জসিম-আনোয়ারের খবর জানেন?



ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বজনদের খোঁজে ঢামেকে সাঁটানো তালিকায় চোখ বুলাচ্ছেন, ছবি: বার্তা২৪

স্বজনদের খোঁজে ঢামেকে সাঁটানো তালিকায় চোখ বুলাচ্ছেন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে টাঙানো রয়েছে আগুনে পোড়া রোগীর তালিকা। তালিকায় সকাল আটটা নাগাদ ছিল ৩১ জনের নাম। চকবাজারের চুরিহাট্টায় ওয়াহিদা ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭০-এ। তাই আতঙ্কের শেষ নেই স্থানীয়দের।

চকবাজারের কসমেটিকস দোকানের কর্মচারী জসিম নিখোঁজ রয়েছেন গতকাল রাত থেকে। জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন নোয়াখালীতে রেখেই ঢাকায় পাড়ি জমান জসিম। ২০ ফেব্রুয়ারি দোকান বন্ধের পর বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যেই বের হোন জসিম। তারপর থেকেই নিখোঁজ জসিম।

জসিমকে খুঁজতে দোকানের মালিক ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব এসেছেন ঢামেকে। আহত রোগীদের তালিকা দেখছেন বারবার। বলেন, 'কাল রাত থেকে টিভিতে নিউজ দেখে জসিমের মা-বাবা ফোন দিচ্ছে আমাকে। মোবাইলে জসিমকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই রাস্তা দিয়েই বাসায় ফিরতে হতো জসিমকে। জানিনা কি হয়েছে। জসিমের মাকে কি বলব বুঝতে পারছি না।'

অন্যদিকে চকবাজারের চুরিহাট্টার ব্যাগের ব্যবসায়ী আনোয়ার রয়েছেন নিখোঁজ। লাশের ঘর কিংবা তালিকা কোথাও নেই জসিমের নাম নিশানা। কাল রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি আনোয়ারের।

আনোয়ারের ভাই আজিজুল হক তাই খোঁজ নিতে ঢামেকের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে। বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'কাল রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই আনোয়ারকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও তার কোনো খোঁজ নেই। লাশের মধ্যেও খুঁজে পাচ্ছি না। আবার রোগীদের তালিকায় নেই আনোয়ারের নাম।'

জসিম ও আনোয়ারের মতো আরও অনেক মানুষের খোঁজ নিতে স্বজনরা ভিড় জমাচ্ছেন ঢামেকে। তবে অগ্নিদগ্ধ মরদেহ শনাক্তকরণ কঠিন হওয়ায় অনেকের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢামেকের কর্তৃপক্ষ।

ঢামেককে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম তরান্বিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে। প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

   

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

;

হাওরে ৭০, অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছে কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি উৎপাদন সহায়তার জন্য সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের মাঝে সহজ ও কম মূল্যে বিতরণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের ফলে ধান কর্তন সময়ে হাওর এলাকায় শ্রমিকের যে সংকট তৈরি হয় তার অবসান ঘটবে। কৃষকগণ স্বল্পতম সময়ে তাদের গোলায় ফসল তুলতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা’ নামে একটি খাত রয়েছে। এ খাত হতে মূলতঃ দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল চাষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা কর্মসূচিও পরিচালনা করা হয়। পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কৃষকদের সার্বিক কল্যাণ এবং বিভিন্ন ফসল চাষে তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রতি অর্থবছরেই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কর্মসূচিগুলোর লক্ষ্যমাত্রাও বৃদ্ধি করা হয়।

;

চট্টগ্রামে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মহাসড়কে মিনিট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. পেঁচু মিয়া (৬০) আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। আহতরা হলেন- আবুল কালাম (৪৫) ও আলিফ (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মিনিট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. পেঁচু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃত ব্যক্তির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিনিট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

;

শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় নারী নিহত, আহত ৩



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী রীতা রাণী (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন গোলদার ও তাদের শিশুকন্যা প্রিয়াসহ (২) মোট ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৬ মে) বিকেলে নাভারণ সাতক্ষীরা সড়কের শার্শার জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রীতা রাণী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের মিলন গোলদারের স্ত্রী।

আহতরা হলেন- নিহত রীতা রাণীর স্বামী মিলন গোলদার (৩০) ও তাদের শিশু কন্যা এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুছ সানার ছেলে মোটরসাইকেল চালক আসমাতুল্লা (৩৫)।

আহত মিলন গোলদার জানান, তারা শ্যামনগর থেকে মোটরসাইকেলযোগে তার শ্বশুরবাড়ি শার্শার গোড়পাড়ায় যাচ্ছিলেন। এসময় পথিমধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দিলে তারা ট্রাক্টরের চাকার তলায় পড়ে যান। এতে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ছোট মেয়ে আহত হয়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নাভারণ হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) মফিজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার এবং মাটিবাহী ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

;