রফতানিকে বহুমুখী করতে উপযোগী কৃষিক্ষেত্র :কৃষিমন্ত্রী
রফতানিতে শুধুমাত্র গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে, এ খাতকে বহুমুখী করতে কৃষিক্ষেত্র সবচেয়ে উপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (১৬ জুন) দুপুরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে 'ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৯' উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'বহুমুখী রফতানি বাড়াতে কৃষিক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ। আজকে ফল মেলায় যে সকল ফল এসেছে আমরা এইসব ফলগুলো যদি রফতানি করতে পারি, বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমুখী করা যাবে, একই সঙ্গে মানুষের আয় বাড়বে এবং স্থানীয় বাজারে কৃষকের আয় বাড়বে। আম, লিচু চাষ করে কোনো চাষিকে লোকসানে পড়তে হবে না।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে চিরদিনই খাদ্যের ঘাটতি ছিল, একটা সময় অনেক দেশে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হত। তবে এখন সে চিত্র আর নেই। আনন্দের কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ এখন দানা জাতীয় খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ১৬ কোটি মানুষকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে সরকার। এর পরে যারা খাদ্য পাচ্ছে না তার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল সেফটি প্রোগ্রাম চালু আছে। এবারের বাজেটে ৬৪ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া হয়েছে। গত বছরে এটি ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, 'ধানের উৎপাদন বেশি হওয়ার ফলে আমাদের খানিকটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল এবার। ধান উৎপাদনে শ্রমিকের খরচ বেড়েছে। ধান কাটতে একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে হয় ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। সঙ্গে খাবারও দিতে হয়। ধান কাটা শ্রমিক ও পাওয়া যাচ্ছে না। এটা ভালো দিক, মানুষের উন্নতি হচ্ছে। তাই সময় এসেছে এখন কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, 'গাছ তোমার পরিচয় কী, ফলেই পরিচয়, এই কথার মাধ্যমে বোঝা যায় সারাদেশে ফলের চাষ বেড়েছে। আজ মেলাই কত বিচিত্র ফল এসেছে। তাই আমি মনে করি এসব দেশীয় ফলের মূল জাতের সংরক্ষণ করা দরকার।'
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির একরামুল হক, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মদন গোপাল সাহা, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সহ আরও অনেকে।