষ্টা থাকা দরকার। কারণ এই দেশটা আমাদের। সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে।'