ফরিদপুরে বিজয়ের সাধ মেলে একদিন পরে



রেজাউল করিম বিপুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফরিদপুরে বিজয়ের সাধ মেলে একদিন পরে। ছবি: বার্তা২৪.কম

ফরিদপুরে বিজয়ের সাধ মেলে একদিন পরে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাস। দেশের বিভিন্ন জেলায় তখন পাকিস্তানি মিলিটারিরা আত্মসমর্পণ করছে, শত্রু মুক্ত হচ্ছে দেশ। ফরিদপুরে তখনো নির্যাতন, হামলা, লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে পাক বাহিনী ও তার দোসররা।

১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জনের ১ দিন পরে ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফরিদপুর সার্কিট হাউজে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি মিলিটারিরা। সেদিন সকালেও পাকসেনা ও বিহারীদের সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধ করেছে ফরিদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুদ্দিন মোল্যা ১৭ ডিসেম্বরের যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোকাররম হোসেন ও আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ এবং মুজিব বাহিনীর থানা কমান্ডার নীতি ভূষণ সাহার নেতৃত্বে আমরা ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান রাজবাড়ী জেলার সুলতান পুর ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করেছিলাম। আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল মুক্তি ও মুজিব বাহিনীর যৌথ কমান্ডের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় গেরিলা অপারেশন করা। দেশের অনেক জায়গা তখন শত্রুমুক্ত হলেও ফরিদপুর ছিল পাক হানাদারদের দখলে। যৌথ কমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরিদপুর শহর আক্রমণ করার জন্য আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ভাষানচরে অবস্থান নেয়।

হাবিলদার আবু তাহের দেওয়ানের নেতৃত্বে ১৪ জনের অপর একটি দলে আমরা চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আব্দুল মোল্লার বাড়িতে অবস্থান নেই।

আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও ফরিদপুরে থাকা হায়েনারা তখনো আত্মসমর্পণ করেনি।’

তিনি তার বর্ণনায় বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় আমরা নাস্তা করছিলাম, এমন সময় ক্যাম্পে খবর এলো গোয়ালন্দ সশস্ত্র পাক বাহিনী পদ্মার পাড় দিয়ে ফরিদপুরের দিকে এগিয়ে আসছে।

আমাদের কমান্ডার আবু তাহের দেওয়ান দ্রুত পজিশন নেওয়ার নির্দেশ দিলেন। আমরা পদ্মা থেকে উঠে আসা একটা নালার ভেতরে পজিশন নিলাম। পাক মিলিশিয়া ও বিহারীদের দলটি সামনে চলে আসল, আমরা গুলি চালালাম, ওরাও পাল্টা গুলি শুরু করে দিল।

এরই মধ্যে আমাদের কমান্ডার পাশের ফয়েজ ভাইয়ের ক্যাম্প ও খলিলপুরের যৌথ কমান্ডের ক্যাম্পে খবর পাঠিয়ে দেন। আমাদের কাছে অস্ত্র বলতে এলএমজি, এসএলআর, রাইফেল, স্টেনগান ও গ্রেনেড ছিল। ফায়ারিংয়ের এক পর্যায়ে আমরা বুঝতে পারি যে আমরা ওদের গুলির রেঞ্জের ভেতরে। তখন আমরা গুলি করতে করতে পিছু হটতে থাকি।

এ সময় আমাদের সহযোদ্ধা ইউনুস মোল্লার গুলি লাগে, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ক্যাম্প থেকে নীতি ভূষণ সাহা, খান মাহাবুবে খোদা, আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ এবং মেজবাউদ্দীন খান মিরাজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এই যুদ্ধে অংশ নেয়।

অন্যদিকে খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ থেকে ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে লঞ্চে করে পদ্মা পার হয়ে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা এই যুদ্ধে অংশ নিতে আসে।

এছাড়া আগরতলা মামলার ৫ নাম্বার আসামি ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাব সেক্টর কমান্ডার নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল তার টিম থেকে ২ ট্রাকে করে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠায় এই যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য। বেলা ২টার দিকে শেষ হয় এই যুদ্ধ । প্রায় শতাধিক মিলিশিয়া ও বিহারী মারা যায় এখানে।

কথা বলার এই পর্যায়ে শামসুদ্দিন মোল্যা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ, মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষত বিক্ষত চরাঞ্চল জুড়ে আনন্দে ফায়ারিং করছে। আর সেই সময় আমারা সহযোদ্ধা ইউনুস মোল্লার মরদেহ নিয়ে ৩৮ দাগ গ্রামে তার বাড়িতে যাই।’

মুক্তিযোদ্ধা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, এই ১৭ ডিসেম্বরই মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের মুজিব বাহিনীর একটি টিম বিজয়ের খবর শুনে বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুর আসার পথে মাঝকান্দি নামক জায়গায় কামারখালী থেকে আসা পাক আর্মির দুটি ট্রাকের সামনা সামনি হয়ে যায়। মুজিব বাহিনীর যোদ্ধারা কমান্ডারের নির্দেশে পজিশন নিয়ে ফায়ারিং শুরু করলে পাক আর্মির ট্রাক থেকে এক অফিসার হাত উঁচু করে নেমে এসে আত্মসমর্পণ করে। পরে মুজিব বাহিনীর যোদ্ধারা ওদের আটক করে ফরিদপুর সার্কিট হাউসে নিয়ে আসে।

আগরতলা মামলার ৫ নাম্বার আসামি ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাব সেক্টর কমান্ডার নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের বিষয়ে বলেন, ‘ হেমায়েত বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জকে মুক্ত করে আমরা ফরিদপুর আক্রমণ করার জন্য ভাঙ্গায় এসে অবস্থান নেই। এরই মাঝে খরব আসে ঢাকাতে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। খবর পেয়ে আমি আমার দল নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ফরিদপুরে ঢুকি।’

তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে ঢুকেই আমি পাকিস্তানি আর্মির কমান্ডার আরবান খানকে আত্মসমর্পণের জন্য বলি। আরবান খান আমার পাঠানো লোকের কাছে জানিয়ে দেয় সে মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। তবে তিনি মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিত্র বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রাজেন্দ্র প্রসাদ নাথ ফরিদপুরে উপস্থিত হন। আরবান খান রাজেন্দ্র প্রসাদ নাথ ও আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে বিজয়ের ১ দিন পরে ফরিদপুর জেলা শত্রুমুক্ত হয়। এখানে বিজয়ের সাধ মিলে একদিন পরে।’

   

সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন মিল্টন: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতের আধাঁরে মরদেহ দাফন করতেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। এমন কি তিনি নিজেই মৃত সনদে সিটি করপোরেশনের সিল মারতেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত এক সংবাদি সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি। ইতোমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রাতের আধাঁরে সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাতের আধাঁরে মিল্টন সমাদ্দার মরদেহ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন। সেই কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। মরদেহ দাফন করার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সনদ সে নিতো না। সে নিজেই লিখে, সাইন করত। সিলসহ কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে থানায় আছেন। দ্রুতই সেগুলো নথিভুক্ত হবে।

মিল্টনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে আনার পরে তার স্ত্রীকেও ডাকবো। তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা করেন তাহলে তার স্ত্রীকেও আমরা গ্রেফতার করবো।

;

‘আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, আমাদের পুলিশ সেটা অনুসরণ করতে পারে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করে করুক। সেখানে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে। আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশদের অনুসরণ করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরেছে। তবে এখন মনে হয়, আমাদের পুলিশ আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমনের ব্যবস্থাটা নিতে পারে’।

ফিলিস্তিনে যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯শ ছাত্র-ছাত্রী, প্রফেসর আটক হয়েছে আন্দোলন করার জন্য। এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়! যেভাবে একজন প্রফেসরকে দাবড়ে ধরে মাটিতে ফেলে আটক করা হলো, হ্যান্ডকাফ পরানো হলো, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সেভাবে অত্যাচার করেছিল বিএনপির বাহিনী ও পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আবার আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। এটাই সব থেকে দুর্ভাগ্যের!

বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি’ ঘুরে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাও আমার একটা প্রশ্ন, আমি সেটা করতে চাই। যারা অতি বাম, তারা নাকি অনেক প্রোগ্রেসিভ দল, গণমুখী দল! ঠিক আছে, আমাকে উৎপাত করবে! কিন্তু পরবর্তীতে কে আসবে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে! সেটাই তো আমার প্রশ্ন! কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়, এটা কিন্তু স্পষ্ট না।

স্পষ্ট নয়, বলেই তারা কিন্তু জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। তার বদৌলতে অনলাইনে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ করে যাচ্ছে’।

‘আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে যদি দেখেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন যদি কেউ ভালো করে তুলনা করে, তাহলে দেখবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি আমরা’!

;

বগুড়ায় মারপিটে বৃদ্ধা খুন করার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটে ফিরোজা (৬০) নামের বৃদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ফিরোজা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আচঁলাই (দাড়ারপাড়) মহল্লার তাজুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মামলা করেছেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, তাজুল ইসলামের সাথে তার ভাই ভাতিজাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজুল ইসলামের স্ত্রী ছেলে ও আরেক ভাতিজা অটোরিকশা যোগে রাঙ্গামাটি গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চক ভোলাখাঁ এলাকায় অপর ভাই ও ভাতিজারা অটোরিকশা থামিয়ে তাদেরকে মারপিট করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে ফিরোজা মারা যান।

শিবগঞ্জ থানার ওসি জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

;

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জারি কিরা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগারগাঁও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী ৬ তারিখের মধ্যে এই তাপমাত্রা কমে যাবে। ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম-সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চট্রগ্রামের কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আগামী ১ সপ্তাহে ১-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা ও আশেপাশের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ঢাকার আবহাওয়া অনেকটা কমে যাবে। সারাদেশে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে। তাপমাত্রাও অনেক টা কমে আসবে।
তবে দেশের আরও দুইদিন পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু থেকে ভারী তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজশাহী ও খুলনায় অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ একে এম নাজমুল হক বলেন, খুলনা ও রাজশাহীতে হিট তাপমাত্রা থাকতে পারে। ঢাকাতেও হিট অ্যালার্ট থাকবে। তবে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে।

;