ফজলের স্থলে সজল

মুক্তি পাচ্ছেন সেই ছোট ভাই, ওসিকে শোকজ



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
আদালতে পাড়ায় বড়ভাইয়ের সাজায় আটক সজল, ছবি: বার্তা২৪.কম

আদালতে পাড়ায় বড়ভাইয়ের সাজায় আটক সজল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে বড় ভাই সেলিম হোসেন ওরফে ফজল মিয়ার (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে জেলে পাঠানো ছোট ভাই সজল মিয়াকে (৩৫) মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারামুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত বড় ভাইকে গ্রেফতার না পেয়ে ছোটভাইকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর দায়ে নগরীর শাহ মখদুম থানার ওসিকে সাত দিনের মধ্যে আদালতে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বুধবার (১২ জুন) বিকেলে ভুক্তভোগী সজল মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মনসুর আলম এই আদেশ দেন। ফলে বিনা দোষে দেড় মাস জেল খাটার পর মুক্তি পাচ্ছেন পেশায় ডাব বিক্রেতা সজল মিয়া।

শুনানিতে অংশ নেওয়া রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।'

সজল মিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহন কুমার সাহা বলেন, 'বিনা অপরাধে প্রায় দেড় মাস জেল খাটানোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে আদালতে আরেকটি আবেদন করা হবে।'

গত ৩০ এপ্রিল মহানগরীর ছোটবন গ্রাম থেকে সেলিম হোসেন ওরফে ফজল মিয়া দেখিয়ে ছোট ভাই সজল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেল থেকে মুক্তি পেতে গত ২৬ মে কারাগার থেকেই আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন সজল। আবেদন আমলে নিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে ছোটভাইকে জেলে পাঠাল পুলিশ!

রায়ে আদালত বলেন, 'জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী- কারাভোগ করা সজল মিয়ার জন্মতারিখ ২৭ মে ১৯৮৪ এবং পিতার নাম তোফাজ উদ্দিন। ২০০১ সালে দায়ের করা মামলার এজাহারে সেলিম হোসেন ওরফে ফজল মিয়ার বয়স লেখা রয়েছে ২৭ বছর। ২০০১ সালে ফজলের বয়স ২৭ হলে, বর্তমানে তার বয়স ৪৫ বছর হবে। কিন্তু জন্মতারিখ অনুযায়ী গ্রেফতার সজল মিয়ার বর্তমান বয়স ৩৫ বছর। যা অসামঞ্জস্য।'

আদালত আরও উল্লেখ করেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফজলের শারীরিক বর্ণনার সঙ্গে সজলের শারীরিক বর্ণনার মিল নেই। সজলের ভাই ও বোনদের দেওয়া এফিডেফিটের তথ্য মতেও আটক সজল ও দণ্ডপ্রাপ্ত ফজল তাদের সহোদর। কিন্তু একই ব্যক্তি নয়।

আদালত সার্বিক তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে সজল মিয়া এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুত মুক্তির আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর ছোটবন গ্রামের বাসিন্দা তোফাজের চার ছেলের মধ্যে সেলিম হোসেন ওরফে ফজল মিয়া তৃতীয়। ২০০১ সালের ২০ মে শিশু পাচারের দায়ে ফজল মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। মামলার পাঁচদিন পরই গ্রেফতার হন ফজল মিয়া।

বেশ কিছুদিন পরে জামিনে বেরিয়ে গা ঢাকা দেন তিনি। এরপর থেকে তার কোনো হদিস পায়নি পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যরাও। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই চলে বিচারকার্য। ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট ওই মামলার রায়ে ফজলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

তবে কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও পলাতক ফজল মিয়াকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয় পুলিশ। মাঝেমধ্যেই ছোটবন গ্রামে ফজল মিয়ার পৈতৃক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসছিল শাহ মখদুম থানা পুলিশ। সবশেষ চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল অভিযানকালে ফজলকে না পেয়ে ছোট ভাই সজলকে ধরে ‘ফজল’ সাজিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

আদালতের রায়ের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গত ৩০ মে ওসি বার্তা২৪.কম-কে বলেছিলেন, 'আমরা ঠিক আসামিকেই ধরেছি। মামলার সাক্ষীরা আসামিকে শনাক্ত করেছেন। এ নিয়ে তারা এফিডেফিটও করে দিয়েছেন। সেটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।'

   

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;

মানিকগঞ্জে সেলফি তুলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেওয়ার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে শাড়িতে আগুন লেগে দগ্ধ হয় মলি রানী (৪৬) নামের এক নারী। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মলি রানী। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গঙ্গাধর পট্টি এলাকার অশোক্নসাহার স্ত্রী মলি রানী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসন্তী পূজার দশমীর দিন গত ১৮ এপ্রিল শহরের কালীবাড়ী মন্দিরে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেয়ার সময় দেবীর সাথে সেলফি তুলছিলেন মলি। এ সময় পাশে থাকা প্রদীপের আগুন শাড়িতে লেগে দেহের ৩০ ভাগেরও বেশি পুড়ে যায়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসন্তি পূজার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলো মলি। এরপর সেখানেই চিকিৎসাদীন তার মৃত্যু হয়।

;