‘১০ বছরে মানসম্মত বীজ সরবরাহ দেড় গুণ বেড়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫-২০ ভাগের বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরতে এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় চাহিদামাফিক মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে `জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯' উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। এজন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি ও নীতি বাস্তবায়ন করছে। ফলে কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বিগত দশ বছরে মানসম্মত বীজ সরবরাহ দেড় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টনের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয় ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯২২ মেট্রিক টন, যা দেড় গুণের বেশি উৎপাদিত হয়।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রধান দানাশস্য ফসল ধান ও গমের ক্ষেক্রে মানসম্মত বীজের সরবরাহ যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ ধান বীজের ক্ষেত্রে মৌসুম ওয়ারী বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে মানসম্মত বীজের সরবরাহ শতকরা হার যথাক্রমে ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ৫৯.৯৮ শতাংশ, ২৯.৭২ শতাংশ।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়- ‘খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে মানসম্মত বীজের ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) চত্বরে ২৮-৩০ জুন তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় বীজ মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।

   

নেত্রকোণায় ভারতীয় ৪০০ বস্তা চিনিসহ আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোণায় ৪শ’ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ তিনজনকে আটক করেছে মডেল থানার পুলিশ। একই সাথে চিনি বহনকারী ট্রাকটিও আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নেত্রকোণার রাজুর বাজার এবিসি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে আটক করা হয়। পরে ওইদিন বিকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নেত্রকোণা পৌরসভার চকপাড়ার গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে মো. মাসুম (৪০), গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখলা গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে জায়েদ মিয়া (২২) ও একই জেলার পূবাইল উপজেলার হারবাইত গ্রামের মৃত বারেক মিয়ার ছেলে বাবু (৪৫)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি আমদানি করে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করে সোমবার বিকেলে তাদের নেত্রকোণা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ছাপিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। এটিই চলতি মৌসুমে সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৬ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রার পারদ আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৩ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ৩০ এপ্রিলের পর থেকে এ জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।

তিনি আরও জানান, আগামী ৪ মে পর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এক সপ্তাহের মতো স্থায়ী হতে পারে। এসময় রোদের সাথে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা সহনশীল হবে।

;

নড়াইলে প্রচণ্ড গরমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ইতনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো- ৭ম শ্রেণির সাহারা, রেজোয়ান, ৮ম শ্রেণির সিহাব, সোহাগ, অনামিকা, বায়োজিদসহ ১২ জন শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, প্রচন্ড গরমের কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই ইতনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। বেলা ১১টা পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা অশোক ঘোষ জানান, রোজা, ঈদ ও গরমের কারণে দীর্ঘ ছুটির পর রোববার (২৮ এপ্রিল) স্কুল খুলেছে। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে অতিরিক্ত গরমে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। তিনি স্কুল-কলেজে মর্নিং শিফট চালুর দাবি জানান।

ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার বলেন, প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক এনে তাদের সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

নড়াইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুল একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

যশোরে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪২.৮ ডিগ্রিতে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র তাপদাহে যশোরে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষজন একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে জেলায়।

এদিকে প্রচন্ড গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। প্রচন্ড গরমে গলে গেছে যশোরের বেশ কয়েকটি পিচঢালা সড়ক। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে।

যশোর শহরের রিকশাচালক রহিম মিয়া বলেন, তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। সূর্যের প্রখরতা এতো বেশি যে মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না।

রিকশাচালক নূর ইসলাম বলেন, মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা বাইরে আসছে গরমের সঙ্গে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সাথে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না।

শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম জানান, প্রায় একমাস ধরে চাপকলে পানি উঠছে না। বাসার ছাদের রিজার্ভ ট্যাংকের পানি অনেক গরম হয়ে যাচ্ছে। দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পর্যন্ত পানিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।

শরবত বিক্রেতা আবুল কালাম জানান, গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

এদিকে তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে পানি সংকটে পড়েছে শহরের বাসিন্দা। তারা বলছেন, যে টিউবওয়েলে সহসা আসতো পানি, সেই টিউবওয়েলে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পুকুরে যেতে হচ্ছে।

;