আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র তলব করেছে দুদক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অবৈধভাবে ঋণ প্রস্তাব প্রেরণ ও অনুমোদন করে ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে আইসিবি ইসলামী লিমিটেডের (সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক) কাওরান বাজার শাখার সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার(১৩ মার্চ)  দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত কর্মকর্তা ও সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান ওই কেলেঙ্কারির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন ও ঋণের হিসাবসংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তরিকুল ইসলাম খান এবং সাবেক সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুস্তাক আহমেদ। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ব্যাংকিং ইন্সপেকশন-১ শাখার মহাব্যবস্থাপক স্বাক্ষরিত চিঠিতে চাহিদাকৃত নথিপত্র চলতি সপ্তাহের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
তলবকৃত রেকর্ডপত্রের মধ্যে রয়েছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার মেসার্স হক ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিবিই-১ কর্তৃক ২০০৬ ও ২০০৭ সালের তদন্ত প্রতিবেদন এবং এ বিষয়ে বিশেষ কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে তার সত্যায়িত কপি।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার গ্রাহক হক ডেভেলপমেন্টের (অ্যাকাউন্ট নং ১৩৩০০০১৩৩৯২) হিসাব খোলার ফর্মসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ওই হিসাবের পরিচয়দানকারীর নাম, ঠিকানা, হিসাব নম্বর ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট, লোন অনুমোদনকারী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সব নথিপত্র, হক ডেভেলপমেন্টের মালিক হাসান আহমেদের নামে বরাদ্দকৃত লোন প্রদান সংক্রান্ত সব নথিপত্র, হক ডেভেলপমেন্টের ঋণ হিসাবের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও বর্তমানে ঋণের সর্বশেষ অবস্থার বিবরণ ইত্যাদি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ জুন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌসের দায়েরকৃত মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অবৈধভাবে ঋণ প্রস্তাব প্রেরণ ও অনুমোদন করে ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

   

ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে আসল আটকে পড়া ২৫০, গেলো ৩০০ মানুষ



আবদুর রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে সেন্টমার্টিনে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে পড়া আড়াইশো মানুষ ফিরেছে মূল ভূখণ্ডে। ৪টি ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে তারা এপারে পৌঁছে। অন্যদিকে টেকনাফে আটকে পড়া ৩০০ মানুষ ফিরেছে নিজভূমি সেন্টমার্টিনে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর একটার দিকে ৪টি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ছেড়ে এসে তিনঘন্টায় পৌঁছে টেকনাফে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলারগুলো ভিড়তে পারেনি মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির কারণে। পরে টেকনাফের সাবরাং মুন্ডারডেইল নৌঘাটে নোঙর করে ট্রলারগুলো। সেখানে গভীরতা এবং ঢেউয়ের কারণে ট্রলার ভিড়তে না পারায় ডিঙি নৌকায় করে সেই মানুষগুলোকে নিয়ে আসা হয় পাড়ে অন্যদিকে এপারে আটকে পড়া মানুষকে তুলে দেওয়া হয় ট্রলারে।


সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেন্টমার্টিনে আটকে দ্বীপে কর্মরত বিভিন্ন এলাকার মানুষ এবং কিছু বাসিন্দা নিয়ে ৪টি ট্রলার নিয়ে ২৫০ জন মানুষ সাবরাং মুন্ডারডেইল নৌঘাটে আসে। সেখান থেকে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে তাদের কূলে নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে টেকনাফ থেকে ৩০০ মানুষ সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, ট্রলারে যারা এসেছে তারা মূলত বিভিন্ন কাজে গিয়ে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছিল। এদিকে একই ট্রলারে করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরো অন্তত তিনশো যাত্রী টেকনাফ থেকে রওনা দেয় সেন্টমার্টিন এর উদ্দ্যেশে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিনে এসে আটকা পড়া এসব মানুষকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিকল্প পথে ফেরানোর চেষ্টা চলছিল। অবশেষে আজ তারা ফিরতে পেরেছে। তবে দ্বীপের মানুষের জন্য এখন খাদ্য সহায়তা খুবই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের জলসীমায় নাফ নদীতে মর্টারশেল বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে, এসময় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে শাহপরীর দ্বীপ, এবং ওপারের তুমুল সংঘর্ষে গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়।

এদিকে বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ গোলাগুলি আর মর্টারশেলের শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছিলো সীমান্তের টেকনাফ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেই গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এছাড়া নাফ নদীতে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধ জাহাজ সকাল ৮টা পর্যন্ত অবস্থান করছিল বলেও জানান স্থানীয়রা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। দুপক্ষের মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। রাতভর ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন দুই দ্বীপের বাসিন্দারা।

;

বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নজিরবিহীন ১২৬৮৯ ভোট বাতিল, পুনরায় গণনার দাবি পরাজিত প্রার্থীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
পুনরায় গণনার দাবি পরাজিত প্রার্থীর

পুনরায় গণনার দাবি পরাজিত প্রার্থীর

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য অনুষ্ঠিত রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৬৮৯ ভোট বাতিল হয়েছে। একটি উপজেলায় এমন ভোট বাতিলের ঘটনা নজিরবিহীন বলে দাবি করছেন কলস প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী আফরোজা বেগম। তিনি ওই পদে পুনরায় ভোট গণনা করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আনীত অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফলাফলের গেজেট প্রকাশ না করতে ও অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা বেগম এসব কথা বলেন।

আফরোজা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যে ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে তাতে গরমিল রয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৬৮৯ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে, যা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। এটি দেশের ইতিহাসেও নজিরবিহীন। অথচ চেয়ারম্যান পদে ২ হাজার ২২৪ ভোট বাতিল হয়েছে। আমাকে পরাজিত করতে পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ ভোটার ও মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আমি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি করছি।

এ সময় বক্তব্যের একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ভোট বাতিলের ব্যবধান তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনের সচিবসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ, অতিরিক্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ৫ জুন সকাল ৭টা থেকে কুতুবপুর, গোপালপুর, মধুপুর, লোহানীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে আমার নির্বাচনী এজেন্ট ও পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়। আমি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র গিয়ে দেখি ভোটকক্ষে আমার কোনো পোলিং এজেন্ট নাই। আমার পোলিং এজেন্টদের প্রতিপক্ষের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেন। বিষয়টি দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে জানালে তারা কর্ণপাত করেননি। অনেক ভোটকেন্দ্রে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফুটবল প্রতিকে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। এবং ভোট গণণার সময়ও অনেক কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটগণণা করা হয়।

আফরোজা বেগমের দাবি, ভোট গণনার সময় ফলাফলে প্রকাশে বিলম্ব করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে ভোট সংখ্যা বড়পর্দায় দেখানো হলেও সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের হিসাব এক ঘণ্টারও বেশি সময় দেখানো হয়নি। এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা উত্তেজিত হলে সার্ভার জটিলতার দোহাই দেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার। অথচ একই সময়ে চেয়ারম্যান পদে ভোটের ফল ঠিক দেখানো হয়। অনেক দেরিতে ফলাফল ঘোষণা করা হলেও সেখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৬৮৯ ভোটটি বাতিল দেখানো হয়েছে। যা নজিরবিহীন ঘটনা ও সন্দেহজনক। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী রুবিনা আখতার ফুটবল প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আমি ভোট পেয়েছি ৩৪ হাজার ৯১৪ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিপি ইসলাম প্রজাপতি প্রতিকে পেয়েছে ২৫ হাজার ৪১ ভোট।

তিনি আরও বলেন, বিপুল পরিমাণ ভোট বাতিলের ঘটনা সাজিয়ে আমাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত দেখানো হয়েছে। আমি এবং সাধারণ জনগণ এতে খুবই মর্মাহত। এই ফলাফল নিয়ে পুরো উপজেলায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভোট বাতিলের এই হিসাব কেউ মেনে নিতে পারছেন না। চেয়ারম্যান পদে দুই হাজার ভোট বাতিল হলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৩ হাজার ভোট বাতিল অবিশ্বাস্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণে আমি পুনরায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গণনার দাবি করছি। আমার বিশ্বাস সঠিক ভাবে ভোট গণনা হলে জনগণের রায়ে আমার পক্ষে যাবে। এসময় তিনি পুনরায় ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত গেজেট প্রকাশসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত করতে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুইট। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তবিকুর চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।

অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৬ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে ফুটবল প্রতিকের রুবিনা বেগম নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আফরোজা বেগম, তিনি কলস প্রতিকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯১৪ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম নির্বাচিত হয়। বদরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নের ১০৩টি কেন্দ্রে গত ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

;

৫০০ টাকার ভাড়া ৭৫০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ ঠিকানায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ছিল শেষ কর্মদিবস। এদিন ঢাকার প্রতিটি বাস কাউন্টারে ছিল যাত্রীদের ভিড়। এ সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে বাস মালিক পক্ষ। সকালে যে ভাড়া ৫৫০ টাকা ছিল, দুপুরের পরই সেই ভাড়া এক লাফে বেড়ে যায় ২০০ টাকা। ৭৫০ টাকা দিয়ে যাত্রীদের কাটতে হচ্ছে বাড়ি ফেরার টিকিট।

সন্ধ্যায় কথা হয় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সোনাপুরের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ এর সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি সকালে জরুরি কাজে বালিয়াকান্দি থেকে ঢাকায় এসেছিলেন বিআরটিসি এসি বাসে। তখন বালিয়াকান্দি থেকে গুলিস্থান পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছিল ৫৫০ টাকা। কাজ শেষ করে বেলা ১১টার দিকে একই বাসে গুলিস্থান থেকে বালিয়াকান্দির টিকিট কাটতে গেলে তার কাছে ভাড়া দাবি করে ৭৫০ টাকা। তখন তিনি সকালের টিকিট দেখালে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে গুলিস্থান বিআরটিসি বাস কাউন্টারের দায়িত্ব থাকা টিকিট বিক্রেতা। পরে তিনি বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা বেশি দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন।

শুধু গুলিস্থানের বিআরটিসিই নয়। ঢাকার গাবতলী থেকে রাজবাড়ী-ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি বাস ভাড়া বাড়িয়েছে। গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি বাসের যাত্রীরা বার্তা২৪.কমকে জানান, গাবতলী থেকে বালিয়াকান্দি পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা। সেই ভাড়া বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরের পর থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৬০০ টাকা। অনেকেই লোকাল বাসে ওঠার চেষ্টা করে সেখানেও ব্যর্থ হয়। লোকাল বাসগুলোও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কথা বলতে গুলিস্থানের বিআরটিসি বাস কাউন্টারে ফোন দিলে সাংবাদিক শোনার পর ফোন কেটে দেন। এরপর গাবতলীর বেশ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টারে ফোন দিলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, সামনে ঈদ। সবাই আশা করে একটু বাড়তি আয়ের। তাই আমরাও খুব অল্প পরিমাণ ভাড়া বাড়িয়েছি। এতো অল্প পরিমাণ ভাড়া বাড়িয়েছি যে যাত্রীদের কোন অভিযোগ নেই।

যাত্রীরা শুধু নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরার দাবি রেখেছেন আমাদের কাছে। আমরাও তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত বলেন তিনি।

;

ফেনীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গরু লুট : ২ ডাকাত চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর দাগনভূঞায় খামারের কর্মচারীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ১৩টি গরু লুটের ঘটনায় মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব। এর আগে বুধবার (১২ জুন) রাতে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব সূত্র জানায়, শনিবার (৮ জুন) দাগনভূঞার রাজাপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়নারায়ণপুর গ্রামের খান অ্যাগ্রো ফার্মের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুই শ্রমিককে জিম্মি করে ১৩টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় খামারি মো. দাউদ খান বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তী আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন র‍্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার মূল হোতাসহ দুইজনকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া এলাকার মৃত সেকেন্দারের ছেলে মূল হোতা সোলাইমান (৫২) এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মৃত আবদুল হালিমের ছেলে জামাল হোসেন প্রকাশ মানিক (৪২)।

ফেনীস্থ র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি সোলাইমানের বিরুদ্ধে ফেনী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১১টি এবং মানিকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;