হোমিওপ্যাথিকে মাদকদ্রব্য আইনের বাইরে রাখার দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনতিবিলম্বে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন ২০১৮’ পাস করার দাবি জানিয়েছে ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) ডক্টরস ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে ওই আইনে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য আইন প্রযোজ্য নয়, এই কথাটি উল্লেখ করারও দাবি সংগঠনটির।

শনিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ওমর কাওছার বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ক্ষুদ্র মাত্রায় ব্যবহার হয়। ওষুধের অন্যতম বাহক রেকটিফাইড স্পিরিট। বিদেশ থেকে যে সকল ওষুধ আমদানি হয় এবং ওষুধের শক্তি বাড়ানোর জন্য রেক্টিফাইট স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/16/1552728390451.jpg

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দ্বারা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক আমাদের হেনস্থা করা হয়। কারণ, মাদক দ্রব্য আইনে কোনো দ্রব্যে পাঁচ শতাংশের বেশি অ্যালকোহল থাকলে তা মাদক বলে গণ্য হয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশের বেশি রেক্টিফাইট স্পিরিট থাকে। সে হিসেবে এটি মাদক আইনে পড়ে। তাই আমরা চাই, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ক্ষেত্রে এই মাদকদ্রব্য আইন প্রযোজ্য নয়, কথাটি রেখে মাদকদ্রব্য আইনে লেখা হোক।

ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশনের বলেন, আইন ছাড়া একটি চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে চলে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়া সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক সফলতা আনতে হলে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার জন্য হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি এখন সময়ের দাবি।

   

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন হয়েছে, আমন মৌসুমেই কার্যকর: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকেনা। এছাড়া পরিমানেও চাল কমে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বাজারে পালিশ বিহীন চাল থাকলে ভোক্তারা সেদিকে আকৃষ্ট হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৪ সফল করার লক্ষ্যে নওগাঁ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে । হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন-খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্য কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উদপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যাবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবেনা।

তিনি আরো বলেন,ধানের সংগ্রহ সফল হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসকল কারনে ধান সংগ্রহ সফল হয়না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আশা করা যায় এবছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে। বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী মো: জহিরুল ইসলাম খান।

এছাড়াও কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো: আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চোকদার বক্তব্য রাখেন।

;

তীব্র দাবদাহে পিরোজপুর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রচণ্ড তাপদাহ ও তীব্র গরমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। জায়গা না পেয়ে অনেকে আবার আছেন ফ্লোরে। গত ৭ দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৯ শ' ২০ জন। প্রচণ্ড গরম, জ্বর আর শ্বাসকষ্টে হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২ মে) হাসপাতালের এমন চিত্র চোখে পড়ে।

প্রতিদিনই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পেটেরপিরা, ডিহাইড্রেশন ও এ্যাজমা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগী আসছে দলে দলে। রোগীদের অবস্থা জটিল হওয়ায় তারা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় ও  জায়গা সংকটে ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৯০ জন। ফলে অনেককে রোগী নিয়ে বারান্দায় পড়ে থাকতে হচ্ছে। একেতো রোগীর চাপ তার উপর প্রচণ্ড গরম থাকায় হাসপাতালে রোগীদের সমস্যা আরোও চরমে পৌঁছেছে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

হাসপাতালটির সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কখনো তা দ্বিগুণের বেশী হয়ে দাঁড়ায়। ফলে রোগীদের সাথে চিকিৎসকদেরও কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হিট এলার্ট জারী থাকায় গরমে কম বের হতে ও বাইরের খোলা খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

;

মেটাল কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা আত্মসাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেটাল কয়েনে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে দুদিনের ব্যবধানে পাওয়া যাবে শত কোটি টাকা, এমন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

রাজধানীর উত্তরার এয়ারপোর্ট থানায় এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকা দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিবিআই কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৫ সালে পূর্ব পরিচিত মো. ইউসুফের মাধ্যমে পরিচয় হয় আরেক অভিযুক্ত মানিক মোল্লার। পরিচয়ের সূত্র ধরে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

পিবিআই জানায়, প্রথমে চক্রটি মানুষের সঙ্গে সখ্যতা ও বিশ্বাস স্থাপন করে। তারপর তাদের মেটাল কয়েনে ইনভেস্ট করানোর কথা বলে তাকে নিয়ে চাঁদপুরের আসামি মানিক মোল্লার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেটাল কয়েনকে বৈদ্যুতিক আলোর স্পর্শে এনে বিভিন্ন রিফ্লেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখান।

আর এতেই অনেকটা লোভে পড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম।

চুক্তি অনুযায়ী, রফিকুল ইসলাম ধাপে ধাপে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। একই সঙ্গে চুক্তির কথা কেউ যেন জানতে না পারেন, সে শর্তে শাহ জালাল ও শাহ পরানের নামে শপথ পাড়ানো হয়, রফিকুল ইসলামকে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বাস্তবে এমন কোনো কয়েনের অস্তিত্ব এখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেটা ‘তক্ষক’ ‘সীমান্ত পিলার’-এর মতো এটাও একটি প্রতারণার কৌশল মাত্র।

তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে ফেরার পথে সদরঘাটে এসে চক্রের অন্যান্য সদস্যরা সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে আসামি ইউসুফ এবং মেটাল কয়েনটি তাদের হেফাজতে নিয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি নাটক সাজিয়ে শেষে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চক্রের আরেক সদস্য সাখাওয়াত এসে কয়েনটি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং আরেক সদস্য লিটন ৮০ লাখ টাকা নিলে রফিকুল ইসলামের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে পিবিআই অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের অন্য সদস্যরা এখনো পলাতক।  

পিবিআই জানায়, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। 

 

;

পটিয়ায় ট্রাক-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে ট্রাক-মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকসহ অনন্ত ৫ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে পটিয়া পৌরসভার আমজুর হাটে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রাকচালকের নাম মো. আবদুর রউফ (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। তবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। সবাইকে পটিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারমুখী একটি মিনিবাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ড্রাইভারের বামপাশে দরজার অংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রাকটিরও। ট্রাকচালক পায়ে আঘাত পেয়েছে। এর আগে ওই বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

পটিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস এবং সিমেন্টবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে আমরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে সড়ক পিছলা হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রাক ও বাস আটক করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;