অনলাইনে কেনা যাচ্ছে যশোরের ঐতিহ্যবাহী গুড়-পাটালি



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যশোরের ঐতিহ্যবাহী গুড়-পাটালি, ছবি: বার্তা২৪

যশোরের ঐতিহ্যবাহী গুড়-পাটালি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে-বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেনো, শীত এলেই বাঙালির মনে পড়ে যায় যশোরের খেজুর রস, গুড়-পাটালি আর পিঠার কথা। কিন্তু মানুষের লোভের আগুনে পুড়ে গেছে যশোর অঞ্চলের লাখো খেজুরগাছ। অবশ্যম্ভাবী ফল হলো, চৌকষ গাছিও বেঁচে থাকার তাগিদে পেশা বদলে ফেলেছেন। যা কিছু খেজুরগাছ এখনো যশোরের ঐতিহ্যের জানান দিচ্ছে, শীত এলে সেগুলো থেকে রস সংগ্রহের জন্য গাছি পাওয়া দুষ্কর। ফলত রস তথা গুড়-পাটালির উৎপাদন কমেছে আশঙ্কাজনক। কিন্তু যশোরের গুড়-পাটালির চাহিদা থেকে গেছে আগের মতোই। এই সুযোগে কিছু অসাধু কারবারি খেজুরগুড়ের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে দেদারছে বিক্রি করছে।

সরকারিভাবে যশোর জেলাকে যেভাবে ব্রান্ডিং করা হয়েছে, সেখানেও রয়েছে খেজুর গুড়ের কথা- ‘নানা রঙের ফুলের মেলা, খেজুর গুড়ের যশোর জেলা’। এসব কারণেই যশোরের খেজুররস, গুড়-পাটালির পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে যশোরের উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ এগিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে যশোররোডডটকম (www.jessoreroad.com)।

কর্মসূত্রে যশোরে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন ঢাকার কেরানিগঞ্জের জাকির হোসেন। করপোরেট হাউজে উচ্চপদে কর্মরত জাকির হোসেন যশোর ছাড়লেও এখানকার খেজুরগুড়-পাটালির স্বাদ ভোলেননি। তাইতো ঢাকায় অবস্থান করেও তিনি খুঁজে ফেরেন যশোরের গুড়-পাটালি। www.jessoreroad.com তার মতো মানুষদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট। রাজধানীতে বসে যশোরের খাঁটি গুড়-পাটালি পেয়ে খুশি জাকির হোসেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/01/1546352170379.jpg

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনে গণসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন হাসিব নেওয়াজ। তার এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে গাজীপুরের টঙ্গীতে পাটালি পাঠানোর দরকার ছিল। অনলাইনে দেখেছেন, পাটালি বিক্রি হচ্ছে www.jessoreroad.com -এ। কিন্তু পণ্য কিনে ঠকে যান কি-না, সেই আশঙ্কায় ভুগছিলেন। পরে ফোনে (০১৯৮০ ১৭ ১৭ ১৭) কথা বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের পরিচয় সমন্ধে নিশ্চিত হন। একবাক্যে অর্ডার দিয়ে দেন। এরপর আলাপচারিতায় জানান, তার শুভাকাঙ্ক্ষী ভদ্রলোক পাটালির মানে ভীষণ খুশি হয়েছেন।

www.jessoreroad.com -এর গুড়-পাটালির চাহিদা রয়েছে প্রবাসীদের কাছেও। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছেন, কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না জনপ্রিয় খাদ্যপণ্যটি। অথচ প্রতিদিনই প্রবাসীরা নানা মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। বিশেষত www.jessoreroad.com -এর ফেসবুক পাতা (facebook/amarjessoreroad) ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকে আবার হটলাইনেও (০১৯৮০ ১৭ ১৭ ১৭) যোগাযোগ করে পছন্দের পণ্যটি নিতে সচেষ্ট হন।

যশোর রোডের প্রধান নির্বাহী আহসান কবীর বলেন, ‘আমাদের জেলার প্রধান যে ঐতিহ্য খেজুরগাছের রস, গুড়, পাটালি, তাকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায় তা নিয়ে প্রথমে আমরা একটি সমীক্ষা করি। আমরা দেখতেই পাই, এই ঐতিহ্যটি হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাওয়া। দ্বিতীয় কারণটি হলো, খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের ব্যাপারটি বেশ কষ্টকর। নিপুণতা, দক্ষতা না থাকলে ভালো মানের রস-গুড়-পাটালি উৎপাদন করা যায় না। একসময় যেসব দক্ষ গাছি তাদের নিপুণ হাতে এই কাজটি করতেন, তাদের বেশিরভাগই মারা গেছেন। যারা বেঁচে আছেন তারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ। আগে গাছিদের সন্তানরাই বাবার কাছ থেকে শিখে এই কাজ করতেন। এখন অন্য কাজে অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা আয়ের সুযোগ হওয়ায় গাছিদের সন্তানরা আর খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের কষ্টসাধ্য কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এ অবস্থায় যশোরের এ ঐতিহ্য বিলুপ্তির দিকে এগুচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/01/1546352197193.jpg

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা, রস সংগ্রহ, গুড়-পাটালি তৈরির কাজকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করে তুলতে হবে। তা না হলে কোনোভাবে নতুন প্রজন্মকে গাছ কাটা, রস-গুড় উৎপাদনে আগ্রহী করা যাবে না। কেবল স্থানীয় বাজারে গুড়-পাটালি বিক্রি করলে গাছিরা ভালো দাম পাবেন না। দরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। আমরা ঠিক এই কাজটিই করছি। যশোরে উৎপাদিত গুড়-পাটালি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। গাছিরা যাতে ভালো দাম পান, সেই দিকেও দৃষ্টি রাখা হয়েছে। প্রায় ছয় বছর আগে কিনে রাখা ডোমেইন-হোস্টিংয়ের মাধ্যমে আমরা jessoreroad.com- নামে একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করি; যা চলতি শীত মৌসুমে যশোরের গুড়-পাটালি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে নগর-মহানগরগুলোতে পৌঁছে দিচ্ছে,’ বলছিলেন আহসান কবীর।

jessoreroad.com -এর অন্যতম পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার বসুন্দিয়া ও বাঘারপাড়া এলাকার কয়েক ডজন গাছিকে আমরা সংগঠিত করেছি। সেখানে কাজ করছেন আমাদের বিশ্বস্ত কর্মীরা। ফলে ভেজাল গুড়-পাটালি তৈরির কোনো সুযোগ নেই। এসব গাছির কাছ থেকে আমরা যে গুড়-পাটালি সংগ্রহ করি, তা স্থানীয় বাজারদরের চেয়ে খানিকটা বেশি। বৈশিষ্ট্য হলো, একশ ভাগ বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, গাছিরা আগে এক কেজি খেজুরগুড়ে ভেজাল মিশিয়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি লাভ করতেন। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার- ভেজাল দেওয়া যাবে না। ভেজাল দিয়ে গাছিরা যে বাড়তি মুনাফা করতেন, তা পুষিয়ে যাবে ন্যায্য দামে খাঁটি গুড়-পাটালি বিক্রি করতে পারলে। এই প্রক্রিয়ায় আমরা খুবএকটা লাভ করতে না পারলেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য হলো, যশোরের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা। এই কাজে সফল হলে পরে খেজুরগাছের সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন গাছি তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/01/1546352220533.jpg

আরেক পরিচালক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘যশোরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘যশোর রোড’-এর নাম। ঐতিহাসিক সেই যশোর রোডের নামেই আমাদের ই-কমার্স সাইটটি করা। এর লোগো হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে যশোর রোডের পাশে থাকা প্রায় দুইশ’ বছরের পুরনো রেইনট্রি। যেহেতু সাইটটির নাম jessoreroad.com, আমরা চিন্তা করি, শুধু খেজুর গুড়-পাটালিই নয়, যশোরে তৃণমূল পর্যায়ে আরো অনেক বিখ্যাত পণ্য উৎপাদিত হয়, সেগুলোও আমরা এই সাইটের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে পারি। তারই অংশ হিসেবে যশোরের বিখ্যাত কুমড়োবড়ি, চালের গুঁড়া, নকশিকাঁথা, নানা ধরনের হস্তশিল্প, সূচির কাজ করা পোশাক বাজারজাত করার ব্যবস্থা করছি। যশোরে উৎপাদিত ঘি ও মধুও এই ই-কমার্স সাইটে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারজাত করার আগে এগুলোর মান সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মান এবং বিশুদ্ধতার ব্যাপারে আমরা আপস করি না।’

   

সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার

সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ছুরিকাঘাতে তরুণ মোহাম্মদ আলী (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি রোববার (০৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকেন। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার মূল আসামি।

খুন হওয়া মোহাম্মদ আলী (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে তিনি সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে থাকতেন।

এরআগে শুক্রবার (০৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকায় মোহাম্মদ আলীকে (১৭) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে রোববার দুপুরে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

ইউপি সচিবের নাম পরিবর্তন, বিল সংসদে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইউপি সচিবের নাম পরিবর্তন, বিল সংসদে

ইউপি সচিবের নাম পরিবর্তন, বিল সংসদে

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। বিলটি পাস হলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদের নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

রোববার (০৫ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল–২০২৪’ সংসদে উপস্থাপন করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তোলা বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশাসক নিয়োগ হবেন কেবল একবারের জন্য এবং ১২০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোনো দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার উক্ত মেয়াদ আরও ৬০দিন বাড়াতে পারবে। অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার এই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।

;

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: তাপস

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

কামরাঙ্গীরচরে বসবাসরত কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তিনি সেখানে বসবাসরত সবাইকে অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেছেন।

রোববার (০৫ মে) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘কামরাঙ্গীরচরকে নান্দনিক, বাসযোগ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত (Smart) এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে একটি শঙ্কা আছে যে, কামরাঙ্গীরচরের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। আমি আগেও পরিষ্কার করেছি, আবারও বলছি, সেখান থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আপনাদের জন্য। সেখানে আপনারা থাকবেন, আপনাদের পরিবার থাকবে, আপনাদের বংশধরেরা থাকবে। কিন্তু আপনারা অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’

কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা পোস্তগোলা থেকে রায়ের বাজার পর্যন্ত ৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড করছি। কামরাঙ্গীরচরবাসী সেই সড়কের সুফল ভোগ করবে। এছাড়া কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাউচর সড়ক ৬ সারিতে উন্নীত করার জন্য কাউকে উচ্ছেদের প্রয়োজনই হবে না। দ্বিতীয়ত, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে নদীর পাড় ঘেঁষে ৪ সারির যে সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন কারো কোনো এক ইঞ্চি জমিও পড়ছে না। তৃতীয়ত, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ সারির সড়ক প্রশস্ত করার জন্য মাত্র ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাকীটা পুরোটাই সরকারি জমি। সেই ৩.৪ একর জমিতে যাদের বাড়ি পড়বে আমরা তাদেরকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ তো দেবোই। পাশাপাশি আমি আর কামরুল চাচা (অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম) তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব। সুতরাং, অহেতুক শঙ্কার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।’

কেন কামরাঙ্গীরচরে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার যথার্থতা তুলে মেয়র বলেন, ‘একটি বিষয় আপনারা নিশ্চয় অনুধাবন করবেন, আজ নতুন প্রজন্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুরাতন ঢাকায় থাকেন না। তারা হয় নতুন ঢাকা নয়তো উত্তরার মতো জায়গায় বসবাস করেন। এর মূল কারণ হলো, পুরাতন ঢাকা বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। কামরাঙ্গীরচরের যে অবস্থা, তাতে সেখানে বাসযোগ্যতা হলো তিন লক্ষ মানুষের। কিন্তু আপনাদের কথামতো সেখানে বসবাস করে ২০ লক্ষ মানুষ। সুতরাং এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে কামরাঙ্গীরচরও অচিরেই বাসযোগ্যতা হারাবে। সেজন্যই আমাদের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা। তবে আমি আপনাদের আবারও আশ্বস্ত করছি, সেখান থেকে কাউকে অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হবে না।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের মাঝে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়-ভীতি ছিল তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনটা সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। সুতরাং, আমরা মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছি। তারপরও আমি বলবো, আমার নামে যে ১০৪ ফুটের সড়ক প্রশস্ত করা হবে তাতে ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেসব জমির মালিকদের সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে কামরাঙ্গীরচরের অন্যান্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করা যায় কিনা সেটা আপনি বিবেচনা করবেন। আমি আশাবাদী, আপনি সহযোগিতা করবেন।’

অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরবাসীর পক্ষে ঢাদসিক মেয়রের কাছে লিখিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাদসিক'র ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

;

চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম

চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম

  • Font increase
  • Font Decrease

পানির সাথে ক্ষতিকর রং চিনির মিশ্রণে চলছিলো আইসক্রিম তৈরি। এরপর ব্রান্ডের মোড়ক লাগিয়ে চলে যাচ্ছিল স্থানীয় বাজারে। চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও মোহরা এলাকায় এরকম একটি আইসক্রিম কারখানার সন্ধান পায় নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর। যেখানে আইসক্রিম তৈরি করতে খাবারের রঙের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছিল ক্ষতিকর কাপড়ের রং।

রোববার (৫ মে) সকাল থেকে চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সোবহান।

এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি করায় স্থানীয় নেয়ামত শাহ আইসক্রিম কারখানাটিকে সতর্ক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর একটি অভিযানে আইসক্রিম তৈরিতে পরিচ্ছন্নতা বিধি অনুসরণ না করায় নেজার ফুড বেভারেজ নামের আরও একটি আইসক্রিম কারখানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের সহকারী উপ পরিচালক আবদুর সোবাহান। আইসক্রিম তৈরিতে ক্ষতিকর এই সব রং ব্যবহার না থামালে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতি বলছেন ভোক্তা নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

 

;