ইয়াবা পাচারের নতুন কৌশল পাকস্থলী



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিকে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি অন্যদিকে পাচারকারীদের নতুন নতুন কৌশল। নৌ-সড়ক পথের পর ইয়াবা পাচারে এবার আলোচনায় এসেছে আকাশপথ ও শরীরের পাকস্থলীতে অভিনব কায়দায় রেখে পাচার করার তথ্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর কারাগারের অভ্যন্তরের মিলছে ইয়াবা। পাচারকারীদের নিত্য নতুন কৌশল নিয়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত ১০দিনে পৃথকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার ১৩০ পিস ইয়াবা। এসময় আটক করা হয়েছে তিন জনকে। পাচারকারীরা কেউ লাগেজে আবার কেউ মামলার ফাইলের ভেতর করে এসব ইয়াবা পাচার করতে চেয়েছিল।

এছাড়াও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গত বছরের ১ ডিসেম্বর নাফিজা আক্তার নামে এক তরুণীকে ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ । সে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক সেজে ইয়াবা পাচার করছিল বলে স্বীকার করে। ৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ১৮০০ পিস ইয়াবাসহ কথিত বাবা-মেয়েকে আটক করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর ১ হাজার ৯২৫ পিস ইয়াবাসহ খোরশিদা করিম নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর মামলার আসামিদের পাকস্থলীতে মিলছে ইয়াবা।

গত কয়েক মাসে ৮ জন হাজতির পাকস্থলী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা। তাদের মধ্যে, গতকাল ১৭ জানুয়ারি মোহাম্মদ শাহজালাল প্রকাশ আব্দুইয়া (১৯) নামে এক হাজতির পাকস্থলী থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় নুরুল হাশেম (১৮) নামে এক হাজতির পাকস্থলী থেকে।

এরআগে হাশেম ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসে। গত বছরের ৫ নভেম্বর শহীদ উল্লাহ নামে এক হাজতির পাকস্থলী থেকে ১ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বেমারন তংচংঙ্গা নামে এক হাজতির পাকস্থলীতে মিলেছে ৯৫০ পিস ইয়াবা।

ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়ার পর সদ্য জামিনে বের হওয়া সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের সুমন (ছদ্মনাম) বার্তা ২৪.কমকে বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পোটলায় ১২ পিস করে ইয়াবা দিয়ে পাচারকারীকে কলা দিয়ে খাওয়ায়। এরপর পাচারকারী আনে কক্সবাজার শহরে। তারপর এটি চলে যায় বিমানযাত্রীর কাছে। সে এটি ঢাকার পার্টির কাছে নিয়ে যায়।

সুমন আরও জানায়, একজন পাচারকারী প্রায় তার পেটে ১২০০ পিস ইয়াবা খেয়ে নিতে পারে। যা এজন পাচারকারীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদি কোন কারণে বেশীদিন পেটের মধ্যে ইয়াবা রাখতে হয় তাহলে পাচারকারীর চোখে কাল দাগ চলে আসে। আমিও খেয়ে পাচার করতাম। প্রতি চালানে ৪০ হাজার টাকা করে দিতো ব্যবসায়ীরা।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নতুন নতুন কৌশলে পাচার অব্যাহত রয়েছে। আত্মসমর্পণ আর ইয়াবা পাচার কখনো একসাথে চলতে পারে না। ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কৌশলে ইয়াবা পাচার করছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।

পিপলস্ ফোরামের মুখপাত্র এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের নজরদারির কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কৌশল পাল্টে পাচারকারীদের ব্যবহার করছে। যেহেতু আত্মসমর্পণের কথা-বার্তা চলছে এমন অবস্থায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের পাচার অব্যাহত রেখেছে। যা আত্মসমর্পণে সঠিক ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আসছে কিনা তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।

মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ইয়াবা বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের চোখে আড়াল করতে পাচারকারী ও ব্যবসায়ীরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। ব্যবসায়ীদের তৎপরতা ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বার্তা ২৪.কমকে বলেন, বিমানবন্দরের যাত্রী সেজে ইয়াবা পাচার শুরু হয়েছে। পুলিশের নজরদারিতে বেশ কয়েকজন আটকও হয়েছে। বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে জানতে চাইলে কক্সবাজার কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশীদ আকন্দ বার্তা ২৪.কমকে জানান, নবাগত হাজতির পাকস্থলীতে আজও ইয়াবা মিলেছে। গত কয়েক মাসে প্রায় ৭ হাজতির পাকস্থলীতে ইয়াবা পাওয়া যায়। যা বিশ্বাস করাও কঠিন। তবে আমরা নবাগত হাজতিদের গতিবিধি লক্ষ্য করছি।

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;