‘পলো বাওয়া’ উৎসবে মেতেছিলো গোয়াহারি গ্রামবাসী



নূর আহমদ,,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পলো বাওয়া উৎসব’ পালিত হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথে।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) ঝপ ঝপ শব্দের তালে তালে উৎসবে মেতেছিলো উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলবাঁশ আর বেতের সমন্বয়ে তৈরি করা পলো ও উড়াল-চিটকি-ঠেলা জাল দিয়ে শীত উপেক্ষা করে এক সাথে মাছ শিকার করাই গ্রামবাসীর প্রধান এক আনন্দের উৎসব। এই দিনটিকে ঘিরে গ্রামে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/27/1548584671138.jpg

সকাল ৮টা থেকে সৌখিন মানুষ বিলের পারে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিলের পারে লোকসমাগম বাড়তে থাকে।

সকাল সাড়ে ১১টায় হৈ হৈ করে একসাথে পলো-জাল হাতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন সবাই। ঝপ ঝপ শব্দের তালে তালে চলতে থাকে পলো বাওয়া। দুপুর পর্যন্ত ‘পলো বাওয়া উৎসবে’ অংশ নেন গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/27/1548584736565.jpg

গ্রামে বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা আব্দুল হাসিম বলেন, গ্রামের রীতি অনুযায়ী প্রতি ঘর থেকে একজন পুরুষ পলো নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। যাদের পরিবারে পুরুষ সদস্য বাড়িতে নেই, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে কোন আত্মীয় মাছ শিকারে অংশগ্রহণ করেন। এবারও সেই নিয়মে পলো বাওয়া উৎসব উদযাপিত হয়।

এবছর বিলে অধিক পানি ও কচুরিপানা থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় মাছের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন শিকারিরা। তাই অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হয় ঘরে।

শিকারিদের ওই আনন্দের সাথে সাথে তাল মেলান বিলের তীরে অপেক্ষমাণ গ্রামের মুরব্বী, মহিলা ও শিশুরা। দূর থেকে আসা অনেকের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিলের পাড়ে।

গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী হাজী আব্দুল আহাদ বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমাদের গ্রামবাসী পূর্বপুরুষের আমল থেকে এই উৎসব পালন করে আসছেন। বয়সের কারণে এখন আর পলো বাওয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারি না। তবে জীবনে ওই বিলে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করেছি।

অন্যদিকে পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে গ্রামের অনেক প্রবাসীও দেশে আসেন। তেমনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মছব্বির, আব্দুল আওয়াল, ক্বারী আবুল হোসেন, সাদিক হোসাইন ও কানাডা প্রবাসী ফয়সল আহমদও এবার দেশে আসেন।

তারা জানান, পলো দিয়ে মাছ শিকার তাদের কাছে একটি মজার বিষয়। তাই এবার অংশগ্রহণ করতে পারায় তারা আনন্দিত।

 

   

কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী

কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র হাত বাড়ালেই মিলছে খুব সহজে নিষিদ্ধ মাদক সামগ্রী। বহিরাগত ও স্থানীয় মাদকসেবী এবং বখাটেদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় থানা পুলিশের নিকট বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায়, এলাকার যুব সমাজকে রক্ষার্থে মাদক প্রতিরোধে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্থানীয়রা লাঠি হাতে পাহারা বসিয়েছে গ্রামের মোড়ে মোড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী উপজেলাটির বিভিন্ন গ্রামে প্রতিনিয়ত ভিড় করছে বহিরাগত ও স্থানীয় মাদক সেবীরা। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে পা বাড়ালেই দেখা যায় পরিত্যক্ত মাদকের বোতল। মাদকের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে জুয়া,পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এতে করে এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে মাদক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে এলাকার শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে রক্ষার্থে পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার মদাতি ইউনিয়নের হাজরানিয়া গ্রামবাসী। সমাজকল্যাণ পরিষদ নামে একটি সংগঠন তৈরি করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়ে মাদক প্রতিরোধের চেষ্টা করছে তারা। এতে করে অল্প দিনের ব্যবধানে এই গ্রামে কমে এসেছে মাদকের প্রভাব। ইতোমধ্যেই এলাকাবাসীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এক মাদক কারবারিসহ তিন মাদক সেবী। গ্রামবাসীর এমন পদক্ষেপে সাধুবাদ জানাচ্ছে সবাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হোক সোনা বলেন, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে এলাকাবাসীর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সহযোগিতা নেই থানা পুলিশের। তাদেরকে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে নিজেরাই মাঠে নেমেছেন মাদক প্রতিরোধে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বার্তা২৪কম-কে বলেন, হাজরানিয়া গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে করে এলাকায় মাদকের প্রভাব কমে গেছে। এলাকাবাসীর সাথে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতা থাকলে গোটা কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪কম-কে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ যুবক ও সমাজকে রক্ষায় হাজরানীয়া গ্রামবাসীর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে জেলাজুড়ে। এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করা হলে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ হবে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ, এমনটি মনে করছেন স্থানীয়রা।

;

টিকাদানের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে ডিএনসিসি: আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে।

এ সময় তিনি টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত E-Tracker, GIS-Based Online Micro Planning & Real-Time Reporting প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি কর্পোরেশনের আরো ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি কর্পোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে।

তিনি আরো বলেন, এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সকল শিশুদের তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। এটা ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচও'র টিমলিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ, এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগীতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলী রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগীতায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০১৮ হতে কর্মজীবি মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯ হাজার ৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯ হাজার ৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন। ডিএনসিসি ১ লাখ ২০ হাজার শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকারে ৮২ হাজার (৭০%) শিশু রেজিস্ট্রার করা হয়েছে। সেই সাথে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলি অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ হাজার ৯৩৬টি জিরো ডোজ ও ১১ হাজার ১৭০টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৮১টি জিরো ডোজ ও ৮ হাজার ৫১১টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে।

 

;

মাহিন নিহতের ঘটনায় ডিএসসিসির গাড়িচালকসহ চাকরিচ্যুত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মুগদা এলাকায় ময়লার গাড়ির ধাক্কায় স্কুলছাত্র মাহিন আহমেদ (১৩) নিহতের ঘটনায় ঘাতক গাড়িচালক মো. কামালসহ তিনজনকে চাকরিচ্যুত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক দফতরের আদেশে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

চাকরিচ্যুত আর দুইজন হলেন- পরিচ্ছন্নকর্মী মো. আক্তার হোসেন ও মো. আব্দুল কাদের জিলানী বাবু।

মাহিন নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ দুর্ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেছিলেন, ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি চাইছি। এই দুর্ঘটনায় যেন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু বিচার হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিল সিটি করপোরেশন।

এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর মুগদা এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় স্কুলছাত্র মাহিন আহমেদ (১৩) নিহত হয়। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে।

;

কুমিল্লায় গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লায় গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ 

কুমিল্লায় গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ 

  • Font increase
  • Font Decrease
 
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শিল্পী আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮) পলাতক রয়েছে। 
 
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিনের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিল্পী আক্তার উপজেলার টনকি ইউনিয়নের রুক্কু মিয়ার মেয়ে। 
 
জানা যায়, গত দশ মাস আগে পারিবারিকভাবে গিয়াস উদ্দিনের সাথে শিল্পীর বিয়ে হয় এবং সে চার মাসের গর্ভবতী। বিয়ের পর শিল্পীকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো গিয়াস।
 
স্থানীয়দের বরাতে মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়ায় জড়ান তারা। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিল্পী আক্তারকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘাতক স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
;