মাশরাফির নৌকায় আস্থা ভোটারদের



শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল, বার্তা২৪.কম
মাশরাফি ও তার স্ত্রী সুমি, ছবি: বার্তা২৪

মাশরাফি ও তার স্ত্রী সুমি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রার্থী হওয়ায় এ আসনে চলছে নির্বাচনী উৎসব। উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমি। তিনিও স্বামীর সাথে সকাল-সন্ধ্যা চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ। খেলার মাঠে স্বামীকে সহযোগিতা করতে না পারলেও ভোটের মাঠে স্বামীর জন্য ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে।

এদিকে ভোটারদের মাঝে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নৌকা প্রতীকেই আস্থা রয়েছে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

নড়াইল-২ আসনের বিভিন্নস্থানে সরেজমিন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নৌকা প্রতীকের উপর শতভাগ আস্থা রয়েছে। তারা মনে করেন, যেসকল প্রার্থীরা বিগত নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের কাছ থেকে ভোটাররা এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন পায়নি। মাশরাফির সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুসম্পর্ক থাকার কারণে বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন হবে নড়াইলে। তাই নড়াইলের উন্নয়নের স্বার্থে মাশরাফির নৌকা প্রতীককেই বেছে নেবেন ভোটাররা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ২০ দলীয় জোটের ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যক্তি নয় প্রতীক ধানের শীষ তার শেষ ভরসা। তবে বিএনপি সমর্থিত অনেকেই মাশরাফির পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।

জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ  (লাঙ্গল) প্রতীক ইতিমধ্যে মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

কথা হয় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে তিনি বলেন, মাশরাফির জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। বিশেষ করে আমরা যারা তরুণ ভোটার, আমরা মাশরাফির বিকল্প ভাবতে পারিনা জেলার উন্নয়নের স্বার্থে। মাশরাফি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলেও জানান তিনি।

সদর উপজেলার তারাশি গ্রামের অনিকা ইসলাম বলেন, মাশরাফিকে ভোট দিতে পারব এটা ভাবতেই ভাল লাগছে। আমার জীবনের প্রথম ভোটটি ভালবাসার মাশরাফিকে দিয়েই স্মরণীয় করে রাখতে চাই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/26/1545805938216.jpg

লাহুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, মাশরাফিকে প্রধানমন্ত্রী হিরের টুকরা বলেছেন। ইউনিয়নবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন তাকে এ ইউনিয়ন থেকে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ভোট নৌকা প্রতীকে দেওয়ার জন্য।

নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম কালু বলেন, মাশরাফিকে এ ইউনিয়নের মানুষ দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে প্রতীকের চেয়েও ব্যক্তি মাশরাফিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে জয়ী করবে নৌকা প্রতীককে।

তবে তেমন একটা প্রচারণায় নেই বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। লোহাগড়ায় কিছু এলাকায় পোস্টার দেখা গেলেও সদরে ধানের শীষের পোস্টারের দেখা নেই। প্রচার মাইক থেকেও প্রচারণা নেই বললেই চলে। এদিকে এ আসনে আরও ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে লড়ছেন তারা হল এনপিপির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম (আম) প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন (হাতপাখা) প্রতীকে, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান (মিনার) প্রতীকে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির শওকত আলী (তারা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আমার প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। নিরপেক্ষ ভোট হলে নড়াইলবাসী ধানের শীষ প্রতীককেই বেছে নেবে বলেও দাবি করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/26/1545805993514.jpg

এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা নির্বাচিত হলে নড়াইলকে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ বাসযোগ্য জেলা হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন আপনাদের সেবা করার জন্য। আপনারা ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করুন আমি আপনাদের পাশে থাকব সব সময়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনে নড়াইল ও লোহাগড়া পৌরসভাসহ সদর উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন এবং লোহাগড়ার ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৩৮ জন। কেন্দ্র-১’শ ৪০টি এবং ভোট কক্ষ রয়েছে ৬’শ ৪৮ টি। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৪০টি এবং ভোট কক্ষ রয়েছে ৬৪৮ টি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বার্তা২৪কে বলেন, জেলার নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি জেলায় ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৪প্লাটুন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে ২ প্লাটুন করে এবং উপজেলা পর্যায়ে ১ প্লাটুন করে মোতায়েন রয়েছে।

   

সাবেক এমপি বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জমায়েতের সামনে গিয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন, আমার আজ কম্বোনিয়া পাড়া, হোয়াইক্ষ্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় মুরুব্বি ও মেম্বারদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০-৩০ জন লোক আমাদের পাশে এসে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি বলেন, আমি এখন বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছি।

এই বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে যার সঙ্গে থেকে আব্দুর রহমান বদি গুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রার্থী জাফর আলমের সাথে কথা হয় মোবাইল ফোনে। তিনি জানান, বদি ভাই আমার সাথে ছিলো। এ ধরণের কিছু হয়নি। তার (নুরুল আলম) ভাই নুরুল বশর জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। এটিও এমন একটি কুৎসা বলে জানান জাফর আলম।

;

আটোয়ারীতে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে পাল্টা-পাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১ মে) জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাটে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধায় একই বাজারে পাশাপাশি অবস্থিত মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর পর আবারও বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধে জড়ান তারা।

মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে নিজেদের ক্যাম্পে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা। এর আগে আমার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাদের গতিরোধ করে হামলা ও মারধর করে। এর মাঝে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে হামলা ও মারধর করে।

ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান বলেন, ধামোর ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক আমার সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল, তারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুকার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে আমাদের ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকার মানুষ ও সাধারণ ভোটার তাদের ঘেরাও করে আটক করে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি আপোষনামা দিলে সকলেই চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ঘটনা জানার পরেই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে এ ঘটনায় কোন মামলা করবে না বলে সহকারী রিটার্টিং অফিসার বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। এসময় সবাইকে সতর্ক করা হয়।

;

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টির আগমন আনন্দের সংবাদ হলেও তা মুহূর্তেই ম্লান হয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়ে। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর।

হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও কিছু গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটেছে। রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল এবং পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘরচাপা পড়ে এটি ছাগল মারা গেছে।

এছাড়া, গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গাছ পড়ে সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ৩০টির অধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। সেই সাথে তীব্র ঝড়ের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পার্বত্য বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনবহুল শহর লামা।

এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয়নি। বিদ্যুৎ সচল হতে আরও দুই-একদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পিডিবি লামার আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সকালে গাছ পড়ে চকরিয়া- লামা- আলিকদম সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে রাস্তা থেকে সড়িয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।

লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাচিং প্রু মারমা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে সড়কে গাছ পড়ে লামা উপজেলার সাথে রূপসীপাাড়া ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সাথে মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষেত খামারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে দেড়-শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা জানান, তার ইউনিয়নে ছোটবড় শতাধিক ঘর আংশিক ভেঙে গেছে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে স্মার্টফোন ও বাইক নিয়ে প্রবেশ নিষেধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

নোটিশে উল্লেখ কর হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতকোত্তর (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ ও কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক এবং শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন ফোন নিয়ে কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না। কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করা এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সেজন্য কোনো শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করলে এবং শ্রেণিকক্ষে কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এতে তারা অমনযোগী থাকে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনও জব্দ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হচ্ছিলো না। এছাড়া কলেজে অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট করে বিধায় এতেও মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদেরকে রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাস একেবারেই ছোট হওয়ায় মোটরসাইকেলের চলাচল শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে।

;