ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ডাকসু নেতাদের কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদে নবনির্বাচিত নেতাদের ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, কে ভোট দিল না দিল, সেটা দেখার দরকার নেই। হলে যারা জিতেছো তাদের দায়িত্ব হলের ভালোমন্দ দেখা। ডাকসুতে যারা জিতেছো তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোমন্দ দেখা, এটাই তাদের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে যারা জিতেছে, তাদের সহযোগিতা করতে হবে।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে গণভবনে ডাকসু ও হল সংসদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসাইন।

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, এখানে আমি কোনো বোমার আওয়াজ, গুলির আওয়াজ বা কোনো কিছু যেন না ঘটে, এ ব্যাপারে সবাইকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনে যেই অংশ গ্রহণ করবে, কে ভোট পেল, কে পেল না, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আগে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হোক। ছাত্র-ছাত্রী যা চাইবে তাই হবে। এবং সেই পরিবেশটা যেন বজায় থাকে সেদিকেই বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/16/1552745743023.jpg

শেখ হাসিনা বলেন, আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন অস্ত্রের ঝনঝনানি, অস্ত্রের আওয়াজ শোনা যেত। গুলি, বোমা নিয়মিত ব্যাপার ছিল। এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন থাকবে? সেখানে শিক্ষার পরিবেশ থাকবে। এমনকি খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ঘোষণা দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। তার জবাব আমরা দিয়েছিলাম ছত্রলীগের হাতে কলম তুলে দিয়ে; বলেছিলাম, অস্ত্রের চেয়ে কলমের জোর বেশি। সেটাই আমাদের প্রমাণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার পরিবেশটাই এমন ছিল- প্রতিপক্ষের হাতে অস্ত্র থাকলে আমাদের হাতেও কলম থাকতে হবে। সেখান থেকে আমরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। অন্তত এইটুকু বলতে পারি, গত ১০ বছরে এই অশুভ প্রতিযোগিতা হয় নাই। অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করতে পেরেছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/16/1552745833301.jpg

সরকারপ্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এটা শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। আমরা গত ১০ বছরে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, একটার পর একটা মোকাবেলা করে এই জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে সফল হয়েছি। এটাও মনে রাখতে হবে, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে, যেখানে মানুষ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, সেখানে যে অস্ত্রধারী ৪৯ জন মানুষকে হত্যা করলো, এর তীব্র নিন্দা আমরা জানাই। তাই একটা কিছু পেলেই যারা ওঁৎ পেতে আছে, তারা যে সুযোগ নেবে না, সে কথা তো কেউ বলতে পারবে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাবি ভিসির বাসভবনে হামলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলন তো আমরাও করেছি। ভিসির বাড়িতে হামলা, আগুন দেওয়ার ঘটনা তো আমরা কখনো দেখি নাই। ভিসির বাড়িতে সরাসরি আক্রমণ কখনও হয় নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা ঘটেছে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরা প্রবেশ করেছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ছিল সুযোগসন্ধানী। তারা যদি কোনো খুন-খারাবি করে, অশুভ কোনো ঘটনা ঘটায়, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? সব দায় তো সরকারের উপরেই পড়বে। এটা কি আমরা হতে দিতে পারি? সেজন্য আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। ছাত্রদের আমরা ডাক দিয়েছি, তারা ফিরে গেছে। কিন্তু এই ধরনের সুযোগসন্ধানী আছে, সব সময়ই থাকবে, এটা থাকেই। আন্দোলনে এটাই সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। যেন কেউ ঢুকে গিয়ে অশুভ ঘটনা না ঘটায়, সেজন্য যারা এসব (আন্দোলনের) বিষয়ে নেতৃত্ব দেবে তাদের সচেতন থাকতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/16/1552745788220.jpg

বৈঠক শুরুর আগে নুরুল হক নুর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডাকসু নেতাদের বৈঠক শুরু

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পাশে নুর

   

হাতীবান্ধায় দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত-১০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকদের হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমাসহ তার পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) মধ্যরাতে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

শাহানা ফেরদৌসী সীমার অভিযোগ, গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেডিকেল মোড় এলাকায় তার নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় লিয়াকত হোসেন ও তার লোকজন। এতে তিনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ সময় তাদের হামলায় দৈনিক কালের কণ্ঠের হাতীবান্ধা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদও আহত হয়। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লিয়াকত হোসেন বাচ্চু।

হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বার্তা২৪.কম-কে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

;

ঝালকাঠিতে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাই আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাই সুজন তালুকদার (৩৫) কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাইকে স্বপন তালুকদার (৩০) কে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮)।

শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। রাতে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার মুহতাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৩০ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দধবল গ্রামে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে ভর্তি না করে রিলিজ দিয়ে দেয়। পরে ওই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুজনের স্ত্রী রিয়া বেগম গত মে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র‌্যাব-৮।

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: লাইন থেকে সরানো হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বগি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানো হচ্ছে। 

শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১ টা থেকে লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়। এর আগে বিকেল চারটা থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে বগির সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় ।

  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • গাজীপুরে রেল দুর্ঘটনা: ৩ ঘণ্টা পর এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  • গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষ, ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
  • গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্তে রেলওয়ের দুটি কমিটি গঠন

উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

;

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন খেজুরতলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।

শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় সাতটার দিকে পতেঙ্গা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. মিনহাজ (৩৫)। আহত হয়েছেন আবু হেনা মাহমুদ (২৬) ও মনি নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারী। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে ইমাম হোসেন ও ওমর মোল্লা নামে দুই ব্যক্তি। তারা বার্তা২৪.কম-কে জানান, সন্ধ্যায় আমরা পতেঙ্গা খেজুরতলা এলাকায় বীচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনে গিয়ে দেখি একটি মোটরসাইকেলসহ তারা তিনজন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মিনহাজ নামের একজন মারা যায়।

তারা আরও বলেন, হাসপাতালে এসে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে যেটি বুঝেছি। মাহমুদ একা ওই মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। নিহত মিনহাজ ও মনি নামের মেয়েটি এক সঙ্গে ছিল। মিনহাজকে মনি তার স্বামী বলে দাবি করছে। মনি আঘাত কম পেলেও আহত মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, নিহত মিনহাজ রাউজানের সুলতানপুর ওয়াহাবউল্লাহ মিয়াজির বাড়ির মো. শওকত আলীর ছেলে। আহত আবু হেনা মাহমুদ হালিশহরের নন্দন মহাজন সড়কের মহাজন বাড়ির আবু জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল পথচারীদের চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজন মারা যান। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

;