রমজানে ফুটপাতে হকার বসবে না: মেয়র



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪ (ফাইল ফটো)

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪ (ফাইল ফটো)

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাসে অফিস সময়ে ঢাকার কোনো ফুটপাতে হকার বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তবে অফিস সময় শেষে মতিঝিল এলাকায় হকাররা বসতে পারবেন বলে জানান তিনি।

সোমবার (৬ মে) নগর ভবনে রমজান উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর মতবিনিময় সভা শেষে মেয়র জানান, যানবাহন ও পথচারী চলাচল স্বাভাবিক রাখতেই ফুটপাতে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।

হকারদের জন্য ১১টি হলিডে মার্কেট করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার আমাদের হকার ভাইয়েরা সেখানে ব্যবসা করতে পারবেন। আর মতিঝিল এলাকায় অফিস সময়ের পর সীমিত সংখ্যক জায়গায় ফুটপাতে হকাররা বসতে পারবেন। কিন্তু কোনোভাবেই অফিস চলাকালীন সময়ে ফুটপাতের কোথাও বসা যাবে না।

মেয়র বলেন, ‘রমজানে যানজট পরিস্থিতি ঠিক রাখা, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা, জলাবদ্ধতা এসব বিষয় নিয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

রমজানে ইফতারের আগে মানুষ যেন ঘরে ফিরতে পারেন, যানজট যেন সহনীয় রাখা যায় সেসব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ এসেছে যেগুলো বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা বাস্তবায়ন করব। ফুটপাত হকার উচ্ছেদ করা, কিছু জায়গায় সড়ক সংস্কারের কথা তারা আমাদের বলেছেন। আমরা আমাদের করনীয় ঠিক করেছি যেটা আগামীকাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, রোজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছেন তারা।

তিনি বলেন, 'সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করে যাব। ইতিমধ্যে আমরা বিপণিবিতান কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বাড়তি সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি যেন না হয় সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা শাখা নগর জুড়ে কাজ করছে। বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় রাজধানীতে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এটাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সহনশীল রাখতে আমরা কাজ করছি।'

মতবিনিময় সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলমসহ ডিএসসিসি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

   

সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি, জনমনে প্রশান্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফের বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যখন বইছে তীব্র তাপদাহ তখন স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজছে সিলেটবাসী।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সোয়া ৫টার দিকে শুরু হয় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এতে করে জনমনে প্রশান্তি ফিরে আসে।

আবহাওয়া অধিদফতর সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সিলেটে ৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে, বিকেলে সিলেটে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকায় সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের ঘরের ফ্যান, পানির পাম্পের সুইচ ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও কয়েকটি বাল্ব নষ্ট হয়ে যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহমুদুল হাসান সোহেল বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৬ দশমিক ৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য- এরআগে গত ২১ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়।

;

রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনকল্যাণ। সরকার ও রাজনীতিবিদদের সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়ে এ ধরণের কর্মসূচি পরিহারের অনুরোধ জানান।

মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহীত সকল পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নেও সকলকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, জনস্বার্থে গৃহীত সরকারের সকল উদ্যোগকে সফল করতে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করুন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই অগ্রযাত্রায় সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোক্তাদের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালির স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

সরকারের কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া উচিত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে চিকিৎসা সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গায় প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বর্তমানে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার ‘অনন্য মডেল’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কিন্ত ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের একটি প্রতিহিংসামূলক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দেয়া হয় প্রান্তিক মানুষের জন্য এই জননন্দিত স্বাস্থ্য সেবার উদ্যোগটি।

তিনি বলেন, আজ প্রান্তিক মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের উপযোগিতা ও সুনাম গ্রাম-শহর ছেড়ে জাতীয় পর্যায়ে, এমনকি বিশ্ব-পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আশ্রয়ণ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত এই দশটি বিশেষ উদ্যোগ ইতোমধ্যে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এটি সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের সরকারের উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ হাজার ১৭৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক জন অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এটি সরকার-জনগণ পার্টনারশিপের এক অনন্য উদহারণ। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান এবং করোনাকালে মহামারি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ও গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক যে অবদান রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি পুরস্কার ও ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে আর আমাদের করেছে গর্বিত।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে এবং মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নুরুন্নবি কবীর এবং কমিউনিটি বেইসড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

সুন্দরবনের আন্ধারিয়া খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনের আন্ধারিয়া খাল থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে সুন্দরবনের জোংড়া ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন আন্ধারিয়া খালের মুখে বাঘটি ভাসতে দেখে সেটি উদ্ধার করে বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বাঘটি মারা যাওয়ার কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসতে থাকা একটি মৃত পুরুষ বাঘ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৬/৭ দিন আগে মারা গেছে এ বাঘটি। বাঘের গায়ের চামড়া নষ্ট হয়ে লোম পড়ে গেছে। তবে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘটি প্রাপ্ত বয়স্ক। বাঘটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সেখানে বাঘটির মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করেছে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও বনবিভাগ।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, মৃত প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে বাঘের মৃত দেহের কলিজা, দাঁতের লালা, মাংস ও চামড়াসহ লোম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সংগ্রহীত নমুনা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ঢাকায় বনবিভাগের প্রধান কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। তারপরই জানা যাবে বাঘের মৃত্যৃর মূল কারণ।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের নমুনা সংগ্রহের পর বাঘের চামড়া ও মাংস মাটি চাপা দেয়া হবে। আর সংগ্রহীত হাঁড় দিয়ে পরবর্তীতে তৈরি করা হবে স্কেলিটন।

বনবিভাগের খুলনাঞ্চল'র বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবন থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক একটি মৃত পুরুষ বাঘ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

;

রোহিঙ্গাদের অতিসত্বর মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন আবশ্যক: মানবাধিকার চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা সংকট নিরসন দ্রুত নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো উচিত। সময়ের সাথে বহুমাত্রিক সংকট তীব্র হচ্ছে এবং মানবিক অবস্থার অবনতি ঘটেই চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাথে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এর পরিচালক জন কুইনলি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাক্ষাতে আসলে তিনি এই কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সংকটের বহুমাত্রিক দিক উপস্থাপন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

আলাপকালে কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বর্বরোচিত আক্রমণ, সহিংসতা ও গণহত্যার শিকার হয়ে নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে। বৃহৎ পরিসরে হত্যা, যৌন নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ছে তারা। সহিংসতার ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব এখনো রয়েছে। তাদের অধিকার সুরক্ষা করে ফিরিয়ে দেয়াই আমাদের কাজ।

সাক্ষাৎকালে জন কুইনলি ‘My Tears Could Make a sea’-The Infliction of Mental Harm as Genocide Against Rohinga’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা উপহার দেন এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রকাশনাটিতে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ রয়েছে। প্রকাশনাটি মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এবং ইয়েল ল কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটিস ক্লিনিক যৌথভাবে প্রকাশ করেছে। বইটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুপারিশ রয়েছে এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বইটি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশনা ও গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বর্তমান কমিশন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।

;