গরিবের ঈদ আছে, আনন্দ নেই!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদের দিনে বিক্রির জন্য ফুলের মালা গাঁথছেন কয়েকজন নারী

ঈদের দিনে বিক্রির জন্য ফুলের মালা গাঁথছেন কয়েকজন নারী

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল থেকে রাজধানীতে মেঘলা আকাশ আর থেকে থেকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। এর মধ্যেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন ঘরমুখো মানুষ। অধিকাংশ মানুষ ঘরমুখো হলেও ব্যতিক্রম ঢাকায় খেটে খাওয়া ভাসমান মানুষেরা। তাদের ঘরে ঈদ আসে ভিন্নভাবে।

এদের মধ্যে কারো কারো জীবনে ঈদ কখনোই উৎসবের আমেজে আসেনি, আবার কেউ কেউ ঈদ উৎসবের আনন্দ উপেক্ষা করে বাড়তি আয়ের আশায় ছুটে এসেছেন রাজধানীতে। তারা ঈদের নামাজ আদায় করেই নেমে পড়বেন রুটিরুজির সন্ধানে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর শাহবাগ, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, হাইকোর্ট মোড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে ভাসমান শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

গাইবান্ধার রিকশাচালক আকবর হোসেন ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন গত পরশু, একটু বাড়তি আয় করার জন্য। বার্তা২৪.কম’কে তিনি বলেন, গরিবের ঈদ আছে, আনন্দ নেই! ঢাকায় ঈদ করবো, কাজের মধ্যেই আমাদের আনন্দ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/04/1559647817717.jpg
আকবর হোসেন জানান, তার দুই ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে, তাদের বাড়তি খরচ যোগাতে রিকশা চালাচ্ছেন ঈদের সময়। দশ দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় হবে তা নিয়ে বাড়িতে ফিরতে চান তিনি।

সবাই ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছে আপনি ঢাকায় আসলেন জানতে চাইলে আকবর হোসেন বলেন, ঈদ সবার একরকম না, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ; আয়-ইনকাম একটু বেশি হলে সেটাই আমাদের ঈদ।

আকবরের মতো ঢাকায় রিকশা চালান মো. রেজাউল। বাড়ি তার ফরিদপুর, থাকেন ঢাকার মুগদার মান্ডায়। বার্তা২৪.কম’কে তিনি বলেন, ঈদের সময় ঢাকায় ইনকাম বেশি হয়। ঈদের নামাজ পড়ে রিকশা নিয়ে বের হবো, সন্ধ্যা পর্যন্ত চালালে ১৫০০ টাকার মতো আয় করা যাবে।

হাইকোর্ট মোড়ের কাছে দেখা যায় খোদেজা ও ফাতেমা নামে দুই কিশোরী মালা কিনছে। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মা মরিয়ম। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশের রাস্তায় পলিথিনের ছাউনিতে এই পরিবার।

খোদেজা ও ফাতেমার হাতে মেহেদির আলপনা; চুড়িও পরেছে তারা। এটাই দুই বোনের ঈদের সাজ। দুজনেরই গলায় রয়েছে ফুলের মালা। মালা কিনে দিয়েছেন তাদের মা মরিয়ম বেগম।

তিনি জানান, খোদেজা-ফাতেমার বয়স চৌদ্দ-পনেরো। দুজনেরই জন্ম হাইকোর্ট মোড়ে; বড় হয়েছে এখানেই।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/04/1559647860292.jpg
বার্তা২৪.কম’কে ফাতেমা বলে, মালা কিনবো। জামা কাপড় আছে। দুজনই নতুন জামা পেয়েছি। রাস্তায় নতুন জামা-কাপড় দান করছিলো; সেখান থেকে দুই দিন আগে দুই দুটি জামা পেয়েছে বলে জানায়।

অন্যদিকে মালা বিক্রির টাকায় ঈদের শাড়ি কিনেছে নিপা। সে থাকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে। নিপা বলে, ঈদের দিন সকাল থেকে মালা গেঁথে বিক্রি করবো, ঈদের দিন মালা বেশি বিক্রি হয়। এটাই আমাদের ঈদ।

নিপার মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০-১৫ জন শিশু-কিশোর সারাবছরই ফুলের মালা গেঁথে বিক্রি করে। ঈদ উৎসবের সময়েও সে কাজে বিরতি নেই তাদের।

প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রি করা পথশিশুদের ছোটাছুটি দেখা গেছে। ঈদে নতুন জামা কেনার টাকা তুলতেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছে তারা। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসব শিশু-কিশোরদের মাঝে নতুন নতুন জামা-কাপড় বিতরণ করে থাকে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকেও টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পথশিশুদের ঈদের জামা কাপড় দিতে দেখা গেছে পজিটিভ বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের।

সংগঠনটির এক সংগঠক জাকিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আজকে পথশিশুদের জামা-কাপড় দিচ্ছি; এর আগে সাত জেলায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছি।

   

পর্দা উঠলো ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলার ৬৯তম আসরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা। এটি এই খেলার ৬৯তম আসর। 

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বেলুন উড়িয়ে কক্সবাজারের বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে খেলা ও মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। শনিবার (১১ মে) বিকেলে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বলী খেলা সমাপ্ত হবে।


জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জানান, এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০০ জন বলি খেলায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এবছর বলি খেলার অন্যতম আকর্ষণ চট্টগ্রামের জব্বারের বলি খেলার চ্যাম্পিয়ন বলি বাঘা শরীফের অংশগ্রহণ। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা। এছাড়াও, বিগত আসরের চ্যাম্পিয়ান উখিয়ার নুর মোহাম্মদ বলি, শামসু বলি ও জীবন বলি খেলায় অংশ নিচ্ছেন।


এদিকে, বলি খেলার পাশাপাশি আয়োজিত বৈশাখী মেলায় রয়েছে- নাগরদোলা, হস্ত, কুটির, তাঁত শিল্পসহ নানা ধরনের পণ্যের স্টল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট, বলী খেলা উপ-কমিটির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন কবির প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য অংশ ডিসি সাহেবের বলি খেলা। ১৯৫৬ সালে কক্সবাজার মহকুমা থাকাবস্থায় ‘এসডিও সাহেবের বলি খেলা’ নামে এ খেলার প্রবর্তন হয়। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার জেলায় রূপান্তর হওয়ার পর ‘এসডিও সাহেবের বলী খেলার’ নাম বদলে ‘ডিসি সাহেবের বলি খেলা’ করা হয়।

;

ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭০ লাখ টাকার সোনা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭০ লাখ টাকার সোনা

ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭০ লাখ টাকার সোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের বাথরুমের কমোডের পাশের ঝুড়িতে মিলল ২৪ ক্যারেটের ৭টি সোনার বার। ৮১৬ গ্রামের ওই সোনার দাম প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

শুক্রবার (১০ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব সোনার বার উদ্ধার করে।

স্বর্ণগুলো এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সের জি৯-৫২০ ফ্লাইটে আসা কোনো যাত্রী নিয়ে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক আগমনি ১ নম্বর কনভেয়ার বেল্টের পাশের ওয়াশরুমের ঝুড়িতে একটি সিগারেটের প্যাকেটে স্বর্ণগুলো ছিল। একটি সোনার বারের দাম প্রায় ১০ লাখ টাকা। সে হিসেবে ৭টি বারের দাম ৭০ লাখ টাকা।

;

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বাড়াতে কৃষক সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলারঝিরি জবিরাম কারবারি পাড়া হলরুমে ১০০ জন কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্পের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা নুম্যামং মার্মা ও তুলা চাষিরা।

এই সময় প্রধান অতিথি তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। পার্বত্যাঞ্চলের মাটি তুলার সঙ্গে মিশ্র চাষে উপযোগী। পাহাড়ের অনাবাদি ও জুমে মিশ্রচাষে সম্ভাবনার ফসল তুলা। এটি চাষ করে এখানকার চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। আলীকদম উপজেলা থেকে প্রায় বছরে ৩ টন তুলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি ৯৫ টাকা বিক্রি করছেন চাষীরা। 

;

কেএনএফ'র বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিলো বম সোশ্যাল কাউন্সিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে পাহাড়ের কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সম্প্রদায়ের সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার পর ভিডিও বার্তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ কেএনএফের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন।

সংগঠনের সভাপতি লালজারলম জানিয়েছেন কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াগুলোতে এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে টিকতে না পেরে ২০০-এর বেশি বম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে।

এ অবস্থায় আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইতোমধ্যে ২০০ যুবক প্রতিরোধে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ আরো জানিয়েছে কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে এবং আলোচনার জন্য সরকারের দোয়ার সব সময় খোলা রয়েছে।

ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বমসহ বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;