আরও চার ধাপে উপজেলা ভোটের তফসিল প্রস্তুত



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি চার ধাপের খসড়া তফসিলও প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, রোববার কমিশন সভার প্রথম ধাপে ভোটের তফসিল প্রস্তুতের পাশাপাশি বাকি চার ধাপের ভোটের খসড়া তফসিল প্রস্তুত করেছে। এছাড়াও প্রতিটি ধাপে কোন কোন উপজেলায় ভোট হবে তার তালিকা করা হয়েছে। তবে এসব উপজেলার ভোটের তালিকার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণা ১০ ফেব্রুয়ারি, মনোয়নপত্র দাখিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ১৮ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে তফসিল ১৬ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র দাখিল ২৬ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ মার্চ ও ভোট গ্রহণ ২৪ মার্চ। চতুর্থ ধাপে তফসিল ২০ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র দাখিল ৪ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মার্চ ও ভোট গ্রহণ ৩১ মার্চ। সর্বশেষ পঞ্চম ধাপের তফসিল ১২ মে, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ মে ও ভোট গ্রহণ ১৮ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট: প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পঞ্চগড় জেলার সদর, আটোয়ারী, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া। কুড়িগ্রাম জেলার সদর, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজিবপুর, চিলমারী ও রৌমারী। নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ। লালমনিরহাট জেলার সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী।

জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ। নেত্রকোনা সদর বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জ, পূর্বধলা। সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভবপুর ও তাহিরপুর। হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল, মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী কাজিপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া। জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল। নাটোর সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও সিংড়া। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট ও বাঘা।

দ্বিতীয় ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলার মধ্যে রয়েছে- ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, সদর, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, কাহালু, গাবতলী, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, রানীনগর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, সাপাহার, পত্নীতলা, বদলগাছী, নওগাঁ সদর, আত্রাই, পোরশা, ধামইরহাট, মান্দা, সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া, কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা, কুমারখালী, মিরপুর, খোকসা, দৌলতপুর, শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, যশোর সদর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর, দীঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, রুপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর, গাংনী, রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা, বালিয়াকান্দি, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা, সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর, ভাঙ্গা, হাতিয়া, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী।

তৃতীয় ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলার মধ্যে রয়েছে- চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, জীবননগর, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুর, নড়াইল সদর, কালিয়া লোহাগড়া, ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, তালা দেবহাটা, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, নাচোল, শিবগঞ্জ, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট, বাগা, সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাংগুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া, সুজানগর, সদর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর, সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, ফুলপুর, গৌরীপুর, সদর, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়ীয়া, ত্রিশাল, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, গফরগাঁও, ভালুকা, সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী।

চতুর্থ ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলার মধ্যে রয়েছে- বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মুলাদী, হিজলা, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরা, বরগুনা সদর, আমতলী, বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা, পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী, মঠবাড়ীয়া, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, ধনবাড়ী, মধুপুর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, সখীপুর, কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, তাড়াইল, করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ভৈরব, দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান, গজারিয়া, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব, রায়পুরা, দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়, সিঙ্গাইর, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া, তিতাস, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চান্দিনা, বরুড়া, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, মেঘনা, হোমনা, কচুয়া, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, নাসিরনগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, সদর, আখাউড়া, কসবা, নবীনগর, ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ, রায়পুর, কমলনগর, রামগতি, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ।

পঞ্চম ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলার মধ্যে রয়েছে- আটপাড়া, শেরপুর সদর, নকলা, নলডাঙ্গা, সদর, কামারখন্দ, রংপুর সদর, সুন্দরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, রাঙ্গাবালী, তালতলী, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, গাজীপুর সদর, বন্দর, মাদারীপুর সদর, কালুখালী, শায়েস্তাগঞ্জ, বাঞ্ছারামপুর, বিজয়নগর, হাইমচর, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, সাতকানিয়া।

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ৪৬০টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরও ৪৬০টি উপজেলায় এ নির্বাচন হয়। ২০০৯ সালে তৃতীয়বার ৪৮০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

   

উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আগামী ০৮ মে ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ৬ মে থেকে ১০ মে ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

;

দেশে বিদেশি ‘পতাকা উত্তোলনে’ যে সমস্যা



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 

সোমবার (৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শিত হয়। সংগঠনটির একই কর্মসূচি ছিল দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেটাও পালিত হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অল্প সময়ের মধ্যে হলেও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। সরকার-দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটি কর্মসূচির প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে তাতে পিলে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য; যেখানে লেখা ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সমাবেশ নিয়ে আপত্তি থাকার কথা না কারো, কিন্তু প্রশ্ন জেগেছে স্বাধীন দেশে অন্য দেশের ‘পতাকা উত্তোলন’ নিয়ে। এখানে উচিত-অনুচিতের দ্বন্দ্ব আছে, আছে আইনি বিধিনিষেধ; এবং এ-ব্যাপারে কি আদৌ সচেতন ছিল সংগঠনটি?

প্রশ্ন তুলেছিলাম এ-নিয়ে ফেসবুকে। বলেছিলাম, ‘এটা অতি-আবেগী, হাস্যকর ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে, আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছি; কিন্তু দেশটির পতাকা উড়ানোর মতো কর্মসূচি পতাকার আবেদন অনুধাবন করতে না পারার মতো ছেলেমানুষি ও হঠকারী কর্মসূচি। এটা ব্যক্তি-ব্যক্তিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে করা যায়, কিন্তু দেশব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে করার মতো আনুষ্ঠানিক করা যায় না। কর্মসূচি দিয়ে পতাকা উড়ানো মানে দেশ ও পতাকার প্রতি নিবেদন, আনুগত্য প্রদর্শন। এটা কেবল নিজ দেশের প্রতিই করা যায়। অন্য দেশের প্রতি করা যায় না। একদিনের জন্যে হোক, এক ঘণ্টা কিংবা এক মিনিটের জন্যে হলেও এই আনুগত্য প্রকাশ অপ্রত্যাশিত। এটা নিজ দেশের লাল-সবুজের পতাকার প্রতি আনুগত্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ফেসবুকে লেখার পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, এটা সংহতি সমাবেশ মূলত। পতাকা উত্তোলনের বিষয়টি এখানে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে গেছে কেবল। তারা সচেতন থাকবেন এ-বিষয়ে, যাতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার সঙ্গে আনুগত্য ও নিবেদনের প্রশ্নে সাংঘর্ষিক না হয়।

ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতি চোখ রেখেছিলাম। ভিনদেশি পতাকা উত্তোলন বিষয়টির চাইতে সংহতির বিষয়টি তখন চোখে পড়েছে। আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা বক্তব্য রেখেছেন, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি মানবিক আবেদনে জোর দিয়েছেন। দেশে-দেশের ছাত্র আন্দোলনের যে তরঙ্গ তাতে সামিল হওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। এখানে মানবিক দিক যেমন আছে, তেমনি আছে ছাত্র-আন্দোলনের গভীরতা।

তারপরেও প্রশ্ন থাকে। কারণ ওই ‘পতাকা উত্তোলন’ প্রসঙ্গ! পতাকার আবেদন, নিবেদন এবং আনুগত্য। কারা, কোথায়, কী প্রক্রিয়ায় পতাকা উত্তোলন করতে পারে-এ সম্পর্কে কি সচেতনতা আছে সকল মহলে? সত্যি বলতে কী, এখানে আমাদের জানা-বুঝার সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক।

‘জাতীয় পতাকা বিধিমালা’ রয়েছে আমাদের। এই পতাকা বিধিমালা মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। এটা কেবল কর্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, অমান্য করলে আছে পড়তে হয় শাস্তির মুখে। ২০১০ সালে প্রণীত সংশোধিত পতাকাবিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বিষয়টি কম-আলোচিত হলেও যে স্পর্শকাতর, তা এ-থেকেই অনুমেয়।

আমাদের দেশের পতাকা, কিন্তু নির্দিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ছাড়া চাইলেই কি আমরা ব্যক্তি-পর্যায়ে যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পতাকা উত্তোলন’ করতে পারি? মর্যাদার প্রশ্ন, তাই এখানেও আছে নিয়ম। ২০২৩ সালের সংশোধিত পতাকাবিধি অনুযায়ী ঈদে মিলাদুননবি, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতির পিতার জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, এবং সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত যেকোনো দিবসে কেবল বাংলাদেশের সর্বত্র পতাকা উত্তোলন করার নিয়ম। এরবাইরে আছে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধিবদ্ধ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। বিদেশি পতাকা উত্তোলনের বিষয়েও উল্লেখ আছে জাতীয় পতাকা বিধিমালায়। এর ৯ ধারায় স্পষ্ট, বাংলাদেশে কারা এবং কী প্রক্রিয়ায় বিদেশি পতাকার ব্যবহার করতে পারবে।

প্রসঙ্গের অবতারণা মূলত ছাত্রলীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু খানিক অমনোযোগিতা হয়েছে মূলত পতাকা উত্তোলন বিষয়ে চলে যাওয়ায়। জাতীয় পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখানে বিদেশি পতাকা উত্তোলনের কোন কর্তৃপক্ষ নয়। এখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে পরক্ষণে কেন্দ্রে হয়ত সচেতনতার খানিক প্রচেষ্টা ছিল, কিন্তু দেশব্যাপী এটা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা জাতীয় পতাকা বিধিমালা সম্পর্কে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে সবখানে যে নিয়ন্ত্রণ-নিয়মরক্ষা, সেটা হয়নি।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আমাদের পুরনো দাবি। এই দাবি থেকে আমাদের সরে আসার সম্ভাবনা নাই। তবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে আমরা যেন সংযত থাকি, অন্তত আনুগত্য ও নিবেদনের প্রশ্ন যখন সামনে চলে আসে। দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের অগণন নেতাকর্মী। এই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সামনে কোন কর্মসূচি দেওয়ার সময়ে খেয়াল রাখা উচিত দেশ-বিদেশ প্রশ্নে যেন কোন সাংঘর্ষিক কিছু না ঘটে। পতাকা নিয়ে যখন কর্মসূচি আসবে তখন যেন এমন কোন কিছু না ঘটে যাতে নিজ দেশের পতাকার মর্যাদাহানি ও পতাকাবিধির ব্যত্যয় না হয়।

কেবল ধারণা থেকে নয়, অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, বিপুল লোকের অংশগ্রহণে কোন কর্মসূচিতে নিয়ন্ত্রণ সচরাচর থাকে না। পতাকা নিয়ে আগেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, মর্যাদাহানি হয়েছে। ওসব জায়গা থেকে আমাদের শেখার ছিল। আমরা হয়ত পুরোপুরি শিখিনি। তবু আশাবাদী হতে চাইছি। ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণের যে শিক্ষা সেটাকে গ্রহণ করতে চাই। ছাত্রলীগের এই কর্মসূচি থেকেও তাই একই প্রত্যাশা।  

আমাদের পঠন-পাঠনে বিস্তর সীমাবদ্ধতা। এটা স্বীকার করে এখান থেকে প্রাপ্তির সুযোগ খোঁজা যেতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি পতাকা উত্তোলন নিয়ে খুব ক্ষীণ স্বরে হলেও যে প্রশ্ন, সেটাকে আমলে নেওয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে। এবং এখান থেকে পঠনে আগ্রহ বাড়াতে হবে শিক্ষার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের। জাতীয় পতাকাবিধি নিয়ে পাঠ ও আলোচনার সুযোগকে গ্রহণ করতে হবে। কে জানে একটা ভুল হয়ত দেখাতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার!

;

রাজধানীসহ ১৫ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমের পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর, আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দেশের ১৫টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেতও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। দেশব্যাপী উচ্চশিক্ষা বিস্তারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে সোমবার (৬ মে) বঙ্গভবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, ‘বৈঠকে প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

প্রেস সচিব জানান প্রতিনিধিদল, রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রাষ্ট প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসূচি চালু করার ও পরামর্শ দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;