দু’মাসেই ‘লোকাল’ চক্রাকার বাস সার্ভিস



আপেল মাহমুদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চক্রাকার বাস সার্ভিস, ছবি: বার্তা২৪

চক্রাকার বাস সার্ভিস, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চক্রাকার বাস সার্ভিস এখন যেন ‘লোকাল’ সার্ভিসে পরিণত হয়েছে। গত দুই মাস আগেই চালু হয় ধানমন্ডি টু আজিমপুর ১০ কিলোমিটার চক্রাকার এসি বাস সার্ভিস। কিন্তু এখন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানো, প্রতিশ্রুতি দেয়া রুট অনুসরণ না করা এবং অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোয় লোকাল সার্ভিসে পরিণত হয়েছে সরকারের এই উদ্যোগ।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, কাঁটাবন, নিউমার্কেট, আজিমপুর সড়ক পথে অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এই সেবার উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। দুমাস যেতে না যেতে সেই চক্রাকার বাস সার্ভিস এখন লোকাল সার্ভিসে পরিণত হয়েছে। ফলে যাত্রীদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি সরকারের উদ্দেশ্যও সফল হচ্ছে না।

 

অভিযোগ আছে, সার্ভিসটি উদ্বোধনের পর কিছুদিন নিয়ম মানা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর কোনো নিয়ম মেনে বাস চালানো হয়না। চক্রাকার রুটের ৩৬টি বাসস্টপেজ নির্ধারণ করা হলেও এখন মাত্র ৫-৬টা স্টপেজে গাড়ি চলছে। বর্তমানে বাসগুলো আজিমপুর থেকে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত এক রুটেই চলাচল করছে। ফলে চক্রাকার বলে যে সার্ভিসটি চালু করা হয়েছি সেটা আর নেই। সার্ভিসটি এখন লোকাল সার্ভিসে পরিণত হয়েছে।

বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর ম্যানেজার মো. নায়েব আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত বাস নেই। তাছাড়া ধানমন্ডি-২৭, সোবহানবাগ, রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, আজিমপুর, পলাশী, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, বাটা ক্রসিং ও সাইন্সল্যাব হয়ে সাত মসজিদ রোডে গাড়ি চালাতে গেলে যাত্রীর অভাবে আমাদের জ্বালানি খরচই ওঠে না। তাছাড়া পর্যাপ্ত বাস না থাকায় আমরা দুই রুটে গাড়ি চালাতে পারছি না।’

 

কাউসার আলম নামের এক যাত্রী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিআরটিসির কর্মকর্তারা মিথ্যা কথা বলছেন। যেই রুটে যাত্রী না পাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে সেই রুটে কোনো বাসই চলাচল করে না। এই রুটে বাস চললে অবশ্যই যাত্রী হতো। তারা দুইদিন বাস চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। যাত্রী পেতে হলে তো আগে মানুষকে জানতে হবে এই রুটে বাস চলাচল করে। সবাই যখন জানতে পারবে তখনই যাত্রীর অভাব হতো না। যাত্রী না পাওয়াটা বিআরটিসির ব্যর্থতা।’

   

কেএনএফ'র বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিলো বম সোশ্যাল কাউন্সিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে পাহাড়ের কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সম্প্রদায়ের সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার পর ভিডিও বার্তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ কেএনএফের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন।

সংগঠনের সভাপতি লালজারলম জানিয়েছেন কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াগুলোতে এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে টিকতে না পেরে ২০০-এর বেশি বম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে।

এ অবস্থায় আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইতোমধ্যে ২০০ যুবক প্রতিরোধে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ আরো জানিয়েছে কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে এবং আলোচনার জন্য সরকারের দোয়ার সব সময় খোলা রয়েছে।

ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বমসহ বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ৭২০ কেজি রাসায়নিক মিশ্রিত আম এবং ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত ৪০৯ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আশাশুনি মৎস্যকাটি থেকে আসা মাছ ভর্তি ৫টি ট্রাক ও ২টি ইঞ্জিন আটক করেন তারা। আটকের পর পরীক্ষা করে ওই ট্রাকগুলো থেকে ১৭ ক্যারেট জেলি মিশ্রিত বাগদা চিংড়ী এবং ৩১ ক্যারেট রাসায়নিক মিশ্রিত আম জব্দ করা হয়।

চিংড়ির ওজন প্রায় ৪০৯ কেজি এবং আমের ওজন ৭২০ কেজি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আম ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসিত কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাকগুলো আটক করেছি। রাসায়নিক মিশ্রিত আম এবং ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। আমগুলো ট্রাক দিয়ে পিষে এবং চিংড়িগুলো নদীতে ফেলে বিনষ্ট করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আম ও মাছের সুখ্যাতি রক্ষার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

নির্মাণাধীন ভবন মালিককে অপহরণ, কন্ট্রাক্টরসহ গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে নির্মাণাধীন ভবনের মালিকে অপহরণের অভিযোগে ভবনের কন্ট্রাক্টরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার খানাতুয়া এলাকার মনগাজী বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার চারজন হলেন ভবনের কন্ট্রাক্টর মো. সবুজ আলাউদ্দিন (৩৫), মো. লিটন (৩৫), রুবেল হোসেন বাদশা (২১) ও আবদুল রহমান বাদল (২০)। তারা সবাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম হাসান ও আলাউদ্দিন পূর্ব পরিচিত। হাসানের নির্মাণাধীন একটি ভবনের কন্ট্রাক্টর আলাউদ্দিন। কাজের সুবাধে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফেসবুক মারফত হাসানের সঙ্গে এক লোকের পরিচয় হয়, যিনি তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইউরোপের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। বিষয়টি আলাউদ্দিনকে জানালে তিনিও হাসানকে দিয়ে ওই লোককে কিছু টাকা পাঠান। কিন্তু পরে ওই লোক তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই হাসানকে অপহরণ করে সে টাকা আদায় করার পরিকল্পনা ছিল আলাউদ্দিনের।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, আলাউদ্দিন হাসানকে তার বাড়িতে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লায় নিয়ে আটকে রাখেন। পরে হাসানের ভাগিনাকে কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে এবং এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে তারা তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।

তিনি আরও জানান, পরে হাসানের স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে আলাউদ্দিনসহ তার তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

রেললাইনের নিচে পড়েছিল যুবকের মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশে আন্তঃনগর ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টান ঘোড়াশাল এলাকার রেললাইনে কয়েকজন যুবক ঘুরতে বের হন। এসময় তারা রেললাইনের রক্তের দাগ ও নিচে অজ্ঞাত এক
যুবকের মরদেহ দেখতে পায়। কোন ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে তারা জানাতে পারেনি। তবে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী মাসুদ সরকারের ধারনা, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্ত:নগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাইবুল ইসলাম জানান, যুবকের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। নিহত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, ঘোড়াশালে রেললাইনের নিচে একজনের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে।

;