অনুমোদনহীন ঊর্ধ্বমুখী ভবন থাকবে না: গণপূর্তমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, ছবি: বার্তা২৪

বক্তব্য রাখছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করতে এবার শুধু ভবন মালিক নয়, যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা জানালেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, ‘কোনো ভবন হয়ে যাওয়ার পর বলবে ভবনটি অবৈধ সেটা হবে না, রাজউকের যে অফিসার ওই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকবে তাকে দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। যে ডেভলপার কোম্পানি কাজ করবে তাকেও দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। তবে কোনভাবেই অনুমোদনহীন ঊর্ধ্বমুখী ভবন থাকবে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার আমরা করব।’

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, অর্থ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।

সাম্প্রতিক সময়ে বনানীর ফারুক রুপায়ণ (এফআর) টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এফআর টাওয়ারের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। সেখানে তিন শ্রেণীর মানুষ জড়িত। প্রথমে লোভী মালিক, লোভী ডেভলপার এবং ওই অঞ্চলে রাজউকের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।’

আরেকটা ছিল অপরাধের চিহ্ন পাওয়ার পরেও ব্যবস্থা না নেওয়া। ওই ভবন সম্পর্কে ২০০৭ সালে একটা রিপোর্ট এসেছিল যে এফআর টাওয়ারের উপরের অংশ অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে। ওই রিপোর্টটি আসার পরেও তৎকালীন সময়ে যিনি রাজউকের চেয়ারম্যান ছিলেন বা যারা কর্মকর্তা ছিলেন তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এমনকি ফাইলে কোন নোটও দেননি, ওই রিপোর্টটা দেখার পরেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কেন তারা করেননি সেটাকে খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ে কমিটি করেছি। কোন মন্ত্রীর প্রভাব ছিল কিনা অথবা উপদেষ্টার প্রভাব ছিল কি না বা তৎকালীন সরকারের মন্ত্রীরা জড়িত ছিল কিনা সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে।

মন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ‘নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করতে আমরা রাজউক থেকে ২৪টি টিম নামিয়েছি। প্রথমে বহুতল ভবনগুলো পরিদর্শন করবে এরপর সকল ভবন পরিদর্শন করে দেখা হবে ব্লিডিং কোড অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা আছে কি না। আমরা ভবনগুলো ক্লাসিফাই করতে চাই।’

যদি কোন ভবনে শুধু অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে তাদের সময় বেধে দেব এই সময়ের মধ্যে বিল্ডিং কোডে যে ব্যবস্থা অনুমোদন করা হয়েছে সেই ব্যবস্থা সংযুক্ত করতে হবে। ভবন মালিক সেটা করার পর আবার পরিদর্শন টিম যাবে, তারা সার্ভে করার পর ব্যবহারের অনুমতি দেব।’

ইমারত নির্মাণের অনুমোদন ছাড়া যারা ঊর্ধ্বমুখী ভবন করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বুয়েটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের নিয়ে একটি টিম থাকবে। সেখানে তারা পরিদর্শন করে যদি দেখেন বহুতল ভবনটির অবৈধাংশ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথক পিলার দিয়ে শক্ত করা যায় তাহলে সেটা করার জন্য নির্দেশনা দেবে। আর যদি দেখা যায় ওই ভবনের সেই সক্ষমতা নেই তাহলে সেই ভবনের জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে। অনুমোদনহীন ভবন বৈধতা দেবার সুযোগ নাই।’

প্রভাবশালীদের চাপে পিছু হটার পুরনো সংস্কৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ভবনের মালিক যত প্রভাবশালীই হোক এটা মুখ্য না আইন সঙ্গতভাবে হয়েছে কি, হয় নাই সেটা দেখব। এখানে কারো রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়। অপরাধ যে করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। সেখানে কে কোন দল করল সেটা দেখা হবে না।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সিভিল অ্যাভিয়েশনের কাগজ জালিয়াতি করে একটি বহুতল ভবন করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম আলোর কাছেই আরেকটি মিডিয়া হাউজ সেখানে রয়েছে সেই ভবনটি সিভিল অ্যাভিয়েশনের কাগজ জালিয়াতি করে গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্ত রাখতে চাই কেউ আইনের বাইরে না। আশাকরি আগামী সপ্তাহে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

এই মুহূর্তে রাজধানীতে ৯০ হাজার ভবন নির্মাণ কাজ চলমান বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার যে অথরাইজড অফিসারের এলাকায় অবৈধ ভবন নির্মাণ হচ্ছে বা হবে ওই এলাকার অফিসারকে দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। কোন ভবন ১০ তলা হয়ে যাবার পর বলবে অবৈধ সেটা হবে না। এরকম হলে ওই অফিসারকে অভিযুক্ত করা হবে।’

হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আদালত সময় বৃদ্ধি না করলে আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমরা ভবনে যারা ছিলেন তাদের সুনির্দিষ্ট সময় দেব।’

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে ৬ তলার ঊর্ধ্বে বহুতল আর রাজউকের ভাষ্যমতে ১০ তলা। তাহলে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যার যে দায়িত্ব সেটাই পালন করা উচিত। ফায়ার সার্ভিসের কাজ বহুতল ভবন চিহ্নিত করা না। তাদের কাজ অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা মোকাবেলা করা।’

আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার ভবন ভেঙে ফ্ল্যাট করে দেব: গণপূর্তমন্ত্রী

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;