রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ইফতার বাজার
সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। এই রমজানের পুরো মাস রোজা রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তাই এই মাসে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি পরিবর্তন আসে খাবারেও। এবার রমজানের শুরু থেকেই রাজধানী ঢাকার মোড়ে মোড়ে অলিতে গলিতে বসেছে বাহারি সব ইফতারের বাজার।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর মোড়ে মোড়ে দুপুর থেকেই ছোট বড় ইফতারের দোকান নিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যববসায়ীরা। মূলত রমজান উপলক্ষে বাড়তি লাভের আশায় এসব ইফতারের দোকান দিয়েছেন দোকানিরা। তবে এসব দোকানের অনেকগুলো আবার বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টের মালিকদের দেওয়া।
ফার্মগেট মোড়ে কথা হয় ইফতারের দোকান নিয়ে বসা জুবায়ের হাসানের সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাদের একটা রেস্টুরেন্ট আছে। রমজান মাসে ইফতারের একটা বড় বাজার থাকে, সেজন্য আমরা ইফতারের দোকান দিয়েছি। রোজার তৃতীয় দিন হিসেবে ভালোই চলছে।’
মোহাম্মদপুর বাজার এলাকায় বাহারি ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন রহমান মিয়া। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে আমরা এই ইফতার দোকান দিয়েছি। দুপুরের পর থেকে ইফতারের আইটেম গোছাতে শুরু করি। বিকাল থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়ে যায়।
গুলশান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোট-বড় অনেক ইফতারের বাজার গড়ে উঠেছে। দুপুরের পর থেকেই ক্রেতারা ইফতারের দোকানে ভিড় করছেন। বিক্রেতারাও ব্যস্ত ইফতার তৈরি, একই সাথে ইফতার সরবরাহে।
রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ের ইফতারের দোকানের আইটেম প্রায় একই রকম। সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব আইটেম পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে আলুর চপ, বেগুনি, পিয়াজু, ডিম চপ, শাহী জিলাপি, হালিম, বিভিন্ন প্রকার কাবাব, মুরগির রোস্ট, সমুচা, শিঙ্গাড়া, ছোলা, বুন্দিয়া, নিমকিসহ আরও বিভন্ন ধরণের আইটেম প্রধান।
এলাকা আর দোকান ভেদে এসব ইফতার আইটেমের দাম কিছুটা কম বেশি রাখা হয়। গুলশান গোল চত্বরে ইফতার কিনতে আসা রায়হান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা বাসায় ইফতার বানাই প্রতিদিন। তবে বাইরে থেকে কিনলে অনেক আইটেম পাওয়া যায়, আর স্বাদের ভিন্নতা আসে। তাই বাইরে থেকে কিছু ইফতার কেনার চেষ্টা করি।’
তবে ইফতার বাজারের মূল কেন্দ্র চকবাজার হলেও রাজধানীজুড়েই ইফতার বাজারের অনেক সমারোহ রয়েছে। বিক্রেতারাও ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে ইফতার আইটেম তৈরি করছেন।