অর্ধশত কর্মকর্তাকে গাড়ি সেবা দিতে সুদমুক্ত অর্থ বরাদ্দ চায় ইসি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অনুকূলে সার্বক্ষণিক সরকারি গাড়ি ব্যবহারে সুদমুক্ত অগ্রিম অর্থ বরাদ্দ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এখনো সেই চিঠির ইতিবাচক কোনো উত্তর পায়নি কমিশন।

গত ২৫ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ‘প্রধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা অগ্রিম নগদায়ন ২০১৮ (সংশোধনী) এর নীতি ৬(৪) অনুযায়ী গাড়ি ক্রয় ও আনুষঙ্গিক খরচাদি যেমন রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ইত্যাদি খরচ নির্বাহের জন্য এককালীন সুদমুক্ত ঋণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এ সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে এক শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে।’

এরপর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে মাসে সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ৩৯ জন কর্মকর্তার বিশেষ অগ্রিম ও গাড়িসেবা নগদায়নের প্রাপ্যতা রয়েছে উল্লেখ করে অর্থ বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দেন।

তবে এরই মধ্যে কিছু কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় অর্ধশত। সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম কোড অনুমোদন ও সচিবালয়ের সংশোধিত বাজেটের মধ্যে পাঁচ কোটি ১০ লাখ টাকা সংযোজন করার অনুরোধ জানান।

তবে আগামী অর্থবছর থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তারা ঋণ সুবিধা পেতে শুরু করবেন। জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে মৌখিক সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ইসি সাবেক সচিব অর্থ সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের নিয়োগ ও অন্যান্য সুবিধা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন, ২০০৯ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আইনের-৭ ধারা মোতাবেক নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিষয়ে সরকারের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কর্মকর্তা ও সুবিধা প্রদানের বিষয়টি একান্তই তাদের নিজস্ব।’

‘কমিশন সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগেও স্বতন্ত্র আইনি বিধান রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বরং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেটের আওতায় সম্পূর্ণ এখতিয়ারাধীন।’

কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ‘৭২১৫১০৩- সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম’ কোড অনুমোদন ও সচিবালয়ের সংশোধিত বাজেটের মধ্যে পাঁচ কোটি ১০ লাখ টাকা পুন:উপযোজন প্রয়োজন।

জানা গেছে, সরকারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মতো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারাও ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত গাড়ি ঋণ পাচ্ছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতি এসেছে। তবে, ইসির ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন কমিশনের জন্য যেহেতু আলাদা বাজেট হয়, সেই কারণে তাদের ঋণের বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের গাড়ি ঋণের জন্য কী পরিমাণ অর্থ দরকার হবে, তা তারা বাজেটে চাহিদা আকারে দেবে এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করবে।

জনপ্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের আরও অনেক দফতর রয়েছে যেখানে উপসচিব বা তার থেকে উচ্চ পদমর্যাদার নিজস্ব কর্মকর্তা রয়েছে। এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশন বা সংসদ সচিবালয়কে গাড়ি ঋণ দেওয়া হলে অন্যদের থেকেও দাবি উঠবে। যেটা সরকারকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা মতামত দিলেই বিষয়টি সমাধানে আসবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে যারা উপযুক্ত পদে থাকবেন, তারাই এ সুবিধা পাবেন।’

ইসির উপ-সচিব (সাধারণ সেবা) মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি এখনো সমাধানে আসেনি। এটি এখনও প্রক্রিয়াধীন আছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পদভিত্তিক কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আশা করি দ্রুত সেটির সমাধান হবে।’

   

গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেছেন বলে স্বজনরা জানায়। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, 'মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।' 

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

;

ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার অ্যান্ডটি মোড়ে ভুট্টা বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সার বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন ভুট্টার ট্রাকের চালক জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমিহনী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বী (৩৮) ও তার সহকারী (হেলপার) একই এলাকার রেজওয়ান হোসেন (৩২)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, টিঅ্যান্ডটি মোড়ে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক ট্রাকের চালক-হেলপার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;