আগৈলঝাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা ২৪.কম
আগৈলঝাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই / ছবি: বার্তা২৪

আগৈলঝাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট বন্দরের পশ্চিমপাড় খান মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নয়টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে বাজারের একটি লাইটপোস্টে তারে তারে ঘর্ষণের কারণে আগুনের ফুলকি সৃষ্টি হয়। যা নিচে থাকা একটি দোকানে পড়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

খবর পেয়ে প্রথম গৌরনদী ও কোটালিপাড়া ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে বরিশাল থেকে আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে বাজারের নয়টি দোকান পুরোপুরিভাবে পুড়ে যায়। এছাড়া আরও কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় বাজারের অন্যান্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার বলেন, ‘বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের কারণে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে নয়টি দোকান পুড়ে গেছে। এর মধ্যে জসিম দাড়িয়ার মার্কস ফ্যাশন, জাহাঙ্গীর সিকদারের মেসার্স সিকদার ট্রেডার্স, আশিক দাড়িয়ার বিসমিল্লাহ হার্ডওয়ার, মিজানুর রহমানের মাহিম ফ্যাশন হাউজ, রফিকের টেইলার্স, লিয়াকত শেখের শারমিন কসমেটিকস, শামিম শেখের ১-৯৯, মজিদ খানের মজিদ স্টোর এবং মুরাদের ম্যাপ ইন্টারনেটের দোকান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে আগুনের খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস, থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

   

ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে চরম সংকটে স্টিল শিল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চরম সংকটে পড়েছে স্টিল শিল্প। ডলার সংকটের কারণে স্টিলের কাঁচামাল সাপ্লাই ব্যাহত হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ইকোনোমিক রিপোটার্স ফোরামে ‘ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে স্টিল শিল্পের চরম সংকট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডলার সংকটের কারণে স্টিলের কাঁচামাল আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না। এতে স্টিলের কাঁচামাল কম আসছে এবং কাঁচামালের সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে। স্টিল শিল্পে কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও যন্ত্রাংশের ৮৫ শতাংশ আমদানি নির্ভর। বর্তমানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৮৫ টাকা থেকে প্রায় ১২৫ টাকায় উঠেছে। এতে আমাদের চলতি মূলধনে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক মূলধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, এলসি কমিশন বৃদ্ধি, এলসি মার্জিন বৃদ্ধি, ডিসকাউন্টিং ব্যাংকের মাধ্যমে ডিসকাউন্টিং রেইট বৃদ্ধি, এস ও এফ আর প্লাস রেইট বৃদ্ধি, কাস্টম ডিউটি, ভ্যাট, ট্যাক্স এবং অন্যান্য চার্জ বৃদ্ধির কারণেও চলতি মূলধনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ডলার মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে স্টিল উৎপাদনকারীদের চলতি মূলধন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় ব্যাংকে গ্রাহক ঋণসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গত বছর বিদ্যুতের মূল্য প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং এবার বাড়িয়েছে ১০ শতাংশ। ডিমান্ড চার্জের ওপরও মূল্য ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য ধাপে ধাপে আরও বাড়ানো হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি স্টিল সেক্টরে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

আরও বলা হয়, গত বছরে গ্যাসের দাম প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কিউবিক ঘনমিটার গ্যাস ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা হয়েছে, যার ফলে স্টিল উৎপাদনে প্রতিটনে প্রায় ৩ টাকা অতিরিক্ত খরচ বেড়েছে।

মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আয়কর আইনের মৌলিক-নীতি হচ্ছে প্রকৃত আয়ের ওপর আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে আয়কর নির্ধারণ করা। বর্তমানে বাজেটে ২ শতাংশ উৎস কর কর্তন মাত্রাতিরিক্ত এবং স্টিল সেক্টরের প্রকৃত মুনাফার সঙ্গে এর কোন সামাঞ্জস্য নেই। এই ২ শতাংশ কোন মূল্যায়িত কর নয়। এটি হলো ন্যূনতম কর। কোন প্রকার আয় বা মুনাফা ব্যতীত উৎপাদনকারীকে আয়কর প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদনকারীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে টন প্রতি ৫০০ টাকা ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর প্রদান করতে হয়। ন্যূনতম শর্তের কারণে এই আয়কর সমন্বয় বা ফেরতযোগ্য নয়।

সম্মেলন শেষে স্টিল শিল্প রক্ষার্থে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি মূলধনের যে ৪০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে তা পরিশোধের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণকে ১২ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা।

>> বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য এলসি সুবিধা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।

>> স্টিল শিল্পের জন্য ব্যাংকে বর্তমান গ্রাহক ঋণসীমা গণনার ক্ষেত্রে বর্তমান ১৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্লান্টের ন্যায় ২৫ শতাংশ হারে নন-ফান্ডেড দায় গণনার বিষয় বিবেচনা করা।

>> বিদ্যুতের নতুন দাম ফেব্রুয়ারি মাসের পরিবর্তে মার্চ হতে কার্যকর করা। ভারী শিল্প পর্যায়ে বাল্ক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের শিল্পকারখানা সমূহ চলমান রাখার স্বার্থে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা। বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জের ক্ষেত্রে ২৯ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে যে ন্যূনতম চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা।

>> স্টিল সেক্টরের জন্য উৎসে কর কর্তন ২% এর পরিবর্তে ০.৫০% নির্ধারণ করা। স্টিলের কাঁচামাল ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর টনপ্রতি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা।

>> শিল্প মন্ত্রণালয়ের সি এম সনদ ফি বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন বাতিল করা এবং সি এম সনদ ফি টার্নওভারের ভিত্তিতে নির্ধারণ না করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার গ্রুপ, বি এস আর এম, সালাম স্টিলসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টিল শিল্পের কর্ণধারগণ। এমন পরিস্থিতিতে স্টিল শিল্পকে রক্ষার লক্ষ্যে খাতটিকে সুরক্ষা দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

;

জবি শিক্ষার্থী মীমের অভিযোগে তদন্ত চলছে: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকির বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীমের করা অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ, জবি শিক্ষার্থী মীম সোমবার (১৮ মার্চ) একটি অভিযোগ করেছে। এর ভিত্তিতে আমাদের সাইবারের একটি টিম কাজ করছে। অভিযোগকারী মীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, আমরা জবি ভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ভিসি মহোদয় অনেক কথা বলেছেন, অভিযোগের অনেক বিষয়ের অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই।

প্রশাসনিক বিষয়গুলো আমরা সমাধান করতে পারবোনা জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, তাকে (মীম) কেন বার বার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল বা হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাচ্ছেন জবির ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম।

আতঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভুগী এই শিক্ষার্থী।

;

পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়াকে অযৌক্তিক বলছে দোকান মালিক সমিতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদফতরকে নির্ধারণ করা দেওয়া পণ্যগুলো বিক্রি করার দাবি জানিয়েছে সমিতি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এসময় মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না জানিয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদফতর কর্তৃক বিক্রয়ের অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে পণ্যগুলোর বিক্রিত লাভ দিয়ে কর্মকর্তারা বেতন নেবেন। হয় তাদের বেঁধে দেওয়া দামে কৃষি বিপণনকে বিক্রি করতে হবে, না হলে এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করতে হবে। আমরা এ দামে বিক্রি করতে পারবো না। দাম বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক-অবাস্তব ও অর্থহীন।

তিনি বলেন, ক্রেতার সন্তুষ্টিই বিক্রেতার কাম্য। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৭ দফা দাবি পেশ করছি।

দোকান মালিক সমিতির ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

>> ২৯ পণ্যের মূল্যনির্ধারণ অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত। তাই এখনই প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করতে হাবে। অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না।

>> বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে।

>> টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পণ্য আমদানি করে বিপননের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বােঝা যাবে ব্যক্তি খাতের সঙ্গে সরকারি খাতের পার্থক্য কত।

>> বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

>> বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যান্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

>> ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন সংস্থার চাপমুক্ত অবস্থায় ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

>> নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের উপর আরোপিত সকল প্রকার ট্যাক্স ভ্যাট কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে।

গত ১৫ মার্চ ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে অধিদফতর জানায়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়–বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।

;

১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ৬০০ টাকার পেথিডিন বানাতেন তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্তান জন্মের সময় প্রসূতি মায়েদের ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয় ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশনই দীর্ঘদিন ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছে একটি চক্র। ১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে তৈরি পেথিডিন নামের ভুয়া ওষুধটি তৈরি করে ৬০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মিন্টোরোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর খাঁন, মো. মাসুদ রানা, মো. আহ্সান হাবীব শাওন।

এসময় ২০০টি জি-পেথিডিন ইনজেকশন, ২২০টি জি-পেথিডিনের এ্যাম্পুল, ১ হাজার ১০টি জি-ডায়াজিপাম এর এ্যাম্পুল, ৫২০টি জি-পেথিডিন এর ফাঁকা বক্স, ২০০টি জি-পেথিডিন ইনটেক স্টিকার, ২টি (১২ কেজি) জি-পেথিডিন ফয়েল পেপার, ১ হাজার ৫০০টি জি-পেথিডিন এর ব্যবহারবিধি, ১টি জি-পেথিডিনের ফয়েল লাগানোর জন্য লোহার চাপ মেশিন, ৫ কেজি এসিড, ৫টি কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি স্কিন প্রিণ্ট করার ফ্রেম, ২৫০টি জি-পেথিডিন রাখার প্লাস্টিকের ট্রে জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ওষুধ অপারেশনের সময় বা অপারেশনের পরে চিকিৎসকরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করেন। প্রচলিত ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশনকে ঘরোয়াভাবে রূপান্তর করে চেতনানাশক ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন হিসেবে বাজারজাত করতেন চক্রটি।

;