পতিতা থেকে মাদক ব্যবসায়ী, অতঃপর পুলিশের হাতে গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪
গ্রেফতারকৃত দুই মাদক ব্যবসায়ী, ছবি: বার্তা২৪

গ্রেফতারকৃত দুই মাদক ব্যবসায়ী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অল্পদিনে ধনী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নেমেছিল সাথী। আর একারণে পরিবার থেকেও বিতাড়িত হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। পতিতাবৃত্তির এক পর্যায়ের ৫ বছর আগে পরিচয় হয় মাদক ব্যবসায়ী কালামের সাথে। কালাম তাকে স্বপ্ন দেখায় আরও ধনী হবার। সেই থেকে কালামের সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা। গত ৫বছরে পুলিশের হাতে ধরা না পরায় মাদক ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়েছে তারা।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া দুই মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই রেজাউল করিম ফোর্সসহ রংপুর থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করে। এসময় পাশাপাশি সিটে বসে থাকা সাথী ও কালামকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ২ 'শ ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার আলীনগড় গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৩৮) ও শরিয়তপুর সদর উপজেলার আটং গ্রামের মৃত গণি মিয়ার মেয়ে লিপি আক্তার সাথী (৩৫)।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মিজানুর রহমান বার্তা ২৪কে জানান, গ্রেফতারকৃতরা সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে ঢাকা শহরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতো। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে যাতায়াত করায় তারা পুলিশের সন্দেহের বাহিরে ছিল। তাদের নামে শিবগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

   

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘মিজু গ্যাং’ এর মূলহোতাসহ ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবোনগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নগরের খোজাপুর এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), একই এলাকার মৃত মুকুলের ছেলে মো. বকুল (৩৮), ডাসমারী পূর্ব পাড়ার বাবুল হোসেনের ছেলে মো. ঈমান (২৪), আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. শাকিব (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রবিন (২০), আসলাম আলীর ছেলে মো. রাব্বি (২৪), শমসের আলীর ছেলে আমান (২২), নাসির উদ্দিনের ছেলে বিজয় (১৭), আব্দুল খালেকের ছেলে মো. অনিক (২১)। তারা মতিয়া থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। এছাড়া চর শ্যামপুরের মোতালেবের ছেলে ইয়ামিন আলী (২৮) ও চারঘাটের শিমুলিয়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে বিপ্লব আলী (২২)।

বুধবার (১৫ মে) র‌্যাব-৫ এর সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আসামিরা সবাই ‘মিজু গ্যাং’ এর সদস্য। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহানগর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জমিদখল করতেন। এলাকায় কোনো ব্যক্তি জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণসহ যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুললে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোনো কাজ করতে পারত না। এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলবদ্ধভাবে তারা ছিনতাই করত তারা।

এমন অভিযোগের পর অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়া সাকিনাস্থ পলাতক আসামি মো. রমজান (৩০) এর হাফ বিল্ডিং ব্যক্তিগত ক্লাব ঘর হতে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাঁংয়ের মূলহোতাসহ ১১ জনকে আটক করে। কিন্তু কিশোর গ্যাঁংয়ের অন্যতম সদস্য মো. রমজান আলী রাতের আধারে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো হাসুয়া ১৮টি, ধারালো তলোয়ার ৭টি, চাকু ২টি, কাটার হাতল ৩টি, চাইনিজ কুড়াল ১টি, সিমেন্টের ব্লক- ৫৩টি, খেলনা পিস্তল ১টি, মোটরসাইকেল ৩টি ও ১২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মুনীম ফেরদৌস জানান, মিজানুর থেকে মিজু গ্যাং। তারা টেলিগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করত। বাসাবাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধভাবে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

;

সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে চট্টগ্রামে সেরা রাউজান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চট্টগ্রামের ৩০টি থানা এবং ১৫টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছে রাউজান উপজেলায়।

এ পর্যন্ত রাউজানে ৪ হাজার ১৫০ জনের পেনশন স্কিম নিবন্ধন করা হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে সারাদেশে ১ম উপজেলা হিসেবে চার হাজার নিবন্ধন করার মাইলফলক স্পর্শ করেছে এই উপজেলা।

উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বেসরকারি চাকরিজীবী, ইমাম, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত শ্রেণি, মৎস্যজীবী, পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করছেন।

উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনকে নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নানাবিধ উপকারিতা জানাতে ১৪টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা করে উপজেলা প্রশাসন। মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ইমাম সমাবেশ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার্সমূহে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হেল্প ডেক্স স্থাপন, সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হেল্প ডেক্স স্থাপন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারে স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম হাতে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম বেগবান করছেন তারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদের উপজেলা সমন্বয় সভায় পুরস্কার প্রদান করার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হয়েছে।

রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম বেগবান করতে পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বিভিন্ন অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য দিয়ে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেছেন। স্থানীয় পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা স্থানীয়ভাবে মাইকিং, অবহিতকরণ সভা ও লিফলেট বিতরণ করে জনসাধারণকে এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, রাউজানে সর্বজনীন পেনশন স্কিন রেজিস্ট্রেশনে যে সাড়া পাওয়া গেছে, সেটি উৎসাহ ব্যঞ্জক। এই পর্যন্ত আমরা ৪ হাজার ১৫০ জন পেনশনারের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছি। সামনের দিনগুলোয় সর্বজনীন পেনশনে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী। আমরা এই কার্যক্রমকে সফল করতে ইউনিয়নভিত্তিক ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করেছি। মাসিক ও বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উপজেলা পর্যায়ে এই বিষয়ক সকল কার্যক্রম আমার সঙ্গে সমন্বয় করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই কাজে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করছেন।

চট্টগ্রামে সর্বজনীন পেনশনে স্কিমে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন করেছে আকবরশাহ থানায় ৬৩জন, আনোয়ারায় ২৪৫৫ জন, ইপিজেড থানায় ৩৫জন, কর্ণফুলী উপজেলায় ২০৬২ জন, কতোয়ালী থানায় ১৭৬ জন, খুলশী থানায় ৭৭ জন, চকাবাজার থানায় ৩৩ জন, চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭২৯ জন, চান্দগাও থানায় ১০৫ জন, ডবলমুরিং থানায় ৭৯ জন, পটিয়া উপজেলায় ২৩৩৭ জন, পতেঙ্গা থানায় ৩০ জন, পাঁচলাইশে ৫৯ জন, পাহাড়তলীতে ৪৪ জন, বন্দরে ৪৭ জন, বাকলিয়া ৪৪ জন, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৫৩ জন, সদরঘাট থানায় ২১ জন, ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৩৬২ জন, বাঁশখালীতে ২৮৫৪ জন, বোয়ালখালী উপজেলায় ২০২৪ জন, মিরসরাইয় উপজেলায় ১৯৬২ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১৩৫৭ জন, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৬৩৭ জন, সন্দ্বীপে ১৪১৯ জন, সাতকানিয়া উপজেলায় ১৯৭৫জন, সীতাকুন্ড উপজেলায় ৩৮১৬ জন, হাটহাজারী উপজেলায় ১৩৬৩ জন, হালিশহর থানায় ৬৪ জনসহ মোট ৩৫ হাজার ৪৭১ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

;

যুবক হত্যার দায়ে রাজশাহীতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
যুবক হত্যার দায়ে রাজশাহীতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

যুবক হত্যার দায়ে রাজশাহীতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোবাইল ফোনের দোকানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরেক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। তিন বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, বাঘার জোতচৌকিপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রকি (২৫)।

নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আম বাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জহুরুল ইসলামকে। জহুরুল ইসলামের কাছে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় তাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোনসেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যান। এরপর মোবাইল সেটগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়।

এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করে। এ রায়ে বাদিপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

;

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কোটা যথাযথভাবে দ্রুত পূরণের জন্য সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য আ, ফ, ম রুহুল হক। বৈঠকে কমিটি সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ শামীম শাহনেওয়াজ, সাহাদারা মান্নান, এ, ডি, এম, শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক বাবুল, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ এবং শবনম জাহান অংশগ্রহণ করেন।

শূন্য পদ পূরণের পাশাপাশি বৈঠকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত অসহায় ও গরীব রোগীদেরকে এককালীন যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় সেই সহযোগিতার কার্যক্রম আরো সুষ্ঠু ও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য খাতে পরিচালিত সেবা কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য খাতের জন্য কি কি পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সেই সাথে কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ভবিষ্যতে যেসকল প্রকল্প গ্রহণ করা হবে সেসকল প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প তৈরির সুপারিশ করে।

বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;