‘ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা আছে’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ফটো

সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ফটো

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের ৬২ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, কারিগরি দিক থেকে অত্যান্ত জটিল এ সেতুর পাইল ড্রাইভিয় চলাকালে সয়েল কন্ডিশনের কারণে কিছু পাইলের পুনরায় ডিজাইন করতে হয়েছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ অনুযায়ী এসকল পাইলের ডিজাইন সম্পন্ন করতে কিছুটা অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। এ সত্ত্বেও চলতি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনে বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ হচ্ছে। এরআগে বিকেল সাড়ে ৪ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসুচি শুরু হয়। একাদশ সংসদ গঠনের পর প্রথম সংসদে প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ স্থাপন এবং পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা হতে বরিশাল পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের কাজও চলছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরিয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার ৫৮২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর জেলার অবশিষ্ট ১ হাজার ২০৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এছাড়া গত ২৭ এপ্রিল চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া গত ১৪ অক্টোবর প্রকল্পের মূল কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছি। সবশেষ ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।

শেখ হাসিনা বলেন, বরিশাল জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভাঙ্গা হতে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশদ নকশা প্রণয়নসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩৯ শতাংশ।

   

২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৮ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৮ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৯২৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৭৫ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস



Mansura chamily
মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুইদিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলা। শুক্রবার সকালে বর্ণাঢ্য শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল। ইউএসএআইডি'স সিসিমপুর প্রকল্পের আয়োজনে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সিসিমপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষামেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ- সিসিমপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা সমন্বয়কারী ফারজানা ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যেকোনো মেলার চেয়ে সিসিমপুর শিক্ষামেলার আবেদন শিশুদের কাছে অন্যরকম। এ মেলায় এসে শিশুরা আনন্দের সাথে শিখতে পারছে নিত্য-নতুন নানান বিষয়।

দু'দিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলায় আয়োজনের মধ্যে থাকছে শিশুদের খেলা-পড়া-লেখা-আঁকা, পর্দায় সিসিমপুর ভিডিও প্রদর্শনী, সিসিমপুর লাইভ শো, বায়োস্কোপে শিখন ও আনন্দযোগ, ম্যাজিক শো, ছবি, বর্ণ ও শব্দের খেলা, প্রশ্নোত্তরে সাধারণ জ্ঞান, শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন, সিসিমপুর পাঠাগারভিত্তিক কার্যক্রম, পুরস্কার বিতরণসহ নানান আয়োজন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রতি শুক্র ও শনিবার জেলার মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া উপজেলা এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধরপুর উপজেলায় সিসিমপুর শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও জনগণ লাল কার্ড দেখাবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক শিল্পপতি সরোয়ার আলমগীর বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডামির নির্বাচনকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। আসন্ন এই ডামির উপজেলা নির্বাচনেও জনগণ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিবে। তারা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, আওয়ামী লীগের লোকজনও এখন ভোটকেন্দ্রে যায় না।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ফটিকছড়িতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরোয়ার আলমগীর বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে বলতে গেলে ডাস্টবিনেই পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন আর ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। এখন সংসদীয় আসন, উপজেলা, পৌরসভাসহ সব জায়গায় হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল। আমি, তুমি ও ডামি দিয়েই নির্বাচন নামের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সরকার হিন্দুস্থানের সেবাদাস সরকার। হিন্দুস্থানের তাঁবেদারি করতে গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের এখন নাভিশ্বাস হয়েছে। হাজার টাকা নিয়ে বাজারের গেলেও এক কেজি মাংস কিনলে আর চাল কেনা যায় না। পাঁচ কেজি চাল কিনলে আর এক কেজি মাংস কেনা যায় না। কাজেই এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদার সভাপতিত্বে লিফলেট বিতরণের সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি'র সদস্য ও ফটিকছড়ি পৌরসভার সভাপতি মোবারক হোসেন কাঞ্চন ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি সদস্য নাজিম উদ্দিন শাহীন,শাহরিয়ার চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম আবু মুনসুর, জেলা যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মোশারাফুল আনোয়ার মশু, মোজাহারুল ইকবাল লাভলু উপস্থিত ছিলেন।

;

চট্টগ্রাম থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ১৪ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগামী ১৪ মে (মঙ্গলবার) শুরু হচ্ছে হজযাত্রা। এদিন ভোররাত ৪টার কিছুক্ষণ আগে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে মদিনার উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।

এবারের হজ মৌসুমে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাংলাদেশ বিমানের ২২টি ফ্লাইট জেদ্দা ও মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে শুধু সরাসরি জেদ্দায় যাবে ২০টি ফ্লাইট। এসব ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে, গেল বছরে চট্টগ্রাম থেকে ২৬টি ডেডিকেটেট ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ। এরমধ্যে ১৮টি ফ্লাইট সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় এবং ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় যায়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৪মে ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটে মদিনার উদ্দেশ্যে হজ যাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। এর আগে আগে বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। প্রথম ফ্লাইটে ৪১৯ জন যাত্রী সৌদিআরব গমন করবেন।

উল্লেখ্য, এ বছর হজ পালনে সৌদির উদ্দেশ্যে প্রথম ফ্লাইট আগামী ৯ মে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩ হাজার ২০২ জন হজ পালন করতে যাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে।

;