পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় নবজাতক উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম  
রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে, ছবি: বার্তা২৪

রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তার পাশে নবজাতকের কান্না শুনে ঘুম ভেঙে যায় মিজানুর রহমান দম্পতির। ঘরের বাইরে বেরিয়ে খুঁজতে থাকেন কান্নার উৎস। শেষে পলিথিনে মোড়ানো এক নবজাতক কন্যাকে দেখতে পান তারা। এ সময় হই-চই করে আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। অনেকে ছুটে গিয়ে নবজাতককে দেখেন। লোকজন চলে গেলেও নবজাতককে ফেলে যেতে পারেননি তারা।

উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হলে প্রশাসনের পক্ষে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নাগপাড়া এলাকার।

যোগীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নাগপাড়া-সাখিদার পাড়া রাস্তার পাশে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পান মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমিন আক্তার। ঘটনাস্থলে গিয়ে শক্ত পলিথিনে মোড়ানো নবজাতককে দেখতে পান তারা।

এই দম্পতি নবজাতককে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যত্ন করেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি জানার পর বিষয়টি ইউএনওকে জানান। ইউএনও জাকিউল ইসলামের নির্দেশে দুপুরে সমাজসেবা দফতরের কর্মকর্তারা শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নবজাতকের চিকিৎসার পর পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।

মিজানুর রহমান বলেন, তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে বাজার থেকে শিশুখাদ্য কিনে নবজাতককে খাওয়ানো হচ্ছে। প্রশাসন অনুমতি দিলে তার ছোট বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নবজাতককে লালন-পালন করবেন। তার ছোট বোনের কোনো সন্তান নেই।

বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হাসান আলী বলেন, নবজাতক কন্যার বয়স এখনো ২৪ ঘণ্টা হয়নি। ওজন তিন কেজি। সে সুস্থ রয়েছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই তাকে ফেলে যাওয়া হয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল মমিন বলেন, নবজাতকটি সুস্থ রয়েছে। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পুলিশ নবজাতকের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করবে। এর সুরক্ষার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রস্তুত। ইউএনওর নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

 

   

মুক্তিযোদ্ধার কবরে মিলল অবিস্ফোরিত গ্রেনেড!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
অবিস্ফোরিত গ্রেনেড

অবিস্ফোরিত গ্রেনেড

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার কবর খুঁড়তে গিয়ে একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্রেনেড।

মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে আজম নগর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গিয়ে এই গ্রেনেড পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি বুধবার জানাজানি হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, মঙ্গলবার বীরমুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেডসদৃশ একটি বস্তু পাওয়া যায়। প্রথমে লোহা মনে করে একপাশে রেখে দেন শ্রমিকরা। পরে বস্তুটির ওপরের মাটি পরিষ্কার করলে গ্রেনেড আকৃতির মনে হয়েছে। আমরা কবরস্থানের পাশে এটি রেখে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ছোড়া গ্রেনেডটি কোনো কারণে বিস্ফোরিত হয়নি। দীর্ঘ সময় মাটিচাপা থাকার কারণে ওপরের আবরণের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি বালির বস্তা দিয়ে নিরাপত্তার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য চাপা দিয়ে রাখে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

‘মাথার মধ্যে একে-৪৭ তাক করা ছিল, ট্রিগার চাপলেই মারা যেতাম’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
‘মাথার মধ্যে একে-৪৭ তাক করা ছিল, ট্রিগার চাপলেই মারা যেতাম’

‘মাথার মধ্যে একে-৪৭ তাক করা ছিল, ট্রিগার চাপলেই মারা যেতাম’

  • Font increase
  • Font Decrease

‘যখন আমাদের মুক্তি দিবে, পাশে দিয়ে ইউরোপীয়ান জাহাজ ও উপর দিয়ে বিমান যাচ্ছিল, তখন আমাদের মাথায় একে-৪৭ তাক করা ছিল। তারা বলছিল, জাহাজ থেকে যদি কিছু করার চেষ্টা করে, সবাইকে একসাথে মেরে ফেলবে। তাদের হাত ট্রিগারে দেয়া ছিল, ভুলেও যদি গুলি বের হতো, সাথে সাথে মারা যেতাম। এটি একটি দুঃস্বপ্ন, ভুলে যেতে চাই।’

এভাবেই জলদস্যুর হাতে জিম্মি থাকাকালীন সময়ের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন জাহাজটির ইলেকট্রেশিয়ান পদে কর্মরত থাকা ফেনীর ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সোমালিয়ার জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছেছেন। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিলেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব। দীর্ঘ দুই মাস আটকে থাকার পর বিপ্লব ফেনীতে পরিবারের সদস্যদের কাছে এসেছেন। এসে জাহাজে জিম্মি থাকাকালীন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন বিপ্লব।

বিপ্লব বলেন, দেশের মানুষের দোয়া, সরকারের সহযোগিতা ও আমার বাবা-মায়ের দোয়ায় আমি ফেরত এসেছি মৃত্যুর হাত থেকে৷ সরকার ও আমাদের কোম্পানি এস আর শিপিং এর কর্মকর্তারা আমাদের জন্য অনেক করেছেন। অর্থনৈতিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে জীবিত ফেরত এনেছেন। ফেরত আসার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না। ওই ২ মাস ছিল আমার জীবনের দুঃস্বপ্ন, সেটি শেষ হয়েছে এটিই জীবনের বড় পাওয়া।

জিম্মি থেকে মুক্ত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিপ্লব বলেন, যখন আমাদের কোম্পানি মুক্তিপণ দিচ্ছিল, তখনকার একটি বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা হয়েছে।
তারা ৬৫ জন ছিল, সবার হাতে একে-৪৭ অস্ত্র ছিল। তারা আমাদের মাথার মধ্যে অস্ত্র ধরে রেখেছিল, ট্রিগারে তাদের হাত ছিল। একপাশ থেকে ইউরোপীয়ান যুদ্ধ জাহাজ যাচ্ছিল, উপর দিয়ে বিমান যাচ্ছিল। তখন তারা আমাদের বলেছিল, ওই সময় যদি কোনো কিছু করার চেষ্টা করে তারা আমাদের সেখানেই মেরে ফেলবে। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হতে বলেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, জীবন ওখানেই শেষ। এত ভয় জীবনে আর কোনোদিন পাইনি। আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন।

জিম্মি হওয়ার প্রথমদিনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম যেদিন আমাদের আটক করে সেদিন সোমালিয়ার হাই রিস্ক জোন থেকে আমরা ৪৭০ নটিকেল মাইল দূরে ছিলাম। তারা একটি ইরানি ফিশিং জাহাজকে ১ মাস জিম্মি করে রেখেছিল। যখন আমাদের জিম্মি করছিল তখন আমি আমার ডিউটি রুমে যাচ্ছিলাম, তাৎক্ষণিক ইমারজেন্সি অ্যালার্ম বাজানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন জানিয়েছে, জলদস্যু আমাদের জাহাজে আক্রমণ করছে। উপরে গিয়ে দেখি আমাদের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে।

বিপ্লব বলেন, তখন থেকেই মনের মধ্যে ভয় শুরু হয়েছিল। ক্যাপ্টেন অনেক চেষ্টা করেছিল, যাতে তাদেরকে উঠতে না দেয়া যায়, কিন্তু তারা সশস্ত্র ছিল, ফলে উঠে যেতে সক্ষম হয়। উঠে তারা গুলি করে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন ক্যাপ্টেন আমাদের বলছিল, গোপন কক্ষে যাওয়ার জন্য। আমরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ঠিক তখন আমাদের সেকেন্ড অফিসারের বুকে গুলি তাক করে, তখন সবাই তাদের সামনে বসে যাই। তারা আমাদের হাত উপর করতে বলে এবং জানায় তারা আমাদের জিম্মি করেছে।

তিনি বলেন, জিম্মি করার ২ দিন পর তাদের অন্য সদস্যরাও সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে আসে। সোমালিয়া কোস্টের পাশে নিয়ে যাওয়া হয় আমাদের। আমাদেরকে যত রকমের ভয় দেখানো যায় তারা দেখিয়েছে। প্রতিদিন আমাদেরকে ব্রিজে রাখত, সপ্তাহে একদিন পানি দিত গোসল করার জন্য। আমাদের খাদ্য সংরক্ষিত ছিল সেগুলো আমরা খেয়েছি। তবে তারা অধিকাংশ নষ্ট করেছে। সম্পূর্ণ জাহাজকে তারা নষ্ট করে ফেলেছে। এটি জীবনের ভয়াবহ একটি স্মৃতি। ঘুমালে মনে হতো, মাথা উঠালেই একে-৪৭ গুলি আমার মাথায় তাক করা আছে। এভাবে দিন কেটেছে।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপ্লব বলেন, দেশের মানুষ আমাদের চিনতো না, জানতো না। এরপরও তারা আমাদের জন্য দোয়া করেছে, দেশের মানুষের প্রতি আমৃত্যু কৃতজ্ঞতা। জলদস্যুরা আমাদের তখন বলতেছিল তোমাদের দেশের মিডিয়া অনেক ভালো, তোমাদের নিয়ে সর্বাত্মক খবর প্রচার করছে। তারা সবসময় বাংলাদেশের সকল নিউজ দেখছিল এবং আমাদের বলছিল। সাংবাদিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মার্চ মাসের ১২ তারিখ কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। পরে গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশে ফেরত আসে।

;

ফের লাফিয়ে উঠছে পারদ, ঢাকাসহ ১৮ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ ১৮ জেলায় আবারও খটখটে রোদ আর ভ্যাপসা গরম ফিরতে শুরু করেছে। এর ফলে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বিরাজ করতে পারে।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা ওই আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে।

তবে বৃষ্টির সুখবর কেবল সিলেটের জন্য রয়েছে। এই বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। 

এদিকে আগামীকাল (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

;

সিলেটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে মাঠে অনুশীলনের সময় বজ্রপাতে সবুজ মিয়া (২২) নামে এক ফুটবল খেলোয়াড় নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জৈন্তাপুর উপজেলার গোয়াবাড়ি ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফুটবলার সবুজ উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নে কেন্দ্রী গ্রামের ছগির মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ি ফুটবল মাঠে অনুশীলনের সময় হঠাৎ করে আকাশ অন্ধকার হয়ে যায় এবং বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন সবুজ। পরে স্থানীয়রা দ্রুত সবুজ মিয়াকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তখন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম)।

তিনি জানান, বজ্রপাতে খেলোয়াড় মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে নিহতের সুরতহাল প্রস্তুত করেছ।

এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল সেখানে সিলেটে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, একেবারে পরিষ্কার আকাশে বজ্রপাত হওয়ার কথা না। নিশ্চয় আকাশে মেঘ বা কিছু ছিল। মে মাসে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে এবং মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তাই এসময় সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করা উচিত।

;