সংস্কারের জন্য রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে না: মেয়র খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আমরা যখন আমাদের কাউন্সিলরদের বলি, আপনাদের কোনো রাস্তা সংস্কার করতে হবে কি-না? যদি হয়, আমাদেরকে জানান। তারা অনেকেই সংস্কারের জন্য রাস্তা খুঁজে পান না।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ডিএসসিসি অন্তর্ভুক্ত নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র জানান, ডিএসসিসি এলাকার প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ রাস্তা আমরা সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছি। ৫ থেকে ৭ ভাগ রাস্তা আছে, আমরা প্রকল্প নিয়েছি। আমরা এটা শেষ করে ফেলব।
সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের খেলার মাঠ, পার্কগুলো নতুনভাবে নির্মাণ করছি, সংস্কার করছি। ডিএসসিসি এলাকা বদলে যাচ্ছে। যত দিন যাবে, এসব পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। যতদিন যাবে, ডিএসসিসি এলাকা একটি উন্নত বিশ্বের আধুনিক শহরের ন্যায় করতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নব সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি। নব সংযুক্ত এলাকার রাস্তাগুলোতে যেন কাদা না থাকতে পারে, মানুষ যেন চলাচল করতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি।
প্রতিটি ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত অর্থ ও কাজের অগ্রতগি তুলে ধরে মেয়র বলেন, এরইমধ্যে এসব এলাকার রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি, যেগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। ৬২ নং ওয়ার্ডে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই ওয়ার্ডে ৫৮টি রাস্তার এরইমধ্যে ৩২টি সংস্কার করে দিয়েছি। বাকিগুলো হয়ে যাবে।
তিনি জানান, ৬৩ নং ওয়ার্ডে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৭৪টি রাস্তার মধ্যে ৪৮টি রাস্তা ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। ৬৪নং ওয়ার্ডে ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ৭০টি রাস্তার মধ্যে ৪৫টি রাস্তা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ৬৫নং ওয়ার্ডে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ৬৮টির মধ্যে ৪০টি সংস্কার হয়েছে। ৬৬নং ওয়ার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। রাস্তা ৮৫টির মধ্যে ৬২টি সম্পন্ন। ৬৭নং ওয়ার্ডে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ৭৮টি রাস্তার মধ্যে ৫২টি রাস্তা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ড ৬৮নংয়ে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৮৮টি রাস্তার ৬০টি সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ড নং ৬০ -এ বরাদ্দ ৪০ কোটি, ৩৬টি রাস্তার মধ্যে ২৫টির সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। ৬১ নং ওয়ার্ডে বরাদ্দ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ৪৪টি রাস্তার মধ্যে ৩৩টি সম্পন্ন হয়েছে। ৬৯ নং ওয়ার্ডে ৫৫টি রাস্তার ৯টি সম্পন্ন। ৭০নং ওয়ার্ডে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চারটি রাস্তার সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৭৫ ভাগ রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে বাকিগুলোও সম্পন্ন করে দেব।
মেয়র বলেন, নব সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা মাফিক কাজের জন্য আইডব্লিএম নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে ড্রইং ডিজাইন করতে দিয়েছি। প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা একটি রাস্তা দক্ষিণ থেকে পূর্ব দিকে অর্থাৎ শ্যামপুর থেকে দক্ষিণখান পর্যন্ত রাস্তা হবে। যেখানে ড্রেনেজ রাখা হয়েছে। মাস্টার প্লান দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছি। আগামী ১০ বছরে নব সংযুক্ত ওয়ার্ড আর গুলশান-বনানীর মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।