নড়াইল-১: দুই বিশ্বাসের লড়াই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ (কালিয়া উপজেলা) আসনে ২ বিশ্বাসের লড়াই শুরু হয়েছে। একজন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য বিশ্বাস কবিরুল হক মুক্তি (নৌকা)। অপরজন ২০দলীয় জোটের মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম (ধানের শীষ)।

যদিও এখানে আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন তারা হলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) মিল্টন মোল্যা (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন (হাতপাখা) এবং এনপিপির (ছালু) মুনসুরুল হক (আম) প্রতীকে লড়বেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে দুই বিশ্বাসের মধ্যে। ভোট যুদ্ধে দলীয় প্রতীক পাওয়ার পর নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে মাঠে নামছেন তারা।

জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনের কালিয়া উপজেলাটি একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৮১ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৩ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০২টি এবং ভোটের কক্ষ রয়েছে ৪৮৭টি।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পরই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম নিজ এলাকা খাসিয়ালে নির্বাচনী সভা করেছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিশ্বাস কবিরুল হক মুক্তির সমর্থকরা কালিয়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। ফলে নির্বাচনী এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুক্তি বলেন, ‘বিগতদিনে জনগণের ভালোবাসায় এ আসনে দুইবার এমপি ও দুইবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলাম। আমি আমার এলাকার মানুষের জন্য ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি তাই এলাকার মানুষ নৌকাকেই বেছে নিবে। দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সমর্থনে এবারের নির্বাচনেও বিজয়ী হব।’

অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে এ অঞ্চলের মানুষ ধানের শীষকেই ভোট দেবে এবং বিজয়ী হবো ইনশা আল্লাহ।’

সূত্র জানায়, বর্তমান ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ১৯৯৬ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগদানকারী প্রয়াত ধীরেন্দ্রনাথ সাহার নিকট পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল হক মুক্তি মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কমরেড বিমল বিশ্বাস এবং বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। পরে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় কবিরুল হক মুক্তি পুনরায় জয়ী হন।

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন দুই বারের সংসদ সদস্য মুক্তি। আর ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। তাই অনেক নেতাকর্মী মনে করেন তাদের দুইজনের মধ্যেই চলবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

   

সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

;

সিলেটে গানে গানে লালন প্রেমীদের প্রতিবাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে গানে গানে লালন প্রেমীদের প্রতিবাদ

সিলেটে গানে গানে লালন প্রেমীদের প্রতিবাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে লালনের গান উদ্ধৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্টোরিতে দেওয়ায় সঞ্জয় রক্ষিত (৪০) নামে এক যুবককে আটকের প্রতিবাদে গানে গানে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ করেছেন সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

'আমরা লালনের গান গাঁই গান এ-ই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা' স্লোগানে রোববার (০৫ মে) বিকাল ৫ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ করা হয়।

আমরা লালন প্রেমী ব্যানারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের সমন্বয় করেন সংস্কৃতি কর্মী পল্লব ভট্টাচার্য্য, মৃণাল কান্তি দাশ, নয়ন সরকার নিমু, রেজা রুবেল, জয়ন্ত কুমার দাশ। এতে লালন সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রদ্যুত লিটন, সায়েম আহমদ, কনক আচার্য।

এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে সংহতি প্রকাশ করেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক অনুপ কুমার দেব, নাট্য সংগঠক নিরঞ্জন দে যাদু, কথাকলি সিলেটের নিলাঞ্জন দাশ টুকু, পাঠশালার পরিচালক হুমায়ুন কবির জুয়েল, থিয়েটার বাংলা সিলেটের সভাপতি তাজুদ মিয়া কামালি, ডিবিসি নিউজের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সাংস্কৃতিক কর্মী প্রত্যুষ তালুকদার, খোয়াজ রহিম সবুজ, রজন চক্রবর্তী, সুব্রত দাস, যমুনা টিভির সিলেট’র স্টাফ রিপোর্টার নাবিল হোসেন, আজমল আলী, মিঠু দাস জয়, রিপেশ দাস, রাহুল সরকার, নিবেন্দু তালুকদার, রাজ দেবনাথ, দ্বীপ দাস, জুবায়ের আহমেদ, বিজয় সিং, চিন্ময় দেব, বিশাল দে বৃত্ত, পৃথম দাস, নোমান আহমদ, আলী হায়দার মিদুল, আফজল হোসেন, জনি কান্ত শর্মা, সোহেল আহমেদ, আব্দুল মতিন লাল, নির্জর তালুকদার প্রমুখ।

;

তালগাছে বজ্রপাত, জ্বলে উঠলো আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
তালগাছে বজ্রপাত, জ্বলে উঠলো আগুন

তালগাছে বজ্রপাত, জ্বলে উঠলো আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় বজ্রপাতে তাল গাছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাল গাছে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার (৪ মে) রাত ৯ টার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের সিড়িরচালা গ্রামের একটি তালগাছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোন্তাজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে চৌকিদার শামসুলের আখ ক্ষেতের মাঝখানে একটি তালগাছে বজ্রপাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাল গাছের আগুন দেখতে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। এ ঘটনা দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়।

এ সময় বজ্রপাতের গর্জনে স্থানীয় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আখ ক্ষেতে আগুন লাগতে পারে ভেবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই আগুন নিভে যায়। তবে, এতে আখ ক্ষেতের কোন ক্ষতি হয়নি।

ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, তালগাছে বজ্রপাতের আগুনের খবর আসলে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, এতে কোন ক্ষতি হয়নি।

;

‘সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে পেনশন স্কিম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা থেকেই সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি দেশের ৯৮ ভাগ মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়। যাতে জীবনের শেষ বয়সে কারো কাছে নির্ভরশীল হতে না হয়।

রোববার (৫ মে) দিনব্যাপী রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় পেনশন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, রংপুর বিভাগে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পেনশনের আওতায় চলে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভাগীয় পেনশন মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছে এবং রেজিস্ট্রেশন করছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেলা জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও করা হবে।

বর্তমানে দেশে জাতীয় পেনশন স্কিম নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৬৬ জন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করছেন। প্রধানমন্ত্রী ৪১ লাখ মানুষকে জমি এবং ঘর দিয়েছেন।

এসময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং জোরদারকরণের লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করে জাতীয় পেনশন স্কিমের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে সবাইকে পেনশন স্কিমের আওতায় আসার জন্য অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।

এর আগে, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পেনশন স্কিমের নির্বাহী চেয়ারমান কবিরুল ইজদানী খান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ প্রমুখ।

;