রাজশাহীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে আ.লীগের চমক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা / ছবি: বার্তা২৪

আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে এবার রাজশাহীতে চমক এসেছে। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলাতে নতুন মুখ এসেছে। মাত্র একজন বর্তমান চেয়ারম্যান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বাকি তিন উপজেলায় যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তারা গত উপজেলা নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছিলেন।

তবে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এবং তাদের মদদপুষ্টরাই মনোনয়ন পেয়েছেন বলে অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মীদের।
তারা বলছেন, মনোনয়ন প্রাপ্তদের অধিকাংশেরই নাম ছিল তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকার নিচের দিকে।

তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা বলছেন, কোনো প্রকার তদবির নয়, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দলের মনোনয়ন বোর্ডের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তেই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বাগমারা উপজেলায় এবার বাদ পড়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার।

পবা উপজেলায় এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর রহমান, তানোরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, পুঠিয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএম হিরা বাচ্চু, দূর্গাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।

এছাড়া বাঘায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েবউদ্দীন লাভলু, গোদাগাড়ীতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, চারঘাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম ও মোহনপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম।

এদের মধ্যে পবার মুনসুর রহমান, মোহনপুরের আব্দুস সালাম, দূর্গাপুরের নজরুল ইসলাম ও চারঘাটের ফকরুল ইসলাম গত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন। নজরুল ইসলাম ছাড়া বাকিরা পরাজিত হন।

আর নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাগমারায় অনিল কুমার সরকার, বাঘায় লায়েব উদ্দিন লাভলু, তানোরে লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, গোদাগাড়ীতে জাহাঙ্গীর আলম ও পুঠিয়ায় জিএম হিরা বাচ্চু। এদের মধ্যে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন লায়েব উদ্দিন লাভলু।

এছাড়া এবার মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন বাগমারার বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, গোদাগাড়ীতে গতবারের দলীয় প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ ও পুঠিয়ায় শাহরিয়ার আলম কনক।

মনোনয়নের বিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তৃণমূলে সভা করে যাদের নাম তালিকায় প্রথমদিকে রাখা হয়েছিল, দেখা যাচ্ছে তারাই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। আর যাদের নাম ছিল নিচের দিকে, অদৃশ্য কারণে তারাই মনোনয়ন পেয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মনোনয়নপ্রাপ্তরা প্রত্যেকেই প্রায় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ছত্র-ছায়ায় রাজনীতি করেন। তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন, তা এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে’।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘দলের মনোনয়ন বোর্ড যাদের মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদেরকে বিজয়ী করতে সবধরনের প্রচেষ্টা চালানো আমার দায়িত্ব।’

তবে মনোনয়ন নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

মনোনয়ন সম্পর্কে রাজশাহী-৪ আসনের এমপি ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক জানান, তার উপজেলায় বর্ধিত সভা করে প্রার্থীদের তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছিল। পরে জেলা থেকে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর দলের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। যা শেষ হয় বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি)। চেয়ারম্যান পদে রাজশাহী নয়টি উপজেলায় ৫৫ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ তালিকা করে তাদের নাম কেন্দ্রেও পাঠিয়েছিল।

   

মহাখালী লেকে শিশু নিখোঁজ, পানিতে পড়া নিয়ে সন্দেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মহাখালীর টিবি গেট এলাকায় লেকের পানিতে পড়ে গতকাল রাতে রিয়া নামের ৬ বছরের শিশু নিখোঁজ হয়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আবারও অভিযান শুরু করে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য।

তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, যেখান বলা হচ্ছে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে সেখানে পানি অনেক কম এবং সমতল। আদৌ শিশুটি পানিতে পড়েছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত শিশুটির আত্মীয়-স্বজন কাউকে পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যা রাত ৭টা ৫০ মিনিটে শিশুটির নিখোঁজের খবর আসে। পরে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চলে। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাত ১২টায় অভিযান স্থগিত করা হয়। এরপর সোমবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিট থেকে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু হয়।

তিনি বলেন, তবে এখন পর্যন্ত ডুবুরি দল জানিয়েছে লেকে পানি অনেক কম এবং সমতল। শিশুটি পানিতে পড়লে এতোক্ষণে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো। এদিকে শিশুটির আত্মীয়-স্বজন এমন পরিচয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ আসেনি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে শিশুটি আদৌ পানিতে পড়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম বলেন, ফাতেমা নামে আরেক শিশুর কাছে জানতে পারি তার সঙ্গে রিয়া নামের এক শিশু ছিল। তারা দুইজনেই ভিক্ষাবৃত্তি করে। রিয়া ব্রিজের ওপর থেকে লেকের পানিতে পড়ে যায়। রিয়ার বয়স আনুমানিক ৬ বছর।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শাহজাহান কবিরাজ (৪৮) নামে এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

সোমবার সকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মশান বাজারের কাছে চেয়ারম্যান রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শাহজাহান মিরপুর পৌরসভার যুগিপোল মহল্লার মৃত আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজের ছেলে। তিনি মিরপুর পৌর বাজারের একজন সবজি ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে মিরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন জানান, সোমবার সকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহজাহান কবিরাজকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজনেরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।

তবে কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।

;

৩০ বছর চাকরি করেও শিক্ষিকার বেতন সাড়ে ৬ হাজার, পাচ্ছেন না এমপিও



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
৩০ বছর চাকরি করেও শিক্ষিকার বেতন সাড়ে ৬ হাজার, পাচ্ছেন না এমপিও

৩০ বছর চাকরি করেও শিক্ষিকার বেতন সাড়ে ৬ হাজার, পাচ্ছেন না এমপিও

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজধানীর রাজউক উত্তরা আইডিয়াল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শাহানা সুলতানা। প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন তিনি। দীর্ঘ চাকরিজীবনে শতশত শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেওয়া শাহানা সুলতানার জীবনে সঙ্গী না পাওয়ার আক্ষেপ। মানুষ গড়ার এই কারিগরের তিন দশকে মাসিক বেতন মাত্র সাড়ে ৬ হাজার টাকা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে একজন সাধারণ শ্রমিকের মাসিক আয় যেখানে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে নামমাত্র বেতনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বিদ্যালয় মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিও পেলেও তিনি পাচ্ছেন না সেটা। তাকে বঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে। তবে প্রধান শিক্ষক নিজেকে ‘নিরীহ’ দাবি করে সব অভিযোগ করছেন অস্বীকার।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বাবা নওয়াব আলী মাস্টার ‘রাজউক উত্তরা আইডিয়াল হাইস্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর সুলতানাসহ পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সুলতানা ছিলেন ওই সময়ে নিয়োগ পাওয়া একমাত্র নারী শিক্ষিকা। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৫ সালে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে অদ্যাবধি পাঠদান করছেন তিনি। প্রতিষ্ঠাকালে সকল শিক্ষকদের আশ্বস্ত করা হয় এমপিও হলে সবাইকে দেওয়া হবে। কিন্তু বারবার বাদ পড়ছেন নারী শিক্ষিকা শাহানা সুলতানা।

অভিযোগ ওঠেছে, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সুলতানার ২০ বছর পরে নিয়োগ পাওয়া অন্য এক জুনিয়র শিক্ষককে এমপিও পাইয়ে দেওয়ার জন্য বারবার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে আসছেন। যদিও এমপিও দেওয়ার শর্ত অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান শুরুর সময়ে যথাযথ নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এমপিও পাওয়ার যোগ্য হবেন।

২০২২ সালে এমপিওভুক্ত হয় রাজউক উত্তরা আইডিয়াল হাইস্কুল। এরপর স্কুলের পিওনও এমপিও পেলেও কেবল বাদ পড়েছেন সুলতানা। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নানাভাবে সুলতানার এমপিও পাওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে।

 

স্কুল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আর্থিক সুবিধা ও স্থানীয় হওয়ায় সহকারী এক জুনিয়র শিক্ষককে এমপিও পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অথচ সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা ও প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ একই বছর নিয়োগ পান। ১৯৯৫ সালে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির বোর্ড সভায় তাদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। এমপিওভুক্তি শুরু হওয়ায় সুলতানার নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে, যদিও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের তদন্তে ওঠে এসেছে সুলতানার নিয়োগ যথাযথ ও নিয়ম মেনেই হয়েছে।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালকের কাছে এমপিওভুক্ত না হওয়া ও ইচ্ছাকৃতভাবে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন শাহানা সুলতানা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে রাজউক উত্তরা আইডিয়াল হাইস্কুলে বিরতিহীনভাবে সহকারী শিক্ষক পদে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক শাহানা সুলতানাকে বাদ দিয়ে চাকরিতে তার থেকে প্রায় ১৯ বছরের জুনিয়র একজন শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের এমপিও ভুক্তির পর সরকার নির্ধারিত জনবল কাঠামো বিধান অনুযায়ী এমপিও যাচাইবাছাই কমিটি এমপিওভুক্তির যোগ্য হিসাবে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের পর ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রথমবার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও আবেদন পাঠান। কিন্তু সেখানে বাদ দেওয়া হয় সুলতানার নাম। এভাবে একে একে ২০২৩ সালেই তিন বার এই শিক্ষিকার নাম বাদ দিয়ে আবেদন পাঠানো হয়। আর প্রতিবারই আবেদন ফিরিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়।

দীর্ঘ ২৯ বছর চাকরি করলেও এখনো নামমাত্র পারিশ্রমিক পাচ্ছেন শাহানা সুলতানা। চাকরি করলেও পরিবারের সহায়তায় চলতে হচ্ছে জানিয়ে এই শিক্ষিকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে আমি চাকরি করছি। প্রধান শিক্ষক ও আমি একই সঙ্গে ১৯৯৫ সালের বোর্ড সভায় নিয়োগ পাই। কিন্তু ২০২২ সালে এমপিও চালু হওয়ায় আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বারবার আবেদন করেও আমার এমপিও পাচ্ছি না। কারণ প্রধান শিক্ষক আমার নাম বাদ দিয়ে আমার ২০ বছর পরে নিয়োগ পাওয়া অন্য এক শিক্ষকের নাম পাঠাচ্ছেন।

শিশু-কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিলেও নিজের ঘরে আলো নেই মন্তব্য করে এই শিক্ষিকা বলেন, ১৯৯৩ সালে আমি অনার্স পাস করি। সেই সময়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আলী মাস্টার আমাকে ডেকে এনে চাকরি দেন। কারণ সেই সময়ে অনার্স পাস কোনো নারী শিক্ষিকা পাচ্ছিলেন না। মাত্র ২২ বছর বয়সে শিক্ষকতা শুরু করি। এখন আমি একজন মধ্যবয়স্ক নারী। সেই সময়ে আমিসহ পাঁচজন নিয়োগ পেয়েছিলাম। তখন থেকে নামমাত্র পারিশ্রমিকে চাকরি করে এসেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল যে, এমপিওভুক্ত হলে বেতন বাড়বে। কিন্তু এখনো আমি মাত্র সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতন পাই। এই টাকা দিয়ে কী হয়? আমি চাকরিজীবী হলেও চলতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের টাকায়। এরচেয়ে কষ্টের কী আছে!

এদিকে সুলতানাকে এমপিওভুক্তিতে সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে ‘নিরীহ’ দাবি করে রাজউক উত্তরা আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, এটা নিয়ে অনেক কথা। অনেক বিধি, মন্ত্রণালয়, থানা শিক্ষা অফিস আছে। তাদের প্রশ্ন করেন। আমি নিরীহ মানুষ আমাকে করেন কেন? স্কুল সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে, তাদের কাছে প্রশ্ন করেন।

সুলতানার কাগজ না পাঠিয়ে এক জুনিয়র শিক্ষকের আবেদনের কাগজ বারবার পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এই শিক্ষক বলেন, ‘আমাকে এই প্রশ্ন কোইরেন না। আমি তাকে নিয়োগও দিইনি। এরমধ্যে আমি নাই। আমাকে মাফ করেন। আমি নিরীহ মানুষ। মাফ চাই।’

এদিকে সিনিয়র শিক্ষককে বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষকের এমপিও ভুক্তির একই আবেদন বারবার পাঠানোর কারণে বিরক্ত সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চল কার্যালয়।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা অঞ্চলের জেলা শিক্ষা অফিসের  উপ-পরিচালক আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমার যথাযথ কারণ জানতে থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে একটি কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছি। তারা ব্যাখ্যা দিলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারব।

;

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজু আহমেদ (৩১) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর বালিয়ামারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার ইজ্জত শেখের ছেলে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে কৃষক রাজু আহমেদ তার বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে সেচ দিতে যান।

এসময় বৈদ্যুতিক পাম্প চালু করতে সুইচ দিতে গিয়ে আগে থেকেই সুইচটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।  

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সুমন তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন। বিষয়টি আমি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;