মুজিব বর্ষের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: বার্তা২৪

বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে আমরা ঘোষণা করেছি। এই ‍মুজিব বর্ষ আমরা উদযাপন করব এজন্য কমিটি করে দিয়েছি। আমি চাই সারা বাংলাদেশে একেবারে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি এলাকায় এখন থেকে সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতির পিতার এই জন্মদিন থেকেই আমাদের শুরু হবে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি। আমরা সেই মুজিব বর্ষের প্রস্তুতি নেব। কারণ তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এই স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন আমাদের পূরণ করতে হবে।’

দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতির পিতার এই জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের মানুষের কাছে আমরা একটাই আহ্বান, আর যেন এই বাংলার মাটিতে ওই স্বাধীনতা বিরোধী খুনি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী এরা যেন আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। এই বাংলাদেশ মুজিবের বাংলাদেশ। কাজেই এই বাংলাদেশে জনগণের অধিকার সমুন্নত হবে।’

কেবল মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়, ভাষা আন্দোলনেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসামান্য অবদান রেখেছেন। হাতেগোনা দুয়েকজন সে অবদানের কথা বললেও অনেকেই সেসব কথা বলতেন না বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে তার যে অবদান, সে ইতিহাস হারিয়ে গেছে। অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষও উল্লেখ করতেন না তার অবদান। ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু ভাষার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। ওই বছরই তিনি ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তার এসব অবদানের কথা অনেকেই জানতেন, কিন্তু লিখতেন না, বলতেন না।’

প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বলেন, ‘জাতির পিতার অবদানের এসব তথ্য একসময় মুছে দেওয়া হয়েছিল। জাতির পিতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যেসব রিপোর্ট করে, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমি সেসব রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলাম। সেসব গোয়েন্দা রিপোর্টেই ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা কী করেছিলেন, সেসব তথ্য সংগ্রহ করি। তখন আমি ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক বক্তব্য দেই। অনেকেই তখন আমার বিরুদ্ধে লেখা লিখেছিলেন। তারা বলেন, আমি নাকি তথ্য আবিষ্কার করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ অবশ্য সেসব কথার উত্তরে লিখলেন। কিন্তু আজ সেই সত্য প্রকাশিত হয়েছে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, গোয়েন্দা নথি- এগুলো একে একে প্রকাশ করতে শুরু করেছি। এরই মধ্যে দুই খণ্ডে গোয়েন্দা নথি বের হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে ১৯৫২ সালে জাতির পিতা যেসব কাজ করেছেন, সেগুলোর কথা। তিনি জেলখানায় থেকেই কিভাবে যোগাযোগ করেছেন, কিভাবে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, এমন সব তথ্য পাওয়া যাবে এই খণ্ডে। খুবশিগ্রই ১৯৫৩ সালের যে খণ্ডটা সেটা বের হবে। সেখানে আরও তথ্য পাওয়া যাবে যে তিনি কিভাবে আন্দোলন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘সেই যে ভাষা আন্দোলন, সেই থেকেই কিন্তু স্বাধীনতার সূচনা। ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। ফিরেই কিন্তু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদার যে আন্দোলন, তা ফের শুরু করেন। তিনি আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময়ই তিনি বুঝতে পারলেন, এরা (পশ্চিম পাকিস্তানি) তো আমাদের নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলতে দেবে না। এরা যেভাবে অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, তাতে আর এই হানাদার-পাকিস্তানিদের সঙ্গে থাকা যাবে না। এভাবে দেশ চলে না। স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে, সেই চিন্তা ওই ভাষা আন্দোলনের সময়ই বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় আসে। ১৯৫৮ সালে যখন আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে গ্রেফতার করে, তখন থেকেই তার পরিকল্পনা- আর নয়, এবার স্বাধীন হতে হবে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১-২০০৮ পর্যন্ত দু:সময় পার করে ২০০৮ এর নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। এই নির্বাচনে ৮৪ ভাগ ভোট পড়েছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৮টা সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সেখানে দুই তৃতীয়াংশ মেজরিটি পেয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের যে নির্বাচন, সে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। জনগণ প্রতিরোধ করেছিল। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যত সার্ভে রিপোর্ট এসেছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে আমাদের যে উন্নয়নের কর্মসূচী, এক দশক ধরে দেশের উন্নয়নে যে কাজ আমরা করেছি, যে উন্নয়নের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতার পথে এগিয়ে গেছে, দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি, মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে, আমরা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দমনে ব্যাপকভাবে কাজ করেছি, মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে এসেছে তাই জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে।’

বিএনপি জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘একটা দল নির্বাচিত হলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা দেখাতে পারছেন না। দুর্নীতি হত্যা খুনের মধ্যদিয়ে তাদের নেতারা জেলে অথবা বিদেশে পলাতক, ঠিক সেই অবস্থায় নির্বাচন। ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। জামাত একটা সিটও পায়নি। বিএনপি নামকাওয়াস্তে সিট পেয়েছে। কেননা ৩০০ সিটে যখন ৭০০ কাছাকাছি নমিনেশন দেয় তখন মানুষের ভোট পাবে কীভাবে?

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সদস্য আজমত উল্লাহ খান, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ আরও অনেকে।

   

ভোট নরমালে না হলে সিজার করে নিব: চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজ এর একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে৷

এতে তাকে বলতে শোনা যায়, "আগে ছিলো দশ হাজার টাকা জামানত এখন দেড় লক্ষ টাকা এটা কি মুখের কথা ওটে কি আছে আমি দেখব নরমালে (স্বাভাবিকভাবে) না হলে আমি সিজার করে (জোরপূর্বক সিল মেরে ভোট নেওয়া বুঝায়) ভোট করব। এমপি সাহেব মাথার উপর আছে, আমাদের কি উন্নয়ন করা যাবে না?"

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজের এমন একটি মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এতে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলা জুড়ে।

তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আরও দেখা যায়, তিনি উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নে এক পথসভায় মাইক হাতে নিয়ে দাড়িয়ে সামনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য এসব মন্তব্য করছেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা ঠিক ঠিক বলে চিৎকার করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভোটার ও প্রার্থীরা জানান, এমপি সাহেবের ভাতিজা পারভেজ নিজ মুখে কেন্দ্র দখলের কথা বলেছেন, যার ভিডিও ইতোমধ্যে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলেন ভোট যদি সিজার বা দখল করে হয় তাহলে ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে লাভ কি? আর ভোটের জন্য সরকারের এত টাকা খরচ করার দরকার কি? তাদেরকে এমনিতেই দিয়ে দিলে হয়। প্রকাশ্যে এমন বক্তব্যের কারণে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণ আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ভিডিওটা সুপার ইডিট দাবি করে বলেন, আমি এসব কথা বলিনি আমার শত্রু পক্ষ এটা সুপার ইডিট করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

;

স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আটক

স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সানজিদা আক্তার নামের (২৫) এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী আব্দুল করিমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা পুলিশের।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উপজেলার বারশত দুধকুমড়া এলাকার আলম খান মেম্বারের বাড়ি এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সানজিদা ওই এলাকার মো. আবদুল করিমের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মো. ফরিদের মেয়ে। তিনি ৫ ও ৭ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তানের জননী।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা নিহতের স্বামী করিমকে আটক করেছি।

তিনি আরও বলেন, নিহতের গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের কারণে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ভোররাতে এটি হয়েছে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

;

আজ রাতেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে ঢাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আজ রাতেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে ঢাকা

আজ রাতেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

এপ্রিল জুড়ে টানা দাবদাহের পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় নেমেছিল স্বস্তির বৃষ্টি। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।

গতকালকের মতো আজও রাতে ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা অ্যাকুওয়েদার।

সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে জানায়, ঢাকায় আজ রাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ। এর সঙ্গে থাকবে বজ্রপাত। সবমিলিয়ে ১ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে তাপমাত্রার পারদ নামবে ২৮ ডিগ্রিতে। কিন্তু অনুভূত হবে ৩৩ ডিগ্রির সমান। 

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

 

;

সিলেটে পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকায় চিড়াখাই বিলে নৌকায় খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শামীমা বেগম (১০) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে জালালাবাদ থানার বাদাঘাট এলাকার চিড়াখাই বিলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শামীমা বাদাঘাট নীলগাঁও গ্রামের আলী আহমদের মেয়ে। সে স্থানীয় নলখল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শামীমার বাবা আলী আহমদের মেয়ে।

তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে বিলে কয়েকজন শিশু নৌকায় খেলতে যায়। সেখানে খেলার একপর্যায়ে হঠাৎ পানিতে পড়ে যায় সে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

;