ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
ট্রেন

ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় ঝর্ণা বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মহানগরীর ভদ্রা জামালপুর ওলি বাবা মাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ঝর্ণা নগরীর রামচন্দ্রপুর বৌ বাজার এলাকার মুকুল আলীর স্ত্রী।

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেওলয়ে জিআরপি থানার এসআই মতিউর রহমান জানায়, শুক্রবার ওলি বাবার মাজারের অনুষ্ঠান ছিলো। নিহত ঝর্ণা এই অনুষ্ঠানের যোগ দিতে এসেছিলেন। মাজারের সমনের ট্রেনের লাইন পার হওয়ার সময় গবরা-টঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ঝর্ণার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যারা ঝর্ণার মরদেহ সনাক্ত করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত না করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

   

সিলেটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে মাঠে অনুশীলনের সময় বজ্রপাতে সবুজ মিয়া (২২) নামে এক ফুটবল খেলোয়াড় নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জৈন্তাপুর উপজেলার গোয়াবাড়ি ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফুটবলার সবুজ উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নে কেন্দ্রী গ্রামের ছগির মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ি ফুটবল মাঠে অনুশীলনের সময় হঠাৎ করে আকাশ অন্ধকার হয়ে যায় এবং বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন সবুজ। পরে স্থানীয়রা দ্রুত সবুজ মিয়াকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তখন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম)।

তিনি জানান, বজ্রপাতে খেলোয়াড় মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে নিহতের সুরতহাল প্রস্তুত করেছ।

এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল সেখানে সিলেটে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, একেবারে পরিষ্কার আকাশে বজ্রপাত হওয়ার কথা না। নিশ্চয় আকাশে মেঘ বা কিছু ছিল। মে মাসে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে এবং মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তাই এসময় সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করা উচিত।

;

যশোরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
যশোরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

যশোরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৫ মে) যশোরের আদ দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টার দিকে শহরের নীলগজ্ঞ এলাকার আব্দুল গফফারের স্ত্রী লামিয়াকে আদ-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল চেকআপে তখন শিশু ও তার মাকে স্বাভাবিক চিহ্নিত করে ব্যবস্থাপত্রও দেওয়া হয়। কিন্তু দুপুরের দিকে সেবিকারা চিকিৎসকদের না জানিয়েই শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করেন। এসময় পরিস্থিতি জটিল হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ স্বজনদের।

শিশু ও রোগীর পরিস্থিতি খারাপ, সেবিকারা এমন কোনো তথ্য দেয়নি চিকিৎসকদের। যে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

নার্স বিউটি মন্ডল বলেন, সকালে রোগীকে আনার পর পরীক্ষা করা হয়। নবজাতকের মাথা সামনে থাকায় স্বাভাবিক ডেলিভারি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চিকিৎসক রিতা দাসও রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন। সাধারণ ডেলিভারির ক্ষেত্রে নার্সরাই সকল কাজ সম্পন্ন করেন। সেই মোতাবেকই ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটি হাপিয়ে যাওয়ায় তাকে এনসিইউতে পাঠানো হয়। সেখানেই শিশুটি মারা গেছে। এখানে কোনো প্রকার অবহেলা হয়নি।

ডা. রিতা দাস বলেন, সকালে রোগীকে পরীক্ষার পর নবজাতকের মাথা সামনের দিকে থাকায় স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য স্যালাইন পুশ করা হয়। আমি রোগীকে ভালো অবস্থায় পেয়েছি। তাছাড়া রোগীর স্বজনরা কেউ সিজারিয়ান অপারেশনের কথা আমাদেরকে বলেননি। ফলে আমরা স্বাভাবিক ডেলিভারি করিয়েছি। প্রসূতির বয়স কম ও প্রথম সন্তান হওয়ায় শিশু চাপে হাঁপিয়ে গেছে।

এনসিইউর ডা. কিশোর কুমার বিশ্বাস বলেন, শিশুটিকে আনার পর তাকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেশনসহ সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয়। তাদের পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা ছিল না।

হাসপাতালের ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রোগীকে ভর্তির পরে ডাক্তার রিতা দাস তাকে দেখেছেন। নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে তারা সকল কাজ করে থাকেন। সেভাবেই ডেলিভারি হয়েছে। নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ মৃত্যুতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা ছিল না।

তিনি আরো বলেন, স্বজনদের সাথে কোনো রকম দুর্ব্যবহারও করা হয়নি। বরং তারাই উত্তেজিত হয়ে খারাপ ব্যবহার করেছেন।

;

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে ফুলমিয়া (৪১) ও শিপন (২৫) নামের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলার পৃথক দুই উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে তাদের মৃত্যু।

তাদের মধ্যে ফুল মিয়া জেলার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে। এছাড়া নিহত শিপন জেলার সাঘাটা উপজেলার মুক্তি নগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের মোকলেস মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন, গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, গাইবান্ধার পৃথক দুই উপজেলায় ফুলমিয়া ও শিপন নামের ওই দুই ব্যক্তি জমিতে ধান কাটছিলেন। ওই সময় বজ্রপাত হলে দুই এলাকার দু’জনেই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন । নিহতদের মরদেহ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

;

কুড়িলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কুড়িলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

কুড়িলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়কে আটকে বিক্ষোভ করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক অবরোধ করেন জোয়ার সাহারার জমজম রোডের ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

এবিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে কুড়িল বিশ্বরোডে সড়কে আটকে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করায় ব্যস্ততম ওই সড়ক স্থবির হয়ে গেছে। যার ফলে ওই এলাকায় রাস্তার উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা জানান, কয়েক মাসের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। কোনো সুরাহা না হওয়ায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে কুড়িল থেকে রাস্তার দুদিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তীব্র যানজট দ্রুত স্বাভাবিক করতে কর্মকর্তারা কাজ করছে। শিগগির যানচলাচল শুরু হবে।

;