বন বিভাগের আতঙ্ক কে এই মনির!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
মনিরুজ্জামান মনির

মনিরুজ্জামান মনির

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে ফিরে: কে এই মনিরুজ্জামান মনির। নিরস্ত্র বন কর্মীদের কাছে তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক। বনের জমি দখলের কারণে এ পর্যন্ত তার নামে ২৯ টি মামলা দায়ের করেছে তবুও তাকে ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

বন বিভাগ ছাড়াও আরও অনেক মামলা চলমান তার নামে। পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে ঘোরাফেরা করলেও তার লোমও ছোঁয়ার সাহস করেনা থানা পুলিশ। আবার ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের দুর্বল চার্জশীটে আইনের ফাঁকগলে বেরিয়ে গেছে মনির। এভাবেই দিনে দিনে এলাকার ডনে পরিণত হয়েছেন। বিশেষ করে বন বিভাগের কাছে।

এমনও ঘটনা ঘটেছে সকালে বন বিভাগের লোকজন অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে এসেছেন। সন্ধ্যায় আবার লাঠিয়াল বাহিনী দাঁড় করে রেখে দখল নিয়েছেন। বন বিভাগের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে তার দ্বারাই। যেই তার বিরুদ্ধে কথা বলেছে তার উপরেই নেমে এসেছে নানা রকম নির্যাতন।


আরও পড়ুন, বনের জমি দখলের খেলার নাম ‘ডিমার্কেশন’ 

কে এই বাউন্ডারি শহীদ


সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হয়েছেন রাতে বনে টহল দিতে থাকা বন কর্মীরা। রাস্তায় তাদের আটক করে কিলঘুষি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কখনও কখনও অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে হয়তো বিষয়টি কাকতালীয় হতেও পারে। তবে মুনিরের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পরেই এমন ঘটনাকে কোনো ভাবেই কাকতাল ভাবতে পারেনা বনের লোকজন। যে কারণে তাকে সমীহ করেই চলেন নিরস্ত্র বনকর্মীরা। মনিরের নাম মুখে আনার আগে আশপাশে দেখে নেন কেউ শুনছে কি না।

ভালুকা রেঞ্জের একজন বিট অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত ১২ অক্টোবর হবিরবাড়ি মৌজায় বনের গাছ কেটে ঘর নির্মাণ করে মনির। বন বিভাগের লোকজন পরে গিয়ে ভেঙে দিয়ে আসে। পরদিনেই আবার লাঠিয়াল বাহিনী দাঁড় করে রেখে ইটের ঘর নির্মাণ করে। এ দফায় অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে গিয়ে ঘর নির্মাণ করেন। বন বিভাগের লোকজন জানলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় যাওয়ার সাহস দেখায় নি।


আরও পড়ুন, ১৫৯৯ একর জমির মালিক মল্লিকবাড়ি বন বিট নিজেই ভূমিহীন


কে এই মনির!

তার পুরো নাম মনিরুজ্জামান মনির। বাবার নাম আবুল হোসেন। বারশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ভালুকা রেঞ্জের সদ্য বিদায়ী ফরেস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ২০০২ সাল পর‌্যন্ত ছিচকে গাছ চোর ছিলো মনির। এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। কমপক্ষে একশ বিঘার মতো বনের জমি দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ বন বিভাগের।

মনিরের নামে প্রথম মামলা হয় ২০০২-০৩ অর্থবছরে। হবিরবাড়ি বিটের মামলা নম্বর ০১/হবি। এর কিছুদিনের মাথায় আবার আরেকটি মামলা দয়ের করে বন বিভাগ। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ১টি, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৪টি, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৬টি। এক এগারোর সময়ে ভয়ে বনের জমির ধারেও কাছেও ঘেষেন নি। এরপর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে গিয়ে আবার শুরু করেছেন বনের জমি দখল। এই বছরে তার নামে মামলা হয়েছে ২টি, সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। এই বছরে তার বেপরোয়া মনিরকে ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় বন বিভাগকে।

প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় তার টিকিটি ছোয়ার চেষ্টা করেনি পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগ চাইলেও অনেক সময় পুলিশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। বনের জমি দখল হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ সাড়া দেয়নি। সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে সময়ক্ষেপণ করেছে।

আবার মামলা দিতে গেলে কয়েকদিন ঘুরিয়ে তবেই মামলা নিয়েছে দায়সারা ভাবে। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে ২৯টি মামলা দায়ের হলেও অনুপ্রবেশের ঘটনা কয়েক শতাধিক হবে বলে দাবী করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। একজনতো বলেই বসলেন, ওর যত কীর্তি যদি সবগুলোর মামলা হতো, তাহলে এক দিনেই আট-দশটি মামলা হওয়ার কথা।

অনেক অফিসার ছিলেন যারা তার সাথে সখ্য গড়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। তারা মামলা দেওয়ার পথে এগোয় নি। আবার মামলা দিলেও কঠোর ধারা না দিয়ে সহজ ধারা দিয়েছেন যাতে সহজেই পার পেয়ে যায়। বন বিভাগের মামলা নিয়েও রয়েছে ভানুমতিন খেল। একই আইনজীবীর সঙ্গে বছরের পর বছর কন্ট্রাক্ট। তার নামেরও রয়েছে নানা রকম মুখরোচক আলোচনা।

বনের জায়গা দখলের পাশাপাশি বনের জমি কেটে মাটি বিক্রি তার অন্যতম পেশা। শুষ্কমৌসুম এলেই তার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে বনের লোকজন। সন্ধ্যায় যখন বনের লোকজন কাজ শেষ করে নিদ্রায় যায়, তখন গহীন বনে শুরু হয় ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব। বনের লোকজন অনেক সময় খবর পেলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতে মুখোমুখি হতে চায় না।

বন বিভাগ ও স্থানীয়রা মনে করে অস্তিত্ব সংকটে থাকা  ভালুকা বনকে রক্ষা  করতে হলে মনির ও শহীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে, হয় ভয় দেখিয়ে, না হয় টাকার প্রভাবে পার পেয়ে যাবে।

মনিরুজ্জামান মনির বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু উট্টা যাচ্ছি, যে কারণে মানুষের চোখ পড়েছে। অনেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় ইন্ধন দিয়েছিলো। বাদী নিজেই মামলা তুলে নিয়েছে।

বনের ২৯ মামলা প্রসঙ্গে বলেন, আমার নামে এতো মামলা নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক সাত-আটটির মতো মামলা দেওয়া হয়। ৮০ ভাগ মামলায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। বনের কোনো জমি আমি দখল করিনাই। আমি যেগুলো জমি ভোগ দখল করি সেগুলো আমার বাব-দাদার পৈত্রিক।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে কি হয়েছে জানি না। আমি সম্প্রতি এসেছি, বনের জমিতে যেই আসুক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনে অনেক ভালো ভালো অফিসার রয়েছে, যারা আমাদের দারুণভাবে সহযোগিতা করছে। আমরা এরই মধ্যে অনেক জমি উদ্ধার করে বনায়ন করেছি। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

   

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের অজ্ঞাত থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার গলা ও কানে পরিধেয় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে খুন করে পূর্ব পরিচিত বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। প্রথমে কিল-ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর মরদেহ গুম করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবার (১৫ মে) মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ধরা পড়ে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু ঈশ্বরী ত্রিপুরা বিষয়টি জানিয়ে দিবেন বলায় ভয়ে তাকে হত্যা করে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

;

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;

আরসার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে: র‌্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার বিরুদ্ধে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোন প্রকার তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটা আতঙ্কের নাম আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই আরসা গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকানণ্ড অপহরণসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত। এর আগে আমরা নানা ধরনের অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ১১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেফতার করেছি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরঞ্জামাদী উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাবের অব্যাহত নজরদারি, গোয়েন্দা তাৎপরতা অভিযানের প্রেক্ষিতে আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। পাশের দেশ থেকে অস্ত্র আসছে এমন গোয়েন্দা তথ্য থেকে আমরা গতকাল অভিযান চালিয়ে দুইজন কে গ্রেফতার করেছি।

আরাফাত বলেন, আরসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষ্ক্রিয় রাখতে আমরা স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি। আমরা তাদের ট্র্যাকিং করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যখনই কোন তথ্য পাচ্ছি আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

গত বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার গহিন পাহাড়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এ অভিযানের সময় আরসা কমান্ডার মাস্টার সলিমুল্লাহ (৩৮) এবং তার সহযোগী মো. রিয়াজকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

;

উত্তরা, উত্তরখান এলাকায় শনিবার গ্যাস কম থাকবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উত্তরা, উত্তরখান এলাকায় শনিবার গ্যাসের কম থাকবে

উত্তরা, উত্তরখান এলাকায় শনিবার গ্যাসের কম থাকবে

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাস পাইপলাইনে নির্মাণের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণ খান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ কম থাকবে।

শুক্রবার (১৭ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

এতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণ খান ও এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

;