গণমাধ্যমকে ইউরোপের মতো গড়তে চান নতুন তথ্যমন্ত্রী



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নতুন সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নতুন সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণমাধ্যমের বিপ্লব ঘটেছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীন। তবে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধ উভয়কে ইউরোপের মতো জায়গায় নিয়ে যেতে চান তথ্যমন্ত্রী ড. মো. হাছান মাহমুদ।

একই সঙ্গে গণমাধ্যমের অভাব-অভিযোগগুলোর সমাধান ও অসুবিধা দূর করার জন্য কাজ করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন নতুন এই তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) রাতে বার্তা২৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

দেশের গণমাধ্যম নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ। রাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ, ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়ারি এই তিনটি অঙ্গের পাশাপাশি গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ। রাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অথরিটির সাথে যদি রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ গণমাধ্যমের কাজের সমন্বয় না থাকে; তাহলে রাষ্ট্র ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিপ্লব ঘটেছে। এভাবে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির পাশাপাশি সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়িয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য; আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের একটা বিশাল ভূমিকা আছে। মানুষের মনন সঠিক খাতে প্রবাহিত করার কাজের ক্ষেত্রে যেমন গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আবার গণমাধ্যমের যে কোনো কারণে ভুল বা অসত্য সংবাদ সমাজের ক্ষতিও করতে পারে।’

‘এই সমস্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য রাষ্ট্রের সাথে গণমাধ্যমের সমন্বয় ও বোঝাপড়া প্রয়োজন আছে; যেটি আমাদের দেশে আছে; এটিকে আরও বিস্তৃত করতে হবে।’

গণমাধ্যমের অভিযোগ সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের অনেক অভাব-অভিযোগ রয়েছে। কিছু গণমাধ্যম ভালো কিন্তু রুগ্ন। এসব গণমাধ্যমের অভাব-অভিযোগও আছে; সেগুলোকে নিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের পক্ষে একা স্বপ্নের বাংলাদেশ করা সম্ভব নয়, এর জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা প্রয়োজন।'

মন্ত্রী হিসেবে কোনো বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পূর্বসূরী অনেক ভালো কাজ করেছেন; অনেকগুলো কাজ এগিয়ে রেখেছেন; কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে; সেগুলো সমাপ্ত করা। একইসঙ্গে গণমাধ্যম নিয়ে নতুন পরিকল্পনার বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবো।'

বর্তমানে দেশের গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী। তবে দেশের গণমাধ্যমকে গণমাধ্যমের কর্তব্য ও সরকারের কর্তব্য সম্পর্কেও সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গণমাধ্যমের যেমন স্বাধীনতা প্রয়োজন, একই সাথে গণমাধ্যমের কর্তব্য ও সরকারের কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতন থাকা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের কর্তব্য রাষ্ট্র ও সামাজের প্রতি। আমাদেরও গণমাধ্যমের কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ থাকা প্রয়োজন।’

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধ দুটিকেই ইউরোপের মতো, ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। এই ক্ষেত্রে আপনাদের (গণমাধ্যম) সঙ্গে আমরা এগোতে চাই।'

   

কুষ্টিয়ায় আবারও আতাউর রহমান ও খোকসায় মাসুম নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত।

বুধবার (৮ মে) বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে,সদর উপজেলায় আতাউর রহমান আতা ৬৭ হাজার ৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন  (আওয়ামী লীগ)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আহাদ আল মামুন (বাংলাদেশ জনতা পার্টি) প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪৮৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু তৈয়ব বাদশা। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৭ হাজার ২৮৯ ভোট। নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী লতা খাতুনের প্রাপ্ত ভোট ৪২ হাজার ৮৭৯ টি।

খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত প্রাপ্ত (আওয়ামী লীগ) প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ১০১ ভোট। নিকটতম প্রার্থী বাবুল আকতার পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৯ টি।

এদিকে আবারও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বিজয়ী হওয়ায় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। রাতে বিজয়ী হওয়ার পর আতাউর রহমান আতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা তাতী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। 

;

বাকেরগঞ্জে রাজিব-সাইফুর-জাহানারা নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাজিব আহম্মেদ। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা বেগম নির্বাচিত হয়েছে।

উপজেলার ২৪ দশমিক ৬ ভাগ ভোট দিয়েছে। চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে রাজিব আহম্মেদ তালুকদার পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ ভোট। 

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বাস মুতিউর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে পান ৩৫ হাজার ১৫৪ ভোট। এ উপজেলায় কামরুল ইসলাম খান মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৩ ও ফিরোজ আলম খান দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পান এক হাজার ৫১ ভোট।

;

বরিশাল সদর উপজেলায় মালেক-জসিম-হেপি নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বরিশাল সদরে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই উপজেলায় এ ভোট হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলায় শতকরা ৩৬ ভাগ ভোট পড়েছে।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন। নির্বাচিত আব্দুল মালেক পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭০৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পান ১৭ হাজার ৩১৪ ভোট। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহমুদুল হক খান মামুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪১ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মাহবুবুর রহমান মধু ১১ হাজার ১৭০ ভোট ও দোয়াত কলম প্রতীকের ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বই প্রতীকের মাহিদুর রহমান। এ পদের হাদিস মীর তৃতীয় ও শহিদ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ চতুর্থ।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন এ্যাড হালিমা বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাস প্রতীকের নেহার বেগম।

;

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে(আইএসডি) গুলির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (০৮ মে) দুপুর ২টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহসান গ্রুপের মালিকের সন্তানের দেহরক্ষীদের বন্দুক থেকে গুলি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আইএসডি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জোর প্রচেষ্টাও চলছে। কিন্তু এ ঘটনায় অন্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আইএসডি স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক জানান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন বন্দুকধারী দেহরক্ষীদের প্রবেশাধিকার থাকবে? এটা তো দেশের আইন বহির্ভূত। গুলিটা আমার সন্তানের শরীরেও আঘাত হানতে পারতো। অথবা অন্য কোনো ছাত্রছাত্রী আহত-নিহত হলে, এর দায় কে নিতো? আইএসডি স্কুল এবং বসুন্ধরা আবাসিক কর্তৃপক্ষের উচিত, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ভিআইপি'র দেহরক্ষীকে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা।

গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, দুইটা গাড়িতে বাচ্চাদের নিতে এসেছিল। একটা গাড়িতে গানম্যান/বডিগার্ড ছিল। তাদের বন্দুক থেকে বের হওয়া অপ্রত্যাশিত গুলিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

;