লোভের জিহ্বা কেটে দিতে চাই: দুদক চেয়ারম্যান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, আমরা দুর্নীতিবাজদের লোভের জিহ্বা কেটে দিতে চাই। সেটা আমরা শুরু করেছি।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুদক কার্যালয়ে কমিশনের কৌশলপত্র-২০১৯ নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুদককে ভয় পায় না, সমাজে এমন লোক কমই আছে। এটা আমরা করতে পেরেছি। ২০১৮ সালে ৬৩ শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে। যা আগের বছরে ছিল ৬৮ শতাংশ। এটাকে আমরা পজিটিভ হিসাবে দেখছি। দুর্নীতি কমে যাচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি করে কারও পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ উপহার দিতে।

দ্রুত বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধরুন আমরা একটি মামলা দিলাম, ২০ বছর ধরে চললো। সেখানে আমাদের করার কিবা আছে। তবে দ্রুত সাক্ষী হাজির ও অন্যান্য বিষয়ে আমরা ভূমিকা রাখি। সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হলে স্পেশাল কোর্ট প্রয়োজন। তবে সব কিছুর উর্ধ্বে হচ্ছে রাজনীতি, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া সম্ভব না। আশার কথা হচ্ছে, এবার নির্বাচনের পূর্বে সকল রাজনৈতিক দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছে।

চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। একটা সচেতনতা বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে এটা এমন নয় যে একটা কল বসালাম সঙ্গে সঙ্গে পানি পাবো। আমেরিকান স্টাইলে জাম্প করে পরিবর্তন আসবে, এমনটা আশা করা ঠিক হবে না।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, মানুষ দুদকের উপর আস্থা রাখছে, এটা পজিটিভ। তবে কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। যে মাত্রায় দুর্নীতি কমার কথা, সে মাত্রায় দুর্নীতি কমেনি।

তিনি বলেন, সব দুর্নীতি আমাদের ম্যান্ডেট না। সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুদকের মূলত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতি দেখার কথা। তবে আমরা সরকারকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ দিতে পারি।

চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে প্রশ্ন তোলেন, দুদক পাঁচ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি দেখবে না, স্কুলের দুর্নীতি দেখবে। আমার কাছে মনে হয়, স্কুলটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা জাতির ভর্বিষ্যৎ ধ্বংস করে। এটা সবটাই যার যার দর্শেনের ব্যাপার।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একটি ইথিক্যাল কোড অব কন্ট্রাক্ট তৈরি করার চেষ্টা করছি। যেটা সরকারের হাতে তুলে দেব। কান্ট্রিওয়াইড বাস্তবায়ন হবে।

সারাদেশ থেকে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলোচনায় অংশ নেন। তারা দুদকের কৌশলপত্র নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি বিরোধী ক্লাব গঠনের সুপারিশ তুলে ধরেন।

কৌশলপত্র নিয়ে দুদক এই প্রথম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলো। এরপর অন্যান্য শ্রেণি পেশার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌশলপত্র-২০১৯।

   

চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন, উৎপাদন বাড়াতে চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে আরও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কৃষি কাজে আমাদের হারভেস্টার চাই, পাওয়ার টিলার চাই, উৎপাদন বাড়াতে যেগুলো প্রয়োজন সেটি আমরা আমদানি করব ডিসকাউন্ট প্রাইসে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে তারা বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা আরও বাড়াবে। আমরা চীন থেকে অনেক যন্ত্রপাতি আনছি, সেটি আরও বাড়াব।

বিপরীতে চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিষ্টি আম নিতে তারা খুবই আগ্রহী।

তারা কি শুধু আমই নেবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমের কথা বলেছি এ জন্য যে, এটা সব দেশের মানুষেরই ভালো লাগে। তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তারা আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে, ফ্লাইওভার করছে। তারা অনেক কাজ করছে এ দেশে।

;

ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, জরিপের ওপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর শস্য ভাণ্ডার। এসব জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার। ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

;

নেত্রকোণায় ভারতীয় ৪০০ বস্তা চিনিসহ আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোণায় ৪শ’ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ তিনজনকে আটক করেছে মডেল থানার পুলিশ। একই সাথে চিনি বহনকারী ট্রাকটিও আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নেত্রকোণার রাজুর বাজার এবিসি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে আটক করা হয়। পরে ওইদিন বিকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নেত্রকোণা পৌরসভার চকপাড়ার গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে মো. মাসুম (৪০), গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখলা গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে জায়েদ মিয়া (২২) ও একই জেলার পূবাইল উপজেলার হারবাইত গ্রামের মৃত বারেক মিয়ার ছেলে বাবু (৪৫)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি আমদানি করে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করে সোমবার বিকেলে তাদের নেত্রকোণা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ছাপিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। এটিই চলতি মৌসুমে সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৬ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রার পারদ আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৩ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ৩০ এপ্রিলের পর থেকে এ জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।

তিনি আরও জানান, আগামী ৪ মে পর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এক সপ্তাহের মতো স্থায়ী হতে পারে। এসময় রোদের সাথে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা সহনশীল হবে।

;