অসহায় নারীদের স্বপ্ন দেখান সাফিনা



এস.এম.জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মব্যস্ত সাফিনা আঞ্জুম জনি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মব্যস্ত সাফিনা আঞ্জুম জনি/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে যখন একজন নারী চাকরি করেন তখন সেই নারী পরিবারে ও সমাজে অনেক সম্মান পান। কিন্তু বিয়ের পর তার পক্ষে চাকরি করা আর সম্ভব হয় না। সন্তান, সংসার সামলানোর পর চাকরি করার মত সময় আর থাকে না।

ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক নারী ঘরের বাইরে কাজ করতে পারেন না। সেই সময় তিনি তার চিন্তাচেতনা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন। এতোকিছুর পরও অন্যরকম চিন্তা-চেতনা ও সৃজনশীল মানসিকতার নারী আমাদের সমাজে খুঁজে পাওয়া ভার।

কিন্তু তেমনই একজন নারী সাফিনা আঞ্জুম জনি। তিনি কুষ্টিয়া শহরের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ও খাবার প্রতিষ্ঠান মৌবনের নির্বাহী পরিচালক। স্বল্প সময়ে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করে সমাজের হতদরিদ্র, বিধবা ও অসহায় নারীদের আর্থিক উন্নয়নে নতুন করে স্বপ্ন যুগিয়েছেন।

সাফিনা আঞ্জুম জনির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যন্ত্রনাময় জীবনযাপন করা স্বামী পরিত্যাক্তাসহ বিধবা ও অসহায় নারীদের অনেকেই এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/05/1546701352751.gif

ইতোমধ্যে একজন সফল নারী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন সাফিনা। শুধু তাই নয়, উপজেলা শ্রেষ্ঠ জয়ীতা, জেলা পর্যায়ে জয়ীতা ডিঙ্গিয়ে খুলনা বিভাগের মধ্যেও অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে জয়ীতা নির্বাচিত হয়েছেন সাফিনা।

সফল এই নারী শুধু খাবার প্রতিষ্ঠানের সাথেই সংযুক্ত নন; বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তাসহ অসহয় নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যে ওভেন ব্যাগ তৈরির কারখানা চালু করেছেন। সেখানে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্সমংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

বর্তমানে সাফিনার প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক মহিলা প্রত্যক্ষ ও অন্তত হাজারখানেক পরিবারের সদস্যরা পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়া ওভেন ব্যাগগুলো বাজারজাতকরণের জন্য রয়েছে আরও কিছু নারীকর্মী।

কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেখা খাতুন। মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতন, সেই সঙ্গে সংসারে লেগেছিল চরম দুর্দিন। হতাশা থেকে মুক্তি পেতেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রেখা খাতুনের। পরে বৃদ্ধ পিতা-মাতার বাড়িতে এসেও যেন সাগরে পড়লেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/05/1546701411842.gif

এরপর সাফিনার ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায় রেখাকে রাঁধুনীর কাজে সম্পৃক্ত করা হয়। তারপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এমন অনেকেরই জীবন বদলে দিয়েছেন এই সাফিনা।

ওভেন ব্যাগ কারখানার ম্যানেজার নিপা নাজনীন বার্তা২৪কে বলেন, ‘এই ব্যাগ কারখানায় অনেক নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। সন্তানদের মানুষ করছেন।’

সফল নারী সাফিনা বার্তা২৪কে বলেন, ‘নারীরা অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। অনেক সময় বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তারা খুব বেশি অসহায়ত্ব বোধ করেন। শুধু পরিবার-পরিজনের কাছে নয় সমাজের অন্য মানুষদের কাছেও অবহেলার পাত্র হতে হয় তাদের।’

‘তাদের কথা চিন্তা করেই কিভাবে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আয় রোজগারের ব্যবস্থা করা যায়- এ ভাবনা থেকেই আমি তাদেরকে নিয়ে ওভেন ব্যাগ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও আমার প্রতিষ্ঠানে আরও নারীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/05/1546701487451.gif

তিনি বলেন, ‘এ কাজে আমার স্বামী আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেন। তার সহযোগিতা ছাড়া কখনো এতোসব নারীকে স্বাবলম্বী করতে পারতাম না।’

এজন্য তিনি মনে করেন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গতি সঞ্চারিত হবে; নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। নারী পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাবে। সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়ন ও পর্যায়ক্রমে জেলা ছাড়িয়ে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হবে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন বার্তা২৪কে বলেন, ‘নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তিনি কুষ্টিয়াকে আলোকিত করেছেন। তার অধীনে অন্তত দুই শতাধিক মহিলারা এখন সাচ্ছন্দ্যে চলতে পারছেন। সম্প্রতি মহিলাদের নিয়ে নারী বাতায়ন নামের একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে আরও বেশি নারীকে কমংস্থানের সুযোগ করছেন সাফিনা।’

   

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে আরও ৮৮ সশস্ত্র মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য।

রোববার (৫ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাঞ্চন জেটি দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে আরাকান আর্মির তীব্র আক্রমণের মুখে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাঞ্চন জেটি দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিপির ওই সদস্যরা নাফ নদীতে তিনটি নৌকায় অবস্থানরত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তারা জান্তা সৈন্যদের নিরস্ত্র করে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করে এবং পরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে।

তবে এ বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিজিবির কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে গতকাল শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ বিজিপি সদস্য আসার একদিন পর এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে।

এদের মধ্যে টেকনাফের সাবরাংরাং ইউনিয়নের আচার বুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন এবং একই উপজেলার নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আরও ৪ বিজিপি সদস্য নাজির পাড়া দিয়ে আশ্রয় নেয় বলে স্থানীয় সূত্র ও জনপ্রতিনিধি জানায়।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে এবং পরে তাদের বাসে করে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়।

 

;

মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার

মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় মো. রাকিবকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে উপজেলার চরআবাবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১১।

বিকেলে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাকিব উপজেলার চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে ও পেশায় রঙমিস্ত্রি। ভিকটিম মাদরাসা ছাত্রী তার প্রতিবেশি।

গত বৃহস্পতিবার (২ মে) রাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় ধর্ষণের মামলা করে ভিকটিমের মা।

মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, ভিকটিমের বাবা দিনমজুর ও মা মানুষের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। ভিকটিম স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় আসামি ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

২১ এপ্রিল বিকেলে ভিকটিম তার বাসা থেকে বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত রাকিব ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনের সহায়তায় সিএনজিযোগে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে লঞ্চের একটি কেবিনে আটকে রেখে অভিযুক্ত রাকিব ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাকিব তাকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বসতঘরে আটক রাখে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে র‍্যাব-১১ রাকিবকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। 

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, আসামি রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

;

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং বিদ্যমান আইনের বিধিসমূহ দ্রুততার সাথে প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে সুপারিশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাগুফতা ইয়াসমিন, মোঃ শাহাব উদ্দিন, বেনজীর আহমদ, অনুপম শাহজাহান জয়, মোঃ আশরাফুজ্জামান, কোহেলী কুদ্দুস, রুমা চক্রবর্তী এমপি অংশগ্রহণ করেন

বৈঠকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও এর অধীনস্থ দপ্তর প্রধানগণের সাথে পরিচিতি পর্ব শেষে ভূমি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরসমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। এসময় তারা কমিটি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং বিদ্যমান আইনের বিধিসমূহ দ্রুততার সাথে প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব সহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

ঢাবিতে টেকসই উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর উদ্যোগে 'Women's Digital Transformation: A Gateway to Sustainable Development' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৫ মে) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক আলোচনায় অংশ নেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে নারীরা তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছেন এবং দেশ-বিদেশের প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং-এ নারী সমাজের ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। এর ফলে নারীরা গৃহকর্মের পাশাপাশি ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে তিনি নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রসার ও উন্নয়ন এবং এতে নারীর অধিকহারে অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে নারীরা পুরুষের সাথে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম-নির্ভর কর্মে তাদেরকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করার কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।

উপাচার্য আরও বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারে নারী-পুরুষ উভয়কেই সচেতন ও আগ্রহী করে তুলতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং নারীদের জন্য যথাযথ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

;