শেখ হাসিনা-সাউলি নিনিস্তোর বৈঠক শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিনল্যান্ডে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বৈঠক শুরুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে দুই শীর্ষনেতা বৈঠকে বসেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ত্রিদেশীয় সফরের শেষ গন্তব্য ফিনল্যান্ডে পৌঁছান। সরকারি এ সফরে তিনি দেশটিতে পাঁচদিন অবস্থান করবেন।

   

সম্পত্তির লোভে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্পত্তির লোভ এবং চাকরি শেষে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করতেই ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ উঠে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার তিন সন্তান ও জামাইয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নিহত রবিউল ইসলাম (৪৯) কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বানিয়াখড়ি গ্রামের মৃত: সদর উদ্দিনের ছেলে। সে একই উপজেলার বাঁশগ্রাম সাব পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এসব বিষয় নিয়ে শুক্রবার (১০ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত পোস্ট মাস্টার রবিউল ইসলামের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলামের মা মোছা: রোকেয়া খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া খাতুন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে কুমারখালী উপজেলার বানিয়াখড়ি গ্রামের মৃত আদিল উদ্দিন শেখের মেয়ে মোছা: মাহফুজা আক্তার রুলির সাথে বিয়ে দেন তার একমাত্র সন্তান মো: রবিউল ইসলামকে। বিয়ের পর থেকেই রুলি তার সন্তানকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতো। দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তান ও এক জামাই ছিল। সম্পত্তির লোভে প্রায়ই স্ত্রী, সন্তান ও জামাই রবিউলকে নির্যাতন করতো প্রতিনিয়ত।

নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ৪মে রাত আটটার দিকে আমার ছেলে রবিউল ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার রুলি (৪৫), তার বড় বোন মোছা. বেলী খাতুন ( ৫৫), ছেলে মো. বন্ধন হোসেন (২০), মেয়ে মোছা: সেতু খাতুন (২৫) ও ঋতু খাতুন (১৫) এবং জামাই মিলন হোসেন প্রথমে নিজ বাড়ির ছাদে রবিউলকে ব্যাপক মারপিট করে এবং পরে ধানক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক জোর করে রবিউলের মুখের মধ্যে দিয়ে দেয় তার স্ত্রী সন্তান ও জামাইরা মিলে। বিষপানের পর রবিউলের গোংড়ানি শুনে তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় তার ছেলেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেন। সেখানে রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫মে সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্পত্তির লোভে এবং পোস্ট অফিসে চাকরি শেষে সব টাকা নিজের করতেই নানান ফন্দি আঁটে এবং ষড়যন্ত্র করে স্ত্রী, সন্তান, জামাই। এভাবেই স্ত্রীর সহযোগীরা মিলে তার ছেলে রবিউলকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে রবিউল তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখে গেছে ' আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী রুলি, ঋতু, বন্ধন, সেতু, মিলন, বেলি। এরআগেও নিজ বাড়ীর দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন। 'তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় রোকেয়া খাতুন ৫ মে রবিউলের স্ত্রী মোছা. মাহফুজা আক্তার রুলি (৪৫), স্ত্রীর বড় বোন মোছা. বেলী খাতুন ( ৫৫), ছেলে মো. বন্ধন হোসেন (২০), মেয়ে মোছা. সেতু খাতুন (২৫) ও ঋতু খাতুন (১৫) এবং জামাই মো. মিলন হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে মামলা করেন।

মামলায় ঘটনার দিন রাতেই স্ত্রী রুলিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানতে চাইলে রবিউলের চাচাতো বোন ফারজানা আক্তার জানান, রবিউল ও রুলি সম্পর্কে মামাতো - ফুফাতো ভাই - বোন ছিল। ৩০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রুলি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। একপর্যায়ে ২০০১ সালে রুলি আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা করেছিল। কিন্তু রবিউল ও স্বজনরা চাকুরি হারানোর ভয়ে তা মিটমাট করে নিয়েছিল। তবুও নির্যাতন থামেনি কোনোদিন।

এঘটনায় রবিউলের স্ত্রী জেলহাজতে এবং জামাই ও সন্তানেরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক সুব্রত বিশ্বাস ফোনে জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে পরে।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) জুম্মার নামাজ শেষে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

'অব্যাহত ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা হাতে 'বিশ্ব মুসলিম ঐক্য কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর', 'নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর', ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘের জবাব চাই' এই স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র কর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টন মোর এবং বিজয়নগর প্রদক্ষিণ করে আবার পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

এর আগে জুম্মার নামাজ শেষে মিছিলপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর ফয়জুল করিম বলেন, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের নির্বিচারে হত্যা করছে আর আমরা কি করে তাদের (ইসরাইল) পণ্য ব্যবহার করে তাদের সহযোগিতা করি। তাদের পণ্য ব্যবহার করা মানে ফিলিস্তিনে মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর অত্যাচারে তাদের সহযোগিতা করা। শুধু বয়কট নয়, আইন করে সরকারকে ইসরায়েলি পণ্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা আমাদের জোর দাবি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরাসরি ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করছে ইনশাল্লাহ। যখনই আমাদের প্রয়োজন হবে, সুযোগ হবে, আমাদের যা কিছু আছে সব নিয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

;

নীলফামারীতে ১৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ১৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই

নীলফামারীতে ১৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ১৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১০ মে) তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে কৈমারী ইউনিয়নের বড়ঘাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার সিংগিমারী এলাকার জনাব আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৮) ও কুমিল্লার মোহনগঞ্জের রফিকুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের ১৮০ বোতল ফেনসিডিল একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আদালতে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

সেওতা কবরস্থানে পাইলট জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ৩টায় গার্ড অব অনার প্রদানের পর মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা মানিকগঞ্জ জেলা শহরের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়াম মাঠে নিহত পাইলট আসিমের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এ সময় আসিম জাওয়াদের বাবা, বিমান বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ অসংখ্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আর দুপুর পৌনে ১২টায় তার মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি।

;