মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরী রংপুর



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরী রংপুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরী রংপুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির উর্বর ভূমি রংপুর। রঙে রসে সমৃদ্ধ প্রাচীনতম এ জেলার রয়েছে দিগন্ত জোড়া সৌন্দর্য। প্রকৃতির রঙ আর ভাওয়াইয়ার সুর রয়েছে এই নগরীতে। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গৌরবময় ইতিহাসের আলো ছড়ায় এ জেলা। এই আলোতে রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর সংগ্রাম ইতিহাসের কথা।

 

তীরধনুক আর লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের অবিস্মরণীয় ইতিহাসের জন্ম দিয়েছিল স্বাধীনতাকামী রংপুরের মানুষরা। সেই সাহসী অগ্রজদের অনেকেই হয়তো বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের সে দিনের স্মৃতি আজও বেঁচে আছে। উজ্জ্বল হয়ে আছে সাহস, দৃঢ়তা আর আত্মত্যাগের অনবদ্য ইতিহাস।

একাত্তরে রংপুরবাসীর স্মৃতিবিজড়িত সংগ্রামের কথাগুলো শুধু বইয়ের পাতাতে নয়, তুলে ধরা হয়েছে ভাস্কর্য-ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনাতে। অসংখ্য শহীদের রক্তে ভেজা রংপুর মহানগরীতে ইতিহাস যেন বরাবরই জাগ্রত। একটু সময় নিয়ে পুরো নগরীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরলেই চোখে পড়বে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্য আর ম্যুরাল।

রংপুরের প্রবেশদ্বার দমদমা পার হয়ে মডার্ন ব্রিজের কাছে এসে মাথা উঁচু করতেই নজর কাড়বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি। বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ সন্তানের প্রতিকৃতিসহ গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ফুটে উঠেছে ‘অর্জন’ নামক ভাস্কর্যটিতে। মডার্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এ ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উচ্চারিত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। শিল্পীর শৈল্পিক ভাবনায় তুলে ধরা হয়েছে ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাতে পাকিস্তানি হায়েনাদের বর্বরতার চিত্র। রংপুরের মানুষের ২৮ মার্চের ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণে ব্যবহৃত তীরধনুক আর লাঠিসোঁটাও রয়েছে ভাস্কর্যের বুক জুড়ে। অর্জনে ফুটে উঠেছে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সফলতম দিন ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় উল্লাস আর পরাজিত বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবি।

সেখান থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে সোজা কারমাইকেল কলেজ রোডে এলেই গর্জন শুনতে না পেলেও দেখা মিলবে বাঘ মামার সঙ্গে। লালবাগ বাজার মোড়ে জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে দাঁড়িয়ে। রেলক্রসিং পার হয়ে সোজা যেতে যেতে ‘শাপলা চত্বরে’ দেখা যাবে প্রস্ফুটিত ও অপ্রস্ফুটিত শাপলা ফুলের। ‘একটি ফুলের জন্য’ শিরোনামে নির্মিত হয়েছে এই ভাস্কর্য। ভাসমান শাপলার চারপাশ অঙ্কিত হয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে লালন করে। সেখানে প্রায় সময়ই বিভিন্ন বসয়ী মানুষ নিজেকে ক্যামেরা বন্দী করেন জাতীয় ফুলের সঙ্গে।

শাপলা চত্বর থেকে নাক বরাবর যেতে যেতে জাহাজ কোম্পানি মোড়। এখান থেকে সোজা পায়রা চত্বর। এই চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা পাখা মেলে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে। পায়রার নিচের অংশ জুড়ে আছে ভাষা শহীদদের প্রতিকৃতি, আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি আর একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মুক্তি দিতে অসময়ে বিদায় নেয়া সন্তানদের মুখ। মুক্ত পায়রায় জড়িয়ে আছে লাল-সবুজের প্রিয় পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম দুই চরণ।

পায়রা চত্বর থেকে সুপার মার্কেট মোড় ও রংপুর সিটি করপোরেশন ভবন পার হলেই ঐতিহাসিক পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। এই মাঠের প্রবেশদ্বারে তৈরি ভাস্কর্যের কারুকল্পে আছে ভাওয়াইয়ার সুর, গরুর গাড়ি আর মুক্তিযুদ্ধ-ভাষা আন্দোলন। সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে রয়েছে পাকিস্তানিদের টর্চার সেল ঐতিহাসিক রংপুর টাউন হল আর শহীদের রক্তমাখা বধ্যভূমি।

পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানের দিকে গেলে চোখে পড়বে রংপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক। সেখান থেকে জিলা স্কুল মোড়ের দিকে এগোলে জাতির জনকের বিশাল ম্যুরাল। এই ম্যুরালে প্রতিদিনই ভালোবাসার ফুল পড়ে পিতার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা থেকে। বিকেলের পর এখানকার আশপাশ মুখরিত থাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা অনুরাগীদের আড্ডায়।

জিলা স্কুল মোড় থেকে সোজা গেলেই ধাপ চেক পোস্ট। এখানে ক্যান্টনমেন্টের প্রবেশ তোরণের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ‘অংশুমান’। হাতে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা আর ঘাড়ে রাইফেল। এটি বিজয় বাংলাদেশের চিত্র। এ ভাস্কর্যটিতে ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৮ মার্চ রংপুরে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণে শহীদ হওয়া সাওতাল অংশুমানের নাম।

এসব ভাস্কর্য ও মুর‌্যাল ছাড়াও রংপুর মহানগরীর নিসবেতগঞ্জ এলাকাতে রয়েছে তীরধনুকের আদলে তৈরি ‘রক্তগৌরব’। মুলাটোল পাকার মাথা মোড়ে রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতি। সাতমাথা মোড়ে রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির চাদরে তুলে ধরা হয়েছে শহীদ সাত বীরশ্রেষ্ঠের প্রতিচ্ছবি।

স্বাধীনতাকামী রংপুরের মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে তৈরি এসব ভাস্কর্য ও মুর‌্যাল একদিকে নগরীর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরছে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। এতে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এমনটাই দাবি সচেতন মহলের।

ইতিহাস চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে নগরীর ভাস্কর্য ও মুর‌্যালগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্মের মাঝে এ অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিজড়িত এসব ভাস্কর্য ও মুর‌্যালের ভূমিকা অনেক বেশি।’ এ সময় তিনি রংপুরে আরও বেশি করে ভাস্কর্য মুর‌্যাল তৈরি এবং সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

   

বৃষ্টি কমিয়ে দিলো ঢাকার বায়ু দূষণ



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকেই নামা ঝুম বৃষ্টির ফলে শহরের বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে। ঢাকার আইকিউএয়ার স্কোর ৮৯ অর্থাৎ এখানকার বাতাস আজ মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এজন্য বায়ুদূষনের তালিকার প্রথম দিকে থাকা শহরটি এখন তালিকায় রয়েছে ১৭ নম্বরে।

শনিবার (১১ মে) সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে মিশরের কায়রো শহর। শহরটির দূষণ স্কোর ২১২ অর্থাৎ সেখানকার খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ নগরী। এই শহরের দূষণ স্কোর ২০৮ অর্থাৎ সেখানকার খুবই অস্বাস্থ্যকর। এরপরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহর। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

;

হঠাৎ ঝাড়ু হাতে সিলেটের রাস্তায় তামিম ইকবাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ করে সিলেটের রাস্তায় ঝাড়ু হাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে দেখা গেল।

শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র।

নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্ত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-আলী আমজাদের ঘড়ি ঘর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি।

নগরবাসীকে পরিচ্ছন্নতা কাজে উদ্বৃদ্ধ করতে তামিম ইকবাল এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এসময় তামিম ইকবাল বলেন, সিলেট সিটিকে গ্রিন ও ক্লিন সিটি গড়ে তোলার প্রথম ধাপ। সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে অনেক কথা হয়। আমি জানি যে সিলেটকে নিয়ে তিনি কি পরিকল্পনা করছেন। আমি বিশ্বাস করি তিনি যতদিন মেয়র থাকবেন ততদিন সিলেটের উন্নয়ন হবে। সিলেট একটি সুন্দর নগরী আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তামিম ইকবাল বলেন, এই কাজে কেউই সেলিব্রিটি না বা সাধারণ মানুষ না। এই কাজ আমাদের সবার করা উচিত। যখন আমরা সবাই দেশের বাইরে যাই তখন আমাদের হাতে যদি কোনো কিছুর বোতল থাকে তাহলে সেটা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে সেটা রাস্তায় ফেলি। এই মানসিকতা যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি তাহলে দেশটাকে পরিষ্কার রাখতে পারি।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। একজন সফল মানুষ। আমাদের এই আধ্যাত্মিক নগরীতে তার ভক্ত অনুরাগীর অভাব নেই। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস। সিলেট নগরীর সচেতন নাগরিকবৃন্দ তাকে ভালোবাসেন এবং মনে রাখবেন চিরদিন।

সিসিক মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল গ্রিন-ক্লিন সিলেট। তিনি তার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করছেন। পরিচ্ছন্ন নগরীর জন্য তার বড় সাফল্য, রাজপথ এবং ফুটপাত হকার মুক্ত করা। এছাড়াও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও সিসিক’র কর্মীরা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার ড্রেন নালা পরিস্কার করছেন তারা। তাদের তৎপরতা প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করছেন সিসিক’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কর্ণেল (অব) একলিন আবেদিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্করসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সকাল হতেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকা, নামলো ঝুম বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোর থেকেই শুরু হয় মেঘের গর্জন। কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। এরপরই নামলো ঝুম বৃষ্টি। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকায় বৃষ্টি নামে। চলতি মাসের শুরু থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।

তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে গরম আবার বাড়তে পারে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও সকালের হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে শ্রমজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের। অনেককেই ভিজে ভিজে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই বের হতে পারেননি ঘর থেকে।

এর আগে, রাতেই দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। 

;

ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার ঘোপাল গ্রামের বতুল্লার ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদ (৩৮) ও ডালিম (৩০), একই থানার বাঘারপাড় গ্রামের আলী আমজদ।

রেজা রুবেল সিলেটের স্থানীয় নিউজ পোর্টাল সিলেট প্রতিদিন২৪ডটকম'র স্টাফ ফটো সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক।

গত বুধবার (০৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহের সময় ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তার উপর হামলা চালানো হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে এক যুবককে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তখন তিনি কেন্দ্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদের নেতৃত্বে ডালিম ও আলী আমজদসহ অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। সাবাজ ও ডালিম তার তাকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। আলী আমজদ এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে কিলঘুঁষি ও লাথি মারতে থাকে।

শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। রেজা রুবেলের গলায় ঝুলানো প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের ক্যামেরা ও ৬০ হাজার টাকা দামের লেন্স এবং প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে নিয়ে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

এদিকে অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি থানায় নয়, বাইরে। থানায় গিয়ে দেখবো এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;