সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ভাষা সৈনিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (২০ মার্চ)। জিল্লুর রহমান ২০১৩ সালের ২০ মার্চ বার্ধক্যজনিত রোগে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রাজনীতিক এ বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তাঁর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।
জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি পাঁচটি পৃথক মেয়াদে ১২ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনকারী জিল্লুর রহমান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাকশালের প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৮৪, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের কাউন্সিলে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) এবং ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পাশাপাশি সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন জিল্লুর রহমান।
২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে জিল্লুর রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা ও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট অবিস্মরণীয় বিজয়ের পর ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন।
তার সহধর্মিনী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার তিন দিন পর মৃত্যুবরণ করেন।