১০৭ প্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন এক অভিভাবক/ ছবিটি ভিকারুননিসা নূন থেকে তুলেছেন  সুমন শেখ

কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন এক অভিভাবক/ ছবিটি ভিকারুননিসা নূন থেকে তুলেছেন সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি।

গত বছর এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১০৯। সোমবার (৬ মে) প্রকাশিত পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে পরীক্ষার ফলাফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

এবারে এসএসসির পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। যা ২০১৮ সালের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। তবে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।

সাধারণ ৮টি শিক্ষাবোর্ড থেকে ৯৪ হাজার ৫৫৬, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে ৬ হাজার ২২৭ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ৭৫১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এ বছর সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন ছাত্রী।

Students
অন্যদিকে ভিকারুননিসা নূনের শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস/ছবি: সুমন শেখ

 

এবার রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ঢাকায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, সিলেটে ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ পাসের হার, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।

মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার বেশি। ফলাফল অনুযায়ী, মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। বিপরীতে ছেলেদের পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ও বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটর থেকে মেসেজের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

এজন্য এসএসসি বা দাখিল লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখতে হবে। এরপর আবার স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস দিয়ে ফল জানা যাচ্ছে। এছাড়া ফলাফল পাওয়া যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটেও।

   

যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৪৩.৮ ডিগ্রিতে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন (৩০ এপ্রিল) যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জেলার সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তারা তীব্র রোদ ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে-ঘামে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তিনি জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

বৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেই যে তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে, বিষয়টি তা নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ২১ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে জেলায় ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ২টায় সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, দীর্ঘ ২১ বছরের মধ্যে আজ সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি।

এদিকে অসহনীয় গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। তীব্রগরমে তারা কোনো কাজ করতে পারছেন না। গরমে পিপাসা নিবারণে মানুষের ভিড় বাড়ছে শরবত, ডাব ও আখের রসের দোকানগুলোতে। দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট।

গাছের ছায়ায় বসে থাকা ভ্যানচালক ইয়াছিন আলী বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে না। যার কারণে আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এই গরমে চালিয়ে মনে হচ্ছে জীবন বের হয়ে যাচ্ছে।

পৌর দিঘীতে গোসল করতে আসা সবুজ শেখ বলেন, প্রচন্ড গরমে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসও গরম, তাই পুকুরে আসছি গোসল করতে। দিঘীর পানি অনেকটা ঠান্ডা।

;

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।

;

হাসপাতালের জেনারেটর অচল, গরমে হাঁসফাঁস রোগী-স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও স্বজনরা। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও লোডশেডিংয়ের সময়ে তা চালানো হয় না। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনসহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিংয়ের সময়ে ভোগান্তি আরও বাড়ে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হিসেবে ১০ কেভি কিলো ভোল্টের ইঞ্জিনচালিত একটি জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বরাদ্দের পরে সক্ষমতা সম্পূর্ণ সংযোগ ব্যবস্থাসহ নানা জটিলতার কারণে কয়েক বছর পড়ে থাকার পর গত বছরে নাম মাত্র সচল করে ছয় মাসে জ্বালানি খরচ বাবদ ত্রিশ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বর্হিবিভাগ, নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিদ্যুৎ না থাকলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার কথা থাকলেও কয়েকবছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জেনারেটরের যন্ত্রাংশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অসুস্থ রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনরা। তীব্র গরমে হাসপাতালের বিছানায় ঘেমে যেন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মুমূর্ষু রোগীরা। বিশেষ করে অসহায় অবস্থায় পড়েছে শিশু ও ডায়রিয়া রোগী। লোডশেডিংয়ের সময়ে আইপিএসের সাহায্য বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোর শূন্যতা পূরণ করা হলেও মাথার উপর ফ্যান ঝুললেও জেনারেটর সংযোগ না থাকায় ঘুরছে না পাখা। রোগীর স্বজনরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জেনারেটর সংযোগ চালু করার দাবি জানায়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রফিকুল নামে এক রোগীর স্বজন জানায়, আমার ভাতিজা চারদিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগজনিত কারণে ভর্তি আছে। তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। আমি শুনেছি হাসপাতালে জেনারেটর ব্যবস্থা আছে কিন্তু এখানে কখনো চলতে দেখি নাই।

মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আরেক স্বজন রেহেনা বেগম জানায়, আমার মেয়ে শিশু বাচ্চা দুইদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। গরমে অবস্থা খারাপ, ছোট মানুষ গরম সহ্য করতে পারছে না, এখানে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। আর এখানে মানুষ বেশি থাকার কারণে গরম খুব বেশি পড়েছে।হাসপাতালে জেনারেটর চালু করলে আমরা ভালোই থাকতাম। সরকারি হাসপাতালে জেনারেটর নাই, গরমে বাচ্চাকে নিয়ে এসে খুব সমস্যায় পড়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো আল মামুন বলেন, আমাদের হাসপাতালে জেনারেটরের পরিবর্তে আইপিএস দিয়ে আলো সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

;