বাঘায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঈদ মেলায় মানুষের ঢল



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
মাজার প্রাঙ্গণে বড় পুকুর পাড়ে বিনোদনপ্রেমীরা / ছবি: বার্তা২৪

মাজার প্রাঙ্গণে বড় পুকুর পাড়ে বিনোদনপ্রেমীরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মহানগর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাঘা উপজেলা। যার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে পদ্মা নদী। ইসলাম প্রচারের জন্য প্রায় ৫০০ বছর আগে বাগদাদ থেকে পাঁচজন সঙ্গীসহ বাঘায় আসেন শাহ আব্বাসী (রঃ)। সঙ্গীদের নিয়ে বসবাস শুরু করেন পদ্মাপাড়ে।

নিজের চারিত্রিক মাধুর্য্য, জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও আত্মিক শক্তির বলে স্থানীয় মানুষকে ইসলাম প্রচারে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন তিনি। ক্রমে অন্য ধর্মের মানুষ তাঁর হাত ধরে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নিতে শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ইসলাম প্রচারের কাজ করেন ছেলে শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলা (রঃ) ও শাহ আব্দুল হামিদ দানিশ মন্দ (রঃ)।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559742459104.jpg

বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ স্থাপন করেন তাঁরা। মসজিদের প্রবেশ পথের উত্তর গেটের বামদিকে শাহদৌলার (রঃ) রওজা শরীফ। সেখানেই তাঁদের জ্ঞান সাধনার পীঠস্থান। তাঁদের ওরশকে কেন্দ্র করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে বাঘা ওয়াকফ এস্টেটের বিশাল এলাকা জুড়ে শুরু হয় ঈদ মেলা।

ঈদ পরবর্তী ১৫ দিন ধরে চলে এই মেলা। ঈদের তৃতীয় দিনে মূলত ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন জোহর নামাজের পর মেলায় আসা লাখো মানুষের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়।

এদিকে, প্রতি বছরের মতো এবারও শুরু হয়েছে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঈদ মেলা। ঈদের দিন দুপুর থেকে মেলায় মানুষের ঢল নেমেছে। নামাজ শেষে লাখো মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন। শাহদৌলা কলেজ মাঠ, মাজার চত্বর, উৎসব পার্কে তিল ধারণের জায়গা নেই। মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান উৎসব হলেও সকল সম্প্রদায়ের মানুষই আসে এই মেলায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559742488920.jpg

বিশাল এলাকাজুড়ে অস্থায়ী দোকান করে মেলায় বিভিন্ন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে সার্কাস, যাত্রা, নাগরদোলা, মটোরসাইকেল ও কারগাড়ি ‘ঘোরানখেলা’।

মেলায় বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি, খাবার সামগ্রী ছাড়াও শিশুদের খেলনা, মনোহারি সামগ্রী, লোহার দ্রব্য, কাঠের আলনা, চেয়ার, টেবিল, খাট, ড্রেসিং টেবিল, পালঙ্ক, শো-কেচ, মাটির হাড়ি পাতিল, প্রসাধনী সামগ্রী, হরেক রকমের শামুকের মালা, কাঠের সামগ্রী, বেলুন, বাঁশি পাওয়া যাচ্ছে।

নাটোরের লালপুর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলায় আসা আলতাফুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ছোটবেলার আব্বার সঙ্গে মেলায় আসতাম। বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি, খেলনা কিনে দিতো আব্বা। এখন আব্বা বেঁচে নেই। ছেলে-মেয়ে, বউকে নিয়ে ঈদে মেলায় আসি। এখানে আসলে খুব ভালো অনুভব করি। অনেক পুরোনো স্মৃতি রোমান্থনের পথ খুলে দেয় এই মেলা।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559742513983.jpg

রাইসা তাবাচ্ছুম নামে এক তরুণী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আব্বু ও ভাইয়ার সঙ্গে মেলায় আসা হয়। বিগত ৬/৭ বছর মেলায় ঘুরতে আসি। বিশেষ করে ঈদের দিন। যেদিন মেলা শুরু হয়। এদিন বেশি মানুষ আসে, হরেক রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। কীভাবে দিন পার হয়ে যায় বুঝেই উঠতে পারি না।’

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মেলায় আসা ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধ মো. শাইজুদ্দীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মেলায় আগের চেয়ে এখন লোকজন বেশি হয় ঠিক, তবে আগের মতো ঐতিহ্য নেই। জিনিসপত্রে যে ঐতিহ্য আগে ছিল, এখন তা নেই। এখানে আগে যেসব জিনিস পাওয়া যেতো, তাতে ধর্মীয় অনুভূতি যুক্ত ছিল। কিন্তু এখন সব বাণিজ্যিক হয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব এই মেলায়ও পড়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559742546055.jpg

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা কাঠের আসবাবের দোকানি মঈনুদ্দীন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ১৩ বছর ধরে মেলায় দোকান দেই। এরআগে আমার বাবা দোকান বসাতো। একই স্থানে আমি এখন বেচাকেনা করছি। ১৫ দিনের মেলায় খরচ-খরচা বাদ দিলেও লাখ টাকার ব্যবসা হয়।’

জানতে চাইলে মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটা একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা হয়। এখানে কিছু রীতি মেনে চলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মেলায় যাতে ঐতিহ্য ফুটে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেলায় সার্কাসের নামে যাতে কোনো প্রকার অশ্লীলতা এবং জুয়া খেলা না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে আয়োজকরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কমতি নেই। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আশা করি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে মেলায় আনন্দ উপভোগ করবে মানুষ।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559742587837.jpg

জানা যায়, চলতি বছর ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকায় মেলার ইজারা পেয়েছেন বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন। জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মেলার ইজারা থেকে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষি না। ঐতিহ্যবাহী মেলা, লাখো মানুষ আসে এখানে। মেলায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নে আমরা তৎপর রয়েছি। নামমাত্র মূল্যে দোকানিরা মেলায় ব্যবসা করতে পারছেন। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।’

   

একদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার গণভবন থেকে রওনা হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক বলেন, তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা প্রদান করবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধনসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াসহ জেলা জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

;

ঢাকায় পিটার হাসের উত্তরসূরি হচ্ছেন চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডেভিড মিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডেভিড স্লেইটন মিল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে হোয়াইট হাউজ এ নিয়োগের কথা জানায়।

ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত করার বিষয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্ত এখন মার্কিন কংগ্রেসে যাবে। সেখানে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে শুনানি হবে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কংগ্রেস এ মনোনয়ন অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

মনোনয়ন অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশ মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

হোয়াইট হাউজের তথ্য অনুযায়ী, ডেভিড স্লেটন মিলি মার্কিন ফরেন সার্ভিসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর পদমর্যাদার জেষ্ঠ কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন। ডেভিড মিল নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন ব্যুরোর পরিচালক ছিলেন।

তিনি ওয়াশিংটন, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, বাংলাদেশের ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ের পরামর্শদাতা ও অর্থনৈতিক ব্যুারোতে মুদ্রাবিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালক ছিলেন।

;

‘টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে। তামাকপণ্যের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, বায়ু দূষণ প্রভৃতিকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞগণ। হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর বিএমএ ভবনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ উঠে আসে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, ‘স্বাস্থ্য’ কেবল নিরোগ থাকা নয় বরং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই ‘স্বাস্থ্য’। সাধারণভাবে স্বাস্থ্য উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন, এবং উপশম এই পাঁচটিকে একত্রে ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ বলা হলেও প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ‘স্বাস্থ্য’ বলতে কেবল ‘চিকিৎসা ব্যবস্থা’ কে বোঝানো হয়ে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্ব্য সংস্থার মতে হেলথ প্রমোশন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খাবারে অতিরিক্ত চর্বি, লবণ ও চিনি পরিহার এবং তামাক ও অ্যালকোহল বর্জন প্রভৃতি কাজে উদ্বুদ্ধ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা ‘হেলথ প্রমোশন’ কার্যক্রমের অংশ। তবে এই কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সংস্থাটি। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ ইতোমধ্যে হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সাফল্য দেখিয়েছি।

কর্মশালার প্রধান অতিথি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ থেকে বছরে প্রায় ৩’শ কোটি আদায় হয়, যা স্বাস্থ্য উন্নয়নে খরচ করার কথা থাকলেও আমরা পারছি না। একটি স্বাধীন হেলথ প্রমোশন প্রতিষ্ঠান গঠন করে এই অর্থ স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা গেলে জনগণ এবং সরকার উভয়ই লাভবান হবে।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নানাবিধ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তবে টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে চিকিৎসায় ব্যক্তির ব্যয় প্রায় ৭৪ শতাংশ, যার দুই-তৃতীয়াংশই খরচ হয় ওষুধে। হেলথ প্রমোশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি জনগণের অসুস্থতা, মৃত্যু এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমে আসবে।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন, সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র হেড অব প্রোগ্রামস হাসান শাহরিয়ার।

;

প্রেমিক যুগলকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। গত ৭ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই আদেশ জারি করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, খাসকররা ইউনিয়নের তিওরবিলা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা পরিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা আদালতে গ্রহীত হয়। এ প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১ এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আলমডাঙ্গা থানার মামলা নম্বর ১ (জি.আর ১৫৫/২০২৩), তারিখ: ১২/১০/২০২৩-এর অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, চুয়াডাঙ্গা আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল-এর বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।

সেহেতু, জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) শারমিন আক্তার বলেন, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানোর পর সন্তুষ্ট না হলে স্থায়ী বহিষ্কারও করতে পারেন।

;