ময়মনসিংহের ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসারের কারবার



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ময়মনসিংহের ফরেস্ট অঞ্চল

ময়মনসিংহের ফরেস্ট অঞ্চল

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ থেকে ফিরে: ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসারের দায়িত্ব হচ্ছে গেজেটভুক্ত বনের জমিকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা। কিন্তু সেই সেটেলমেন্ট অফিসার গণহারে গেজেট থেকে জমি বের করে দিয়েছে।

বিশেষ করে বর্তমান সেটেলমেন্ট অফিসার ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একেএম গালিভ খানের কর্মকাণ্ড নিয়ে রয়েছে বন বিভাগের অনেক আপত্তি। অভিযোগ হচ্ছে তিনি ঢালাও ভাবে বনের জমি গেজেট থেকে অবমুক্ত করে দিয়েছে। ২০০৮, ২০০৯, ২০১১ সালের ঝুলে থাকা মামলার রায়ও বনের বিপক্ষে দিয়েছেন।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৩৪ দশমিক ৩৪ একর জমি গেজেট থেকে বের করে দিয়েছেন। দিশেহারা ময়মনসিংহ বন বিভাগ বাধ্য হয়েছে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দারস্থ হতে। ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসারের দেওয়া ওই রায়ে বন বিভাগ তথা রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবী করেছেন বন অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা।

বন বিভাগ উচ্চতর স্তরের দারস্থ হলে কি হবে, সেটেলমেন্ট অফিসারের রায় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমির চূড়ান্ত দখল নিয়েছে ব্যক্তিমালিক। দ্রুততার সঙ্গে ভূমি অফিসে নামজারি করে, খাজনা দিয়ে মালিকানা পোক্ত করছেন। বন বিভাগ পরের ধাপে গেলেও তার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে রহস্যজনক কারণে বন বিভাগও শক্ত অবস্থান নেয় নি। যে কারণে বনের গেজেট, এসএ খতিয়ানভুক্ত একইসঙ্গে ৪ ও ৬ ধারায় বনের নামে থাকা জমি অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে। সংকুচিত হয়ে পড়ছে বনের জমি। অথচ বন আইনে ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসারকে দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে গেজেটভুক্ত জমিকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা। এখানে অবৈধ লেনদেনের সম্ভাবনাও দেখেন অনেকে।

যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার একেএম গালিভ খান। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যেগুলো দেওয়া হয়েছে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই দেওয়া হয়েছে। এখানে নিয়মের কোনো ব্যতয় ঘটেনি, অভিযোগ তোলারও কোনো সুযোগ নেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/03/1549175002406.jpg

নামে বেনামে অনেক সম্পদ গড়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার। বলেন, আমার নামে ময়মনসিংহে কোনো জমি বা বাড়ি নেই। কেউ যদি বলেন, সেটি ভূয়া তথ্য। আমি ময়মনসিংহ শহরে একটি বিশাল খাস জমি উদ্ধার করেছি। শিগগিরই জানানো হবে মিডিয়াকে।

জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পরে জমিদারদের যে জমিগুলোতে বনভূমি ছিলো, সেগুলো বনভূমি হিসেবে, জলাশয় মৎস্য সম্পদের নামে, কিছু জমি খাস খতিয়ান হিসেবে জেলা প্রশাসকের নামে অন্যান্যগুলো শ্রেণি অনুযায়ী বিভাজন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। যার ভিত্তিতে সিএস রেকর্ডভুক্ত হয় বনের নামে।

গেজেটভুক্ত বনের ওইসব জমি ২০ ধারা করানোর কথা বলা হয়েছে। ২০ ধারা অর্থ হচ্ছে সংরক্ষিত বন ঘোষণা, যেখানে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১৯২৭ সালের বন আইনে। গেজেটভুক্ত সম্পতিতে যদি কারো কোনো আপত্তি থাকে, সে শুনানির মাধ্যমে ২০ ধারা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার।

কিন্তু সম্প্রতি ঢালাওভাবে জমি গেজেট থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগ দাবী করেছে তাদের আপত্তি আমলে নেওয়া হয় নি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। ২০০৮ সালের পেন্ডিং কেসও বনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন গালিভ খান। মিসকেস নম্বর ১১৯ (xiv) ২০০৮ সালের পাড়াগাঁও মৌজায় ৯৫ একর জমির (দাগ ১৪৫) বিষয়ে আপত্তি দিয়ে আসছিলো বন বিভাগ। কিন্তু সেই জমিটি ২০১৮ সালের ২১ মার্চে ব্যক্তির পক্ষে রায় দিয়েছে সেটেলমেন্ট অফিসার। বন বিভাগ সিভিল রিভিশন দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ২০ ধারা সম্পন্ন হওয়া জমিও অবমুক্ত করা কথা।

২০০৯ সালের হবিরবাড়ি মৌজায় মিস মোকদ্দমায় {নম্বর ৯৩ (xiv)} ১৫ একর জমি নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে ব্যক্তিমালিকের রশি টানাটানি চলছিলো। আগের সেটেলমেন্ট অফিসাররা দায় নিতে চান নি। আবার চাপের কারণে বাতিলও করেন নি। ৭৪ ও ৭৫ দাগের ওই জমিটি ব্যক্তিমালিকের নামে অবমুক্ত করেছেন ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার গালিভ খান। বন বিভাগ রিভিশন মামলা দায়েরের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরকম অনেকগুলো জমির বিষয়ে বনের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন তিনি।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি খুব বেশি বলতে পারবো না। আপনি খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন বন বিভাগ কতটিতে জয়ী হয়েছে। আমার নির্দিষ্ট করে বলার কিছুই নেই। আমরা যেসব মামলায় হেরে গেছি উচ্চ স্তরে আপিল করা হয়েছে। আবার কিছু মামলায় আপিলের প্রস্তুতি চলছে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের নামে ৭৫ হাজার একর জমি গেজেটভুক্ত হয়। মল্লিকবাড়ি বিটের নামে জমি ছিলো ১৫৯৯ একর জমি। পুরোটাই বেদখল হয়ে গেছে। হবিরবাড়ি বিটের প্রায় ৭ হাজার ১০ একর জমির মধ্যে ৪ হাজার ১৪৪ একর জমি বেদখল হয়েছে। কাদিগড় বিটের ৪ হাজার ৬৮৬ একর জমির মধ্যে ৩ হাজার ৬০ একর জমি পাড়াগাঁও মৌজায় বন বিভাগের জমি ছিলো ১ হাজার ৬৪৬ একর ৭২ শতক। এ জমির এক শতকও আর বন বিভাগের দখলে নেই।

তবে সম্প্রতি ময়মনসিংহ বন বিভাগ একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেক প্রভাবশালীর স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে ভূমিদস্যূদের কাপন ধরিয়ে দিয়েছে। সংরক্ষিত বনের জমিও এখন জবরদখলকারির কবলে রয়েছে। প্রতি বছর বনের নতুন নতুন জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে।

আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ-বিজিবি-আনসারের লোক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী নেতা, আওয়ামী লীগ, বিএনপির মাঝারি থেকে পাতি নেতা, সাংবাদিক কেউই ছাড় দেয়নি বনকে। সোনার চেয়ে দামী ভালুকার জমির উপর শকুনের দৃষ্টি এখন অনেকের। যে বন বিভাগ রক্ষা করার কথা, তারাও অনেকে সময় প্রভাবশালীর চাপে গড্ডালিকায় গা ভাসিয়েছে।

কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সারাদেশে বনের জমি ডিমার্কেশন করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে বন বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলে থাকবে। মার্ক করার কাজ শেষ হলে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান করা হবে।

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;