উচ্চতর মানুষেরা আলোকিত হন: অধ্যাপক সায়ীদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে মহানগরীর ৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার ২১০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, মানুষ হলো দুই রকম, উচ্চতর মানুষ আর নিম্নতর মানুষ। আমরা উচ্চতর মানুষের আরেক নাম দিয়েছি ‘আলোকিত মানুষ’।

সমবেত শিক্ষার্থীদের কাছে এ সময় তিনি জানতে চান, ‘তোমরা কেমন মানুষ হতে চাও?’ শিক্ষার্থীরা সমস্বরে জবাব দেয়, ‘আলোকিত মানুষ।’

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমাদের সন্তানেরা, আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে আলোকিত মানুষ হতে পারে, সেজন্য সহ-শিক্ষা কার্ষক্রমের পাশাপাশি, বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ বই পড়ার মাধ্যমেই মানুষের ভেতর সত্যিকারের মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। আর মূল্যবোধই পারে আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে।

সকাল থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান মালার প্রথম পর্বে ৪৪টি স্কুলের দুই হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থীকে এবং দ্বিতীয় পর্বে ৪৪টি স্কুলের দুই হাজার ৬০৪ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জন সেরা পাঠক পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন করে মোট ছয়জনকে দুই হাজার টাকা মূল্যের বিশেষ পুরস্কার বই প্রদান করা হয়। এছাড়া, লটারির মাধ্যমে প্রতি পর্বে দুই জন করে মোট চারজন অভিভাবককে দুই হাজার টাকা মূল্যের বইয়ের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপসচিব সুমন বড়ুয়া, চসিকের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাহেদুল কবির চৌধুরী, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল হেড অব অপারেশনস ফিরোজ উদ্দিন, চট্টগ্রাম লেখক-সাহিত্যিক সংগঠনের মহাপরিচালক অরুন শীল, চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক ও অধ্যাপক আলেক্স আলীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

   

দেশে বিদেশি ‘পতাকা উত্তোলনে’ যে সমস্যা



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 

সোমবার (৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শিত হয়। সংগঠনটির একই কর্মসূচি ছিল দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেটাও পালিত হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অল্প সময়ের মধ্যে হলেও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। সরকার-দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটি কর্মসূচির প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে তাতে পিলে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য; যেখানে লেখা ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সমাবেশ নিয়ে আপত্তি থাকার কথা না কারো, কিন্তু প্রশ্ন জেগেছে স্বাধীন দেশে অন্য দেশের ‘পতাকা উত্তোলন’ নিয়ে। এখানে উচিত-অনুচিতের দ্বন্দ্ব আছে, আছে আইনি বিধিনিষেধ; এবং এ-ব্যাপারে কি আদৌ সচেতন ছিল সংগঠনটি?

প্রশ্ন তুলেছিলাম এ-নিয়ে ফেসবুকে। বলেছিলাম, ‘এটা অতি-আবেগী, হাস্যকর ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে, আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছি; কিন্তু দেশটির পতাকা উড়ানোর মতো কর্মসূচি পতাকার আবেদন অনুধাবন করতে না পারার মতো ছেলেমানুষি ও হঠকারী কর্মসূচি। এটা ব্যক্তি-ব্যক্তিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে করা যায়, কিন্তু দেশব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে করার মতো আনুষ্ঠানিক করা যায় না। কর্মসূচি দিয়ে পতাকা উড়ানো মানে দেশ ও পতাকার প্রতি নিবেদন, আনুগত্য প্রদর্শন। এটা কেবল নিজ দেশের প্রতিই করা যায়। অন্য দেশের প্রতি করা যায় না। একদিনের জন্যে হোক, এক ঘণ্টা কিংবা এক মিনিটের জন্যে হলেও এই আনুগত্য প্রকাশ অপ্রত্যাশিত। এটা নিজ দেশের লাল-সবুজের পতাকার প্রতি আনুগত্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ফেসবুকে লেখার পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, এটা সংহতি সমাবেশ মূলত। পতাকা উত্তোলনের বিষয়টি এখানে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে গেছে কেবল। তারা সচেতন থাকবেন এ-বিষয়ে, যাতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার সঙ্গে আনুগত্য ও নিবেদনের প্রশ্নে সাংঘর্ষিক না হয়।

ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতি চোখ রেখেছিলাম। ভিনদেশি পতাকা উত্তোলন বিষয়টির চাইতে সংহতির বিষয়টি তখন চোখে পড়েছে। আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা বক্তব্য রেখেছেন, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি মানবিক আবেদনে জোর দিয়েছেন। দেশে-দেশের ছাত্র আন্দোলনের যে তরঙ্গ তাতে সামিল হওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। এখানে মানবিক দিক যেমন আছে, তেমনি আছে ছাত্র-আন্দোলনের গভীরতা।

তারপরেও প্রশ্ন থাকে। কারণ ওই ‘পতাকা উত্তোলন’ প্রসঙ্গ! পতাকার আবেদন, নিবেদন এবং আনুগত্য। কারা, কোথায়, কী প্রক্রিয়ায় পতাকা উত্তোলন করতে পারে-এ সম্পর্কে কি সচেতনতা আছে সকল মহলে? সত্যি বলতে কী, এখানে আমাদের জানা-বুঝার সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক।

‘জাতীয় পতাকা বিধিমালা’ রয়েছে আমাদের। এই পতাকা বিধিমালা মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। এটা কেবল কর্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, অমান্য করলে আছে পড়তে হয় শাস্তির মুখে। ২০১০ সালে প্রণীত সংশোধিত পতাকাবিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বিষয়টি কম-আলোচিত হলেও যে স্পর্শকাতর, তা এ-থেকেই অনুমেয়।

আমাদের দেশের পতাকা, কিন্তু নির্দিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ছাড়া চাইলেই কি আমরা ব্যক্তি-পর্যায়ে যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পতাকা উত্তোলন’ করতে পারি? মর্যাদার প্রশ্ন, তাই এখানেও আছে নিয়ম। ২০২৩ সালের সংশোধিত পতাকাবিধি অনুযায়ী ঈদে মিলাদুননবি, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতির পিতার জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, এবং সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত যেকোনো দিবসে কেবল বাংলাদেশের সর্বত্র পতাকা উত্তোলন করার নিয়ম। এরবাইরে আছে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধিবদ্ধ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। বিদেশি পতাকা উত্তোলনের বিষয়েও উল্লেখ আছে জাতীয় পতাকা বিধিমালায়। এর ৯ ধারায় স্পষ্ট, বাংলাদেশে কারা এবং কী প্রক্রিয়ায় বিদেশি পতাকার ব্যবহার করতে পারবে।

প্রসঙ্গের অবতারণা মূলত ছাত্রলীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু খানিক অমনোযোগিতা হয়েছে মূলত পতাকা উত্তোলন বিষয়ে চলে যাওয়ায়। জাতীয় পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখানে বিদেশি পতাকা উত্তোলনের কোন কর্তৃপক্ষ নয়। এখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে পরক্ষণে কেন্দ্রে হয়ত সচেতনতার খানিক প্রচেষ্টা ছিল, কিন্তু দেশব্যাপী এটা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা জাতীয় পতাকা বিধিমালা সম্পর্কে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে সবখানে যে নিয়ন্ত্রণ-নিয়মরক্ষা, সেটা হয়নি।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আমাদের পুরনো দাবি। এই দাবি থেকে আমাদের সরে আসার সম্ভাবনা নাই। তবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে আমরা যেন সংযত থাকি, অন্তত আনুগত্য ও নিবেদনের প্রশ্ন যখন সামনে চলে আসে। দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের অগণন নেতাকর্মী। এই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সামনে কোন কর্মসূচি দেওয়ার সময়ে খেয়াল রাখা উচিত দেশ-বিদেশ প্রশ্নে যেন কোন সাংঘর্ষিক কিছু না ঘটে। পতাকা নিয়ে যখন কর্মসূচি আসবে তখন যেন এমন কোন কিছু না ঘটে যাতে নিজ দেশের পতাকার মর্যাদাহানি ও পতাকাবিধির ব্যত্যয় না হয়।

কেবল ধারণা থেকে নয়, অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, বিপুল লোকের অংশগ্রহণে কোন কর্মসূচিতে নিয়ন্ত্রণ সচরাচর থাকে না। পতাকা নিয়ে আগেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, মর্যাদাহানি হয়েছে। ওসব জায়গা থেকে আমাদের শেখার ছিল। আমরা হয়ত পুরোপুরি শিখিনি। তবু আশাবাদী হতে চাইছি। ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণের যে শিক্ষা সেটাকে গ্রহণ করতে চাই। ছাত্রলীগের এই কর্মসূচি থেকেও তাই একই প্রত্যাশা।  

আমাদের পঠন-পাঠনে বিস্তর সীমাবদ্ধতা। এটা স্বীকার করে এখান থেকে প্রাপ্তির সুযোগ খোঁজা যেতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি পতাকা উত্তোলন নিয়ে খুব ক্ষীণ স্বরে হলেও যে প্রশ্ন, সেটাকে আমলে নেওয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে। এবং এখান থেকে পঠনে আগ্রহ বাড়াতে হবে শিক্ষার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের। জাতীয় পতাকাবিধি নিয়ে পাঠ ও আলোচনার সুযোগকে গ্রহণ করতে হবে। কে জানে একটা ভুল হয়ত দেখাতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার!

;

রাজধানীসহ ১৫ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমের পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর, আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দেশের ১৫টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেতও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। দেশব্যাপী উচ্চশিক্ষা বিস্তারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে সোমবার (৬ মে) বঙ্গভবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, ‘বৈঠকে প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

প্রেস সচিব জানান প্রতিনিধিদল, রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রাষ্ট প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসূচি চালু করার ও পরামর্শ দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

'খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশ উন্নয়ন, ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ুর পরিবর্তন ও তার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

আগামীকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে সোমবার (৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।” 

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন দেশ পরিচালনার সময় পেয়েছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৭৮টি রেলব্রিজ এবং ২৭০টি সড়কব্রিজ ধ্বংস করে। যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক, সড়ক-সেতু, রেল, রেল-সেতু মেরামত এবং নির্মাণ করে তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতু মেরামতের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। আর এ কাজে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন প্রকৌশলীগণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলএনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ এর মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া আমরা ভবনের কাজ শুরু করার জন্য ৫ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের ২য় পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ-এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। 

প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।

;