রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে দানবীর ‘রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পদক তুলে দেন তিনি।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- কিংবদন্তী রাজনীতিক তৎকালীন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), নজরুল বিশেষজ্ঞ ও গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দীন।
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ৮৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পদক প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পক্ষে তাঁর নাতনি খিলখিল কাজী স্বর্ণপদক নেন।
এর আগে সকালে, বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে কুমুদিনী কমপ্লেক্স মনোরমভাবে সজ্জিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, কুমুদিনী পরিবার ২০১৫ সালে রণদা প্রসাদ স্মারক স্বর্ণপদক প্রবর্তন করে। প্রথম তিন বছর একজনকে মরণোত্তর স্বর্ণপদক প্রদান করা হলেও এবার তা দেওয়া হয় দুইজনকে।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রপথিক রণদা প্রসাদ সাহা। তাঁর জন্ম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায়। আজীবন তিনি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করেছেন। টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য চিকিৎসালয়। মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।